1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রোহিঙ্গা শিশুদের জীবন

২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭

মিয়ানমারের সহিংসতা থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শিশুদের ক্ষুধার হাত থেকে বাঁচাতে চিনাবাদামের পেস্ট খাওয়ানো শুরু করেছে বিভিন্ন সাহায্য সংস্থা৷ বড় এক ‘বিপর্যয়’ থেকে বাঁচাতে সাময়িকভাবে এই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/2kqUL
ছবি: Reuters/C. McNaughton

জাতিসংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফ বলছে, ‘‘আগস্ট থেকে প্রতিবেশী দেশের যে শিশুরা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে, তাদের বড় একটা অংশ বিশাল হুমকির সম্মুখীন৷’’

বাংলাদেশ পরিদর্শন শেষে ইউনিসেফের নীতি নির্ধারকদের একজন অলিভার হোয়াইট বলেন, ‘‘আমরা বিপুল সংখ্যক মানুষের কথা বলছি, যারা এসেছেই ক্ষুধার্ত, অসুস্থ  হয়ে৷ আছে আহত শিশু, যাদের এই মূহুর্তেই স্যানিটেশনসহ বড় পরিসরে বসবাসের ব্যবস্থা হওয়া দরকার৷’’

এর মাত্র এক সপ্তাহ আগেও ইউনিসেফের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, ‘‘রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুরা ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে৷’’

ইউনিসেফের এক মুখপাত্র থমসন রয়টার্স ফাউন্ডেশনকে বলেন, ‘‘প্রায় ২৫০, ০০০ রোহিঙ্গা শিশুর পুষ্টির জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা দেয়া হচ্ছে, পাশাপাশি তৈরি খাবারও সরবরাহ করা হচ্ছে৷’’

এক ই-মেল বার্তায় দক্ষিণ এশিয়ায় জিন জ্যাকস সাইমন বলেন, ‘‘রোহিঙ্গা শরণার্থীরা এমন একটি এলাকা থেকে আসছে, যেখানে মানুষের পুষ্টির অবস্থা এমনিতেই উদ্বেগজনক৷’’

‘‘আরো শরণার্থী যদি আসে, তাহলে সাহায্য সংস্থাগুলি আর চাপ সামলাতে পারবে না৷ ফলে আরও মানুষ মারা যাবে,’’ তিনি যোগ করেন৷

সাইমন বলেন, ‘‘সুস্বাস্থ্যে ফিরতে অপুষ্ট শিশুদের কমপক্ষে ছয় সপ্তাহ এই বাদামের পেস্ট খেতে হবে৷ ভীষণ শক্তিদায়ক এই চিনাবাদামের পেস্ট প্যাকেট থেকে সরাসরি খাওয়া যাবে৷ এর ফলে দূষিত পানি ব্যবহারের ঝুঁকিও কমবে৷’’

সাহায্য সংস্থার ডাক্তাররা বলছেন, বাংলাদেশের শরণার্থী শিবিরে ‘জনস্বাস্থ্য দুর্যোগ’ চলছে৷ সামনের দিনগুলোতে নানারকম সংক্রামক রোগের ঝুঁকি অনেক গুণে বেড়ে যাবে৷ বিভিন্ন ধরনের রোগবালাই দেখা দেবার আশংকা তো আছেই৷

এএম/এসিবি (থমসন রয়টার্স ফাউন্ডেশন)