1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

যৌনকর্মীদের অধিকার রক্ষা না খর্ব করছে অ্যামনেস্টি?

১২ আগস্ট ২০১৫

যৌন ব্যবসার কিছু দিককে আইনি বৈধতা দেবার প্রস্তাব দিয়েছে মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল৷ আর এমন প্রস্তাবের পক্ষে-বিপক্ষে সরব হয়ে উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়া৷

https://p.dw.com/p/1GDrL
Symbolbild Indien Frauen Sterilisation Archiv 2013
ছবি: AFP/Getty Images/D. Sarkar

যৌনকর্মীদের অধিকার রক্ষা না খর্ব করছে অ্যামনেস্টি?

যৌন ব্যবসার কিছু দিককে আইনি বৈধতা দেবার প্রস্তাব দিয়েছে মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল৷ আর এমন প্রস্তাবের পক্ষে-বিপক্ষে সরব হয়ে উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়া৷

ইরান চুক্তি থেকে শুরু করে অনেক চলমান ইস্যুর ক্ষেত্রে প্রায়ই দেখা যায়, নীতি নির্ধারক থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ মূল বিষয়টি সম্পর্কে অবগত না হয়েই অন্যের প্রতিক্রিয়ার ভিত্তিতে নিজের প্রতিক্রিয়া তুলে ধরেন৷ অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল নিজস্ব টুইটার অ্যাকাউন্টে তাই এই সংক্রান্ত প্রস্তাবিত নীতির প্রতি মনোযোগ আকর্ষণ করেছে৷

বলা বাহুল্য, এমন একটি ইস্যুর পক্ষে-বিপক্ষে নানা মত শোনা যাচ্ছে৷ কেউ অ্যামনেস্টির এই অবস্থানকে স্বাগত জানিয়ে যৌনকর্মীদের অবস্থার উন্নতির আশা করছেন৷ অন্যরা এই নীতির চরম বিরোধিতা করছেন৷ সেইসঙ্গে আছেন সনিয়া ডলিনসেক-এর মতো কিছু মানুষ, যাঁরা মনে করেন, অ্যামনেস্টি যৌনকর্মীদের সম্পর্কে আদৌ কোনো অবস্থান নিয়ে অত্যন্ত ভালো কাজ করেছে৷

যৌনকর্মীদের কাজ সম্পর্কে অ্যামনেস্টির নীতির পক্ষে অনেকেই সমর্থন জানিয়েছেন৷ কারমেন অ্যামিসিটিয়ে মনে করেন, যোনকর্মীদের জন্য এটা ভালো দিন৷

কিউটক্যাট্রিয়োনা নামের আড়ালে এক টুইটার ব্যবহারকারী মনে করেন, বিরোধীরা এই প্রস্তাবের মর্ম বুঝতে পারছেন না৷ এর সাহায্যে নিপীড়ন, হিংসা, মানব-পাচার প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে৷

এইলিন স্মার্ট অভিযোগ করেছেন, অনেকেই ইচ্ছাকৃতভাবে অ্যামনেস্টির নীতির ভুল মূল্যায়ন ছড়িয়ে দিচ্ছে৷ তাঁর মতে, অবিলম্বে তা বন্ধ করা উচিত৷

ডনিয়া ক্রিস্টিন আবেগে আপ্লুত হয়ে অ্যামনেস্টির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন৷

বিরোধীরাও যথেষ্ট সোচ্চার হয়ে উঠেছেন৷ ব়েচেল মোরান নামের এক প্রাক্তন যৌনকর্মী, লেখক ও ব্লগার নিজস্ব টুইটার অ্যাকাউন্টে এই ভয়াবহ জগত সম্পর্কে নিজের সাক্ষাৎ অভিজ্ঞতার কিছু দৃষ্টান্ত তুলে ধরেছেন৷ একটি টুইটে তিনি লিখেছেন, অ্যামনেস্টি তাদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতি সমর্থন জানানোর ফলে যৌন-ব্যবসা ও মানব-পাচারের কবল থেকে উদ্ধার পাওয়া অসংখ্য মানুষ তাঁর কাছে অশ্রুপাত করছেন৷

নারীবাদী সংগঠন ‘ফেমেন'-এর সুইডেন শাখা অ্যামনেস্টির প্রস্তাবের বিরোধিতা করে লিখেছে, ‘‘যে সব মানুষদের টাকা দিয়ে কেনা হয়েছে, এখন তাদের অধিকার যৌন ব্যবসার দালালদের চেয়েও কমে গেল৷ অ্যামনেস্টি যৌন-ক্রেতা ও দালালদের ‘অ্যামনেস্টি' বা ক্ষমা করে দিল৷

প্রায় একই সুরে অভিযোগ করেছেন আন্দ্রেয়াস পেটারসন৷

লার্স ওলি আবেগের সঙ্গে লিখেছেন, ‘‘বিদায় অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশানাল৷ নারী অধিকারের জন্য লড়াইয়ের ক্ষেত্রে তোমাদের সংগঠনের উপর আর আস্থা রইলো না৷''

সংকলন: সঞ্জীব বর্মন

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য