1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ট্রাম্প-কিম বাকযুদ্ধ

২১ সেপ্টেম্বর ২০১৭

কোরীয় সংকটে বাকযুদ্ধ নতুন মাত্রা পাচ্ছে৷ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন-কে ‘রকেট ম্যান' বলার পর সে দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁকে ‘বার্কিং ডগ' হিসেবে বর্ণনা করেছেন৷

https://p.dw.com/p/2kPyv
ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কিম জং উন
ছবি: picture-alliance/AP Photo/Ahn Young-joon

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়ার আস্ফালন নতুন মাত্রা পাচ্ছে৷ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর ভাষণে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনকে ‘রকেট ম্যান' হিসেবে বর্ণনা করে সে দেশকে নিশ্চিহ্ন করে দেবার যে হুমকি দিয়েছিলেন, তার জবাবে উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রি ইয়ং হো ট্রাম্পকে ‘বার্কিং ডগ' হিসেবে উল্লেখ করে তাচ্ছিল্য দেখালেন৷ তিনি বলেন, ‘‘ট্রাম্প যদি মনে করে থাকেন যে, কুকুরের মতো ঘেউঘেউ করে তিনি আমাদের অবাক করে দেবেন, তাহলে তিনি অবশ্যই স্বপ্ন দেখছেন৷''

এমন পরিস্থিতিতে চীনের উদ্বেগ বেড়ে চলেছে৷ সে দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেন, কোরীয় উপদ্বীপের পরিস্থিতি প্রতিদিন আরও উদ্বেগজনক হয়ে উঠছে৷ সেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে দেওয়া যায় না৷ তিনি আবার সব পক্ষের উদ্দেশ্যে সংযমের ডাক দিয়েছেন৷ সেইসঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ায় মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ ব্যবস্থা সরিয়ে ফেলার ডাক দিয়েছেন তিনি৷

দক্ষিণ কোরিয়া মৈত্রীর হাত বাড়িয়ে দিতে উত্তর কোরিয়ার জন্য প্রায় ৮০ লক্ষ ডলার মূল্যের ত্রাণ পাঠাতে চলেছে৷ বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি ও ইউনিসেফের মাধ্যমে এই মানবিক সাহায্য পাঠানো হবে৷ সংকট সত্ত্বেও মানবিক সাহায্য চালিয়ে যেতে চায় সে দেশ৷ উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার ফলে একঘরে হয়ে থাকা দেশ উত্তর কোরিয়ায় শিশুদের অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইউনিসেফ৷

কোরীয় সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানের লক্ষ্যে জার্মানি সক্রিয় ভূমিকা নেবার ইঙ্গিত দিয়েছে৷ ডয়চে ভেলের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল এ ক্ষেত্রে ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তির দৃষ্টান্তের উল্লেখ করেন৷

কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসন সেই চুক্তি বাতিল করার যে ইঙ্গিত দিচ্ছে, তা নিয়ে জার্মানিসহ একাধিক দেশ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে৷ ইরান চুক্তি বাতিল হলে একই লক্ষ্যে উত্তর কোরিয়ার আস্থা অর্জন করা কঠিন হবে বলে মন্তব্য করেছেন জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিগমার গাব্রিয়েল৷

এসবি/এসিবি (রয়টার্স, ডিপিএ)