1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জলবায়ু তহবিলের রাজনৈতিক ব্যবহার

সমীর কুমার দে, ঢাকা৯ জুলাই ২০১৪

ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার চেয়ে রাজনৈতিক স্বার্থেই জলবায়ু তহবিলের অর্থ বেশি দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ, টিআইবি৷

https://p.dw.com/p/1CYjx
Delphine im Ganges Bangladesch
ছবি: Rubaiyat Mansur

তাদের দাবি, তহবিল থেকে অর্থ পেয়েছে এমন এনজিওর ঠিকানাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না৷ বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ রেজিলিয়েন্স ফান্ড বা বিসিসিআরএফ থেকে অর্থ পাওয়া ৪০টি এনজিও পরিদর্শন করে টিআইবি একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছে৷ বুধবার প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বন ও পরিবেশমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু৷ তিনি এই প্রতিবেদনের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ না করে বলেন, ‘‘অনেক সময় দেখা যায় প্রকল্পের জন্য টাকা নেয়া হয়, কিন্তু কাজ হয় না৷ বিষয়টি আমরা অধিকতর গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখছি৷'' তিনি বলেন তহবিলের অর্থ যেন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় যায় সেজন্য তিনি সবসময় সচেষ্ট রয়েছেন৷ কাদের এই ফান্ড দেয়া হচ্ছে তাও নিয়মিত তদারকি করা হচ্ছে বলে জানান মন্ত্রী৷

টিআইবির প্রতিবেদনে বলা হয়, বিসিসিআরএফ'এ দাখিলকৃত প্রকল্প প্রস্তাব কারিগরি কমিটির মূল্যায়নে অযোগ্য বিবেচিত হলেও বিসিসিআরএফ থেকে ওই প্রকল্প অনুমোদন পাচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে৷ টিআইবি বিসিসিআরএফ তহবিল প্রাপ্ত ৪০টি এনজিও বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করে প্রতিষ্ঠান নির্বাচনে কতগুলো চ্যালেঞ্জ চিহ্নিত করেছে৷ চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে আইনি প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পর্ষদ রাজনীতির সাথে সরাসরি জড়িত, পিকেএসএফ প্রদত্ত ঠিকানা অনুযায়ী এনজিওর অবস্থান খুঁজে না পাওয়া, রাজনৈতিক প্রভাবের মাধ্যমে প্রকল্প প্রাপ্তি, বাধ্যবাধকতা থাকা সত্ত্বেও প্রকল্প এলাকায় অফিস না থাকা, বসবাসরত বাসাকে লিঁয়াজো অফিস হিসেবে ব্যবহার এবং প্রাক্কলনের ২০ শতাংশ কমিশন হিসেবে গ্রহণের অভিযোগ রয়েছে৷

প্রতিবেদনে বলা হয়, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ২০৩০ সালের মধ্যে সামগ্রিক দারিদ্র্যের হার আরও ১৫ শতাংশ বাড়বে৷ এছাড়া ২০৫০ সালের মধ্যে সমুদ্রের পানির পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার কারণে সৃষ্ট লবণাক্ততা এবং তাপমাত্রার ঊর্ধ্বগতির কারণে ধান ও গমের উৎপাদন যথাক্রমে ৮ এবং ৩২ শতাংশ কমে যেতে পারে৷

প্রতিবেদনের সুপারিশে বলা হয়, জলবায়ু তহবিল ছাড়, প্রকল্প অনুমোদন ও বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠী এবং অভিজ্ঞ ও স্বার্থের দ্বন্ধ বহির্ভূত বিশেষজ্ঞ বা নাগরিকদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে৷

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, আগামী ২০ বছরের মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সবচেয়ে ঝুঁকিতে অবস্থানকারী দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের স্থান সবার উপরে৷ সরকারকে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় স্বদিচ্ছার প্রমাণ দেখাতে হবে৷ বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় জলবায়ু অর্থায়ন সুশাসন প্রকল্পের (সিএফজিপি) আওতায় টিআইবির চলমান গবেষণার অংশ হিসেবে এ গবেষণাটি পরিচালিত হয়েছে বলে জানান তিনি৷

গবেষণায় বৈশ্বিক এবং জাতীয় পর্যায়ে জলবায়ু তহবিল ছাড়, সমন্বয় ও বাস্তবায়নে সুশাসন নিশ্চিতের ক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক ও প্রায়োগিক অগ্রগতি, চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা চিহ্নিত করার বিষয়গুলো গুরুত্ব দেয়া হয়৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য