1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতন চালিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ

১৬ জুলাই ২০০৯

ভয়ভীতি প্রদর্শন করে বেশকিছু রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুর ঘর ভেঙ্গে বাংলাদেশী পুলিশ প্রশাসন লুটপাট করেছে৷ বুধবার সীমান্ত এলাকায় কাজ করে জাতিসংঘের এমন একদল দাতব্য চিকিৎসক তাদের দেয়া এক বিবৃতিতে, এই অভিযোগ তুলে ধরেন৷

https://p.dw.com/p/Ir0m
ফাইল ফটোছবি: DW

চিকিৎসকদের ভাষ্যমতে, মঙ্গলবার পুলিশের ৩০জন সদস্য এবং স্থানীয় বেশ কিছু সরকারি কর্মকর্তা মিলে, কক্সবাজারের দক্ষিণে কুটুপালং শিবিরে রোহিঙ্গাদের উপর এই নির্যাতন চালায়৷ তাদের মতে, জোর করে ভয়ভীতি দেখিয়ে রোহিঙ্গাদের তাড়িয়ে দিয়ে, তাদের মালামাল লুটপাট করা হয়৷ এসময় তাদের আচরণ ছিল ,আগ্রাসী এবং কটুক্তিপূর্ণ, বলেও মন্তব্য করে চিকিৎসকরা৷

রোহিঙ্গাদের স্থানীয় প্রশাসন ৪৮ ঘন্টা সময় দেয় শিবিরটি পুরোপুরি ছেড়ে যাবার জন্য৷ অন্যথায় তাদের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়া হয়৷ চিকিৎসকরা বলছেন ঐসময় বেশ কিছু ডাক্তার ওখানে উপস্থিত ছিলেন৷

জাতিসংঘের এই ডাক্তারদের মতে, দীর্ঘদিন ধরে রোহিঙ্গাদের উপর যে নির্যাতন চালানো হচ্ছে এটি তারই একটি ধারাবাহিকতা৷ গেল জুন মাসেও রোহিঙ্গাদের উৎখাতের জন্য একই ধরণের নির্যাতন এবং হয়রানীমূলক ব্যবহার করা হয় বলে তাদের দেয়া বিবৃতিতে বলা হয়৷

বাংলা ভাষায় কথা বলে এমন মুসলমান রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের একটি বড় অংশ মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত হয়ে দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের কক্সবাজারের টেকনাফ উপকূলে অবস্থান করছে৷ তাদের বসবাসের জন্য জাতিসংঘ দুইটি শরনার্থী শিবীর খুলে দিয়েছে৷ সরকারি ভাবে বাংলাদেশে ২৮হাজার রোহিঙ্গার বসতি আছে বলা হলেও, বেশ কিছু বেসরকারি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে এই সংখ্যা তিন লাখের মতো৷ যাদের বেশির ভাগই শিবির ছেড়ে সাধারণ মানুষের মাঝে মিশে বসবাস করছে৷

প্রতিবেদক: ঝুমুর বারী

সম্পাদনা: আবদুস সাত্তার