1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সংস্কারের ফলে ফ্রান্সে সংকট

১৭ নভেম্বর ২০১৭

প্রতিযোগিতার বাজারে টিকে থাকতে ইউরোপের যে দেশগুলি ঠিক সময়ে সংস্কার চালিয়েছে, তাদের অবস্থা আজ অনেক মজবুত৷ তবে সংস্কারের সঙ্গে শ্রমিকদের স্বার্থের সংঘাতও জড়িয়ে রয়েছে৷ ফ্রান্সে এখন চলছে সেই ঘাত-প্রতিঘাত৷

https://p.dw.com/p/2nmj9
Frankreich Grenze Proteste Bauern Landwirte Deutschland
ছবি: Getty Images/F. Florin

জার্মানির মারেভা রানফটল চিরকাল প্যারিসে গিয়ে থাকার স্বপ্ন দেখেছেন৷ আট মাস আগে তিনি সেখানে একটা কাফে খুলেছেন৷ কিন্তু প্যারিসে ছোট ব্যবসা চালানো কতটা কঠিন, সেটা তিনি ভাবতে পারেননি৷ বিশেষ করে কর্মী নিয়োগ করে তাঁদের দীর্ঘ প্রশিক্ষণের জন্য তিনি প্রস্তুত ছিলেন না৷ মারেভা বলেন, ‘‘সমস্যা হলো, ফ্রান্সে কর্মী ছাঁটাইয়ের বিরুদ্ধে কড়া নিয়ম রয়েছে৷ দু'মাস পরেও পেস্ট্রি তৈরির এক কারিগর বড়ই ধীরে কাজ করছিলেন৷ তাই তাঁকে ছাঁটাই করতে হয়৷ এর বেশি সময় রাখলেই তাঁর চাকরি পাকা হয়ে যেত৷ কাজে উন্নতি না করলেও বাধ্য হয়ে তাঁকে রাখতে হতো৷''

প্রস্তাবিত সংস্কার সত্ত্বেও কর্মী ছাঁটাইয়ের ক্ষেত্রে কড়া নিয়ম বজায় থাকবে৷ তবে নতুন নিয়মের আওতায় স্বল্প সময়ের চাকুরির চুক্তি সম্ভব হবে৷ নিয়োগকারীরাও কর্মীদের যোগ্যতা যাচাই করার যথেষ্ট সময় পাবেন৷ তাঁরা এই পরিবর্তনকে স্বাগত জানালেও শ্রমিক সংগঠনের অনেক অ্যাক্টিভিস্ট কিন্তু এর ফলে প্রমাদ গুনছেন৷ সিজিটি শ্রমিক সংগঠনের কাটরিন পেরে বলেন, ‘‘এর ফলে আমরা এক ধাক্কায় বিংশ শতাব্দীর শুরুতে শ্রমিকদের অবস্থায় ফিরে যাচ্ছি৷ নিয়োগকারীরা হিসেব করে কর্মী ছাঁটাইয়ের মূল্যায়ন করতে পারবেন৷ সেই জ্ঞান কাজে লাগিয়ে তাঁরা অভিজ্ঞ ও বেশি খরচের কর্মীদের ছাঁটাই করে তাঁদের জায়গায় সস্তায় তরুণ কর্মীদের নিয়োগ করতে পারবেন৷''

কট্টরপন্থি সিজিটি ইউনিয়ন এর মধ্যেই বড় আকারের প্রতিবাদ-বিক্ষোভের পরিকল্পনা করছে৷ এখনো পর্যন্ত অবশ্য বেশিরভাগ ইউনিয়ন তাদের এই কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছে না৷ অনেক অর্থনীতিবিদের মতে, এতে বিস্ময়ের কোনো কারণ নেই, কারণ পরিকল্পিত সংস্কারগুলি তেমন জোরালো নয়৷ উলটে তারা আরও পরিবর্তন দেখতে চায়৷ অর্থনীতিবিদ মিশেল রুইমি বলেন, ‘‘বিনিয়োগকারীদের উৎসাহ দিতে করের ক্ষেত্রে আরও ছাড়ের প্রয়োজন৷ সরকারকেও মজুরির সঙ্গে যুক্ত আনুষঙ্গিক ব্যয় কমাতে হবে৷ সেইসঙ্গে প্রশিক্ষণ ও ধারাবাহিক শিক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে৷ একমাত্র এভাবেই প্রতিযোগিতার বাজারে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য টিকে থাকতে পারবে৷''

মারেভা রানফটল-ও আশা করছেন, যে প্রথম দফার পর দ্বিতীয় দফার সংস্কারও কার্যকর হবে৷ তিনি বলেন, ‘‘দুই কর্মী রয়েছে৷ চাইলেও তিন জন রাখার সামর্থ্য নেই৷ মজুরির আনুষঙ্গিক ব্যয় বড্ড বেশি৷''

মজুরি নয়, শ্রমিকদের জন্য এমন ব্যয় কমাতে ও ছাঁটাই সংক্রান্ত নিয়ম শিথিল করতে আরও সংস্কারের প্রস্তুতি চলছে৷ তবে ফ্রান্সের ইউনিয়নগুলি বিনা সংগ্রামে সে সব মেনে নেবে, এমনটা আশা করা কঠিন৷

আন্দ্রে মায়ার/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান