1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রবিবারের জন্য অপেক্ষায় জার্মানি

২ মার্চ ২০১৮

মহাজোট সরকার না নতুন নির্বাচন? নির্বাচনের প্রায় পাঁচ মাস পর জার্মানিতে এই প্রশ্নের নিষ্পত্তি হবে রবিবার৷ এসপিডি সদস্যদের ভোট গণনার ফলাফল ইতিবাচক হলে নতুন মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসবে৷

https://p.dw.com/p/2tYuk
এসপিডি সদস্যদের ভোটের উপর জার্মানির আগামী সরকার গঠন নির্ভর করছে
ছবি: Reuters/W. Rattay

শুক্রবার মধ্যরাত পর্যন্ত ভোট দেবার সুযোগ পাচ্ছেন এসপিডি সদস্যরা৷ সেই ফলাফলের উপর জার্মানির আগামী সরকার গঠন নির্ভর করছে৷ ফলে জার্মানিসহ গোটা ইউরোপ অধীর আগ্রহে সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করে রয়েছে৷ শনিবার রাতে গণনার শেষে রবিবার সকাল ৯টা নাগাদ ফলাফল ঘোষণা করা হবে৷ দলের ৪৬৩,৭২৩ জন সদস্য তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করার সুযোগ পেয়েছেন৷ বিদেশে বসবাসরত প্রায় ২,৩০০ সদস্যের জন্য অনলাইন ভোটিং-এর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে৷

এসপিডি দলের বেশিরভাগ নেতা কোয়ালিশন চুক্তির প্রতি সদস্যদের সমর্থন সম্পর্কে অন্তত প্রকাশ্যে বেশ আশাবাদী৷ তবে নেতিবাচক ফলাফলের আশঙ্কাও দূর হচ্ছে না৷ সে ক্ষেত্রে নতুন নির্বাচনে দল ধুয়েমুছে যেতে পারে বলে তাঁদের ধারণা৷ বিদায়ী পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিগমার গাব্রিয়েল বলেন, এসপিডি দল দেশকে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিয়ে আত্মশুদ্ধির জন্য নিজেদের গুটিয়ে নিতে পারে না৷ তবে দলের মধ্যে খোলামেলা বিতর্কের কারণে বিভাজনের আশঙ্কা দেখছেন না বেশিরভাগ নেতা৷ তাঁদের মতে, এর ফলে আখেরে দলের কল্যাণ হচ্ছে৷ এমন গণতান্ত্রিক পরিবেশ বাকি দলগুলির জন্যও কাম্য হতে পারে৷

এসপিডি সদস্যরা মহাজোট সরকার অনুমোদন করলে সেই সরকার গড়তে যাতে আর কোনো বিলম্ব না হয়, সেই লক্ষ্যে দুই শিবিরই বেশ তৎপর৷ সিডিইউ দল মন্ত্রী তালিকা প্রস্তুত রেখেছে৷ সবকিছু ঠিকমতো চললে ১৪ই মার্চ সংসদে আঙ্গেলা ম্যার্কেল চতুর্থবারের মতো জার্মানির চ্যান্সেলর নির্বাচিত হবেন৷ এসপিডি সম্ভবত ১২ই মার্চ মন্ত্রী তালিকা প্রকাশ করবে৷

সর্বশেষ জনমত সমীক্ষা অনুযায়ী এসপিডি দলের প্রায় ৬৬ শতাংশ সমর্থক কোয়ালিশন চুক্তির পক্ষে৷ অর্থাৎ এর আগের সমীক্ষার তুলনায় সমর্থন প্রায় ১৫ শতাংশ বেড়ে গেছে৷ তবে ৭৮ শতাংশ মনে করেন, দলে ঐক্যের অভাব রয়েছে৷ এসপিডি দলের সদস্যদের উপর সেই মতের প্রভাব পড়ছে কিনা, তা কেউ জানে না৷ ইউনিয়ন শিবিরের সমর্থকদের ৭০ শতাংশ মহাজোট সরকারের পক্ষে৷ এসপিডি নেত্রী ও বিদায়ী পরিবেশমন্ত্রী বারবারা হেনড্রিক্স মনে করেন, ৬০ শতাংশ এসপিডি সদস্য ইতিবাচক ভোট দিয়েছেন৷

এসবি/ডিজি (ডিপিএ, এএফপি)