1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ট্রাম্প-রাশিয়া যোগাযোগ

৯ মে ২০১৭

যতই তিনি ঝেড়ে ফেলতে চাইছেন, রাশিয়ার কালো ছায়া ততই তাঁর ঘাড়ে চাপছে৷ এবার ট্রাম্প প্রশাসনের উপর রাশিয়ার প্রভাব নিয়ে আরও চাঞ্চল্যকর দাবি প্রকাশ্যে এলো৷ ট্রাম্প আর কতকাল এই চাপ সামলাতে পারবেন, তা নিয়ে জল্পনা-কল্পনা চলছে৷

https://p.dw.com/p/2cdtY
স্যালি ইয়েটস
ছবি: picture alliance/dpa/P. Martinez Monsivais/AP

১৮টি দিন৷ ট্রাম্প প্রশাসনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে এই ক'টা দিন নিযুক্ত ছিলেন জেনারেল মাইকেল ফ্লিন৷ রাশিয়ার সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের বিষয়টি কারো অজানা নয়৷ তবে সেই সম্পর্ক আসলে কতটা গভীর, তা-ও এখনো পুরোপুরি স্পষ্ট হয়নি৷ ওয়াশিংটনে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়ে ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের কাছে সত্য গোপন করার অভিযোগে শেষ পর্যন্ত তাঁকে বরখাস্ত করা হয়৷ ট্রাম্প ভেবেছিলেন, এর ফলে ফ্লিনকে নিয়ে বিতর্ক শেষ হয়ে যাবে৷ কিন্তু আরেক বরখাস্ত হয়ে যাওয়া কর্মকর্তা সংসদের এক কমিটির সামনে মারাত্মক অভিযোগ আনায় গোটা বিষয়টি আবার প্রকাশ্যে গুরুত্ব পাচ্ছে৷

ট্রাম্প প্রশাসন ক্ষমতা গ্রহণ করার সময়ে কার্যনির্বাহী অ্যাটর্নি জেনারেল ছিলেন স্যালি ইয়েটস৷ প্রশাসনের প্রথম ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারির সময় তিনি এই পদক্ষেপের কড়া সমালোচনা করেছিলেন৷ বলেছিলেন, এই নির্বাহী আদেশ সংবিধান-বিরোধী৷ ফলে ট্রাম্প তাঁকে বরখাস্ত করেন৷ এতকাল নীরব থাকার পর তিনি এবার মুখ খুলেছেন৷ সেনেটের বিচার বিভাগীয় কমিটির সামনে সোমবার তিনি বলেন, জানুয়ারি মাসেই তিনি ট্রাম্প প্রশাসনকে জেনারেল ফ্লিন সম্পর্কে সাবধান করে দিয়েছিলেন৷ বলেছিলেন, রাশিয়া ফ্লিন সম্পর্কে এমন কিছু জানে, যা তারা ব্ল্যাকমেলের অস্ত্র হিসেবে কাজে লাগাতে পারে৷

উল্লেখ্য, স্বয়ং বারাক ওবামাও ট্রাম্পকে ফ্লিনের বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছিলেন বলে সম্প্রতি জানা গেছে৷ ব্রিটেনের গোয়েন্দা সংস্থাগুলিও ২০১৫ সালের শেষেট্রাম্পের কয়েকজন উপদেষ্টার সঙ্গে রাশিয়ার সন্দেহজনক আদানপ্রদান টের পেয়ে সেই তথ্য মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলির হাতে তুলে দিয়েছিল বলে দ্য গার্ডিয়ান সংবাদপত্র দাবি করেছিল৷ স্যালি ইয়েটস বলেন, সেই দাবি একেবারে সত্য৷

বলা বাহুল্য, রাশিয়ার সঙ্গে নিজের টিমের যোগাযোগের অভিযোগ নিয়ে চরম অস্বস্তিতে ভুগছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ সোমবারের ঘটনার পর তিনি যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করে ক্ষুব্ধ হয়ে বেশ কয়েকটি টুইট করেন৷

কিন্তু স্যালি ইয়েটস সতর্ক করে দেওয়া সত্ত্বেও হোয়াইট হাউস দীর্ঘ সময় ধরে জেনারেল ফ্লিনের বিষয়ে কেন এত নীরব ছিল, সেই প্রশ্ন নতুন করে উঠে আসছে৷ সংসদের তদন্তের পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থাগুলির তদন্তে আরও কী উঠে আসে, সে বিষয়ে জল্পনা-কল্পনা চলছে৷

এসবি/এসিবি (রয়টার্স, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য