1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রোহিঙ্গা পুনর্বাসনে বিদেশি সাহায্যের ওপর নির্ভরতা নয়

২৭ মার্চ ২০১৮

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, ভাসান চরে এক লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে পুনর্বাসনের জন্য ২৮০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা প্রয়োজন৷ তবে সেজন্য বিদেশি সাহায্যের ওপর নির্ভর করছে না বাংলাদেশ৷

https://p.dw.com/p/2v3Ql
Bangladesch Myanmar - Grenzgebiet Rohingya - Flüchtlinge
ছবি: Getty Images/AFP/T. Mustafa

নিউইয়র্কে বাংলাদেশের  জাতিসংঘ মিশনেবার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন৷ প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গোপসাগরের উপকূলবর্তী ভাসান চরে জমি তৈরি, সাইক্লোন প্রতিরোধ, আবাস ও অন্যান্য অবকাঠামো তৈরি করতে এই অর্থ প্রয়োজন৷

‘‘যেহেতু এই অর্থের অংকটি অনেক বড়, তাই কোনো সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়নি.'' বলছিলেন তিনি৷ ‘‘এখন পর্যন্ত আমরা আমাদের অর্থ নিয়েই এগোনোর চিন্তা করছি৷ কারণ, বিদেশি সাহায্যের ব্যাপারে খুব একটা আশাবাদী হতে পারছি না৷'' শাহরিয়ার আলম জানান যে, রোহিঙ্গাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে ফেরত পাঠানো হবে না৷ যারা সেখানে যেতে আগ্রহী হবেন, তাদেরই পাঠানো হবে৷

 গত বছরের আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশের কক্সবাজার এলাকায় পালিয়ে এসেছেন৷ পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছন, মিয়ানমারের সঙ্গে রোহিঙ্গাদের ফেরত নেবার বিষয়ে চুক্তি হলেও তা বাস্তবায়নে দেরি হচ্ছে বলে তাদের ভাসান চরে পুনর্বাসনের প্রক্রিয়া শুরু করে দিতে চাচ্ছে সরকার৷ তিনি বলেন, আগামী বর্ষা মৌসুমের আগেই প্রক্রিয়া শুরুর কথা ভাবছে সরকার৷

ভাসান চরে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনের বিষয়ে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ মানবাধিকার সংস্থাগুলোর অনেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে৷ তারা বলছে, এই চরটি পানিতে তলিয়ে যেতে পারে৷ এ বিষয়ে শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘‘আমরা বাঁধ নির্মাণ করছি৷ তাই উদ্বেগের কোনো কারণ নেই৷''

খুব আশাবাদী না হলেও এই উদ্যোগ বাস্তবায়নে যে বিপুল পরিমাণ অর্থ দরকার তাতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনের সহযোগিতা আশা করছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী৷

জেডএ/এসিবি (রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য