1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানির সহায়তা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী

২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের সঙ্গে বৈঠকে এই সহায়তা চান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷ শনিবার জার্মানির মিউনিখে নিরাপত্তা সম্মেলনের ফাঁকে আলোচনায় মিলিত হন এই দুই নেতা৷

https://p.dw.com/p/2XuXJ
জার্মান চ্যান্সেলর ম্যার্কেলের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
ছবি: Getty Images/K. Koall

তাঁদের মধ্যে প্রায় ঘণ্টাকালীন কথা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম৷ সরকারি বার্তা সংস্থা বাসস-এর খবরে এই তথ্য জানানো হয়েছে৷

প্রধানমন্ত্রী জার্মান চ্যান্সেলরকে বলেন, ‘‘বাংলাদেশ মিয়ানমারের শরণার্থীদের পুনর্বাসনের বিষয়টি মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখছে৷ কিন্তু পর্যটন শহর কক্সবাজারে তাদের অবস্থান ও কর্মকাণ্ডের কারণে সেখানকার পরিবেশ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, স্যানিটেশন ব্যবস্থার বিপর্যয় ঘটছে, যা তাদেরও অমানবিক জীবনযাপনে বাধ্য করছে৷''

তাই বাংলাদেশ সরকার শরণার্থীদের একটি উন্মুক্ত, স্বাস্থ্যকর ও নাগরিক সুবিধা সম্বলিত স্থানে সরিয়ে নিতে চায় বলে জানান প্রধানমন্ত্রী৷ এ লক্ষ্যে জার্মানি সহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি৷

এছাড়া দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা সম্প্রসারণ নিয়েও দুই নেতার মধ্যে আলোচনা হয়৷ বৈঠক শেষে দুই দেশের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মরক স্বাক্ষরিত হয়৷ এর আওতায় জার্মানি বাংলাদেশকে ৫০ লাখ ই-পাসপোর্ট সরবরাহ করবে বলে জানা গেছে৷ সন্ত্রাস প্রতিরোধের লক্ষ্যে একটি যৌথ ঘোষণাও স্বাক্ষরিত হয়েছে৷

জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলকে বাংলাদেশ সফরেরও আমন্ত্রণ জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷

জলবায়ু বিষয়ক আলোচনা

মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনের সাইড লাইনে আয়োজিত ‘ক্লাইমেট সিকিউরিটি: গুড কপ, ব্যাড কপস' শীর্ষক এক প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷ তিনি ছাড়াও ফিনল্যান্ডের বর্তমান প্রেসিডেন্ট, সুইডেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, যুক্তরাষ্ট্রের সেনেটর ও আয়ারল্যান্ডের সাবেক প্রেসিডেন্ট আলোচনায় অংশ নেন৷

ন্যাটোর ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা

৫৩তম মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনের অন্যতম আলোচনার বিষয় ছিল ন্যাটো৷ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ন্যাটো সংক্রান্ত অতীত মন্তব্যের কারণে এর ভবিষ্যৎ নিয়ে অনেকের মনে আশঙ্কা তৈরি হয়৷ জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল বলেন, ন্যাটোর অস্তিত্ব শুধু ইউরোপ নয়, অ্যামেরিকার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ৷ ‘‘বর্তমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বহুপাক্ষিক প্রচেষ্টা প্রয়োজন'', বলে মনে করেন তিনি৷

ম্যার্কেলের পর দেয়া বক্তব্য মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স ন্যাটোর প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের ব্যাপারে ইউরোপকে আশ্বস্ত করেন৷ তবে ন্যাটো পরিচালনার জন্য সদস্য রাষ্ট্রগুলোর যে পরিমাণ অর্থ দেয়ার কথা তা পালন করতে সবার প্রতি আহ্বানও জানান তিনি৷ উল্লেখ্য, নিয়ম অনুযায়ী, ন্যাটোর প্রতিটি সদস্য রাষ্ট্রকে তাদের জিডিপির দুই শতাংশ প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় করার কথা৷ জার্মানি সেটি মেনে চলার চেষ্টা করবে বলে জানান ম্যার্কেল৷

জেডএইচ/ডিজি (বিএসএস, এএফপি, ডিপিএ, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য