1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সংসদের দিকে নজর সবার

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩

বাংলাদেশে নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা নিয়ে যে সংকট চলছে, তা সমাধানের সময় দ্রুত শেষ হয়ে যাচ্ছে৷ এই সংকট নিরসনে যদি সংবিধান সংশোধনের প্রয়োজন পড়ে, তা করার সুযোগ আছে এই চলতি অধিবেশনেই৷

https://p.dw.com/p/19h9e
A Bangladeshi laborer sweeps the pavement outside the national parliament building in Dhaka, Bangladesh, Friday, April. 6, 2007. Bangladesh's national elections, already delayed amid deadly violence over allegations of ballot-rigging will not be held for at least a year and a half, the top election official in the military-backed interim government said. (ddp images/AP Photo/Pavel Rahman)
ছবি: AP

৯ম জাতীয় সংসদের শেষ অধিবেশন শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার৷ তা চলবে ২৪শে অক্টোবর পর্যন্ত৷ এরপর সংসদ সদস্যরা তাঁদের পদে থাকলেও সংসদের অধিবেশন আর বসবেনা৷ তাতে স্পষ্ট যে সরকার তার মেয়াদের শেষ ৩ মাসে নির্বাচন করার লক্ষ্যেই এগিয়ে যাচ্ছে৷ এ কারণেই সংসদের শেষ অধিবেশনের মেয়াদ ২৪শে অক্টোবর পর্যন্ত করা হয়েছে৷ এর ৩ মাস পর ২৪শে জানুয়ারি সরকারের মেয়াদ শেষ হবে৷ নির্বাচনের কথা বলা হয়েছে ২৫শে জানুয়ারির মধ্যে৷

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের অধ্যাপক হাফিজুর রহমান ডয়চে ভেলেকে বলেন, দেশের প্রধান বিরোধী দল নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন চায়৷ আর তা করতে হলে সংবিধান সংশোধন প্রয়োজন হবে৷ কিন্তু সেই সুযোগ আছে ২৪শে অক্টোবর পর্যন্ত৷ এরপর সংসদ সদস্যরা তাঁদের পদে থাকলেও সংসদের অধিবেশন ডাকার আর কোনো সুযোগ নেই৷ তাই এই শেষ অধিবেশন চলাকালে যদি দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের মধ্যে সমঝোতা না হয়, তাহলে পরে আর সংবিধান সংশোধনের সুযোগ থাকবনো৷ তিনি আরও বলেন, তবে বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী মেয়াদ শেষ হওয়ার – মানে ২৪শে জানুয়ারির পরের ৩ মাসেও নির্বাচন করা যায়৷ তবে তাতেও সংকট সমাধানের কোন পথ সাংবিধানিকভাবে দেখা যাচ্ছেনা৷

তবে হাফিজুর রহমান মনে করেন, আসল সংকট হল দুই দলের অনড় অবস্থান৷ তারা যদি ছাড় দিয়ে সমঝোতায় আসে, তাহলে সংসদের অধিবেশন থাকা-না থাকায় কোন সমস্যা হবেনা৷ তিনি জানান, ১৯৯০-এর গণঅভ্যুত্থানে এরশাদের পতনের পর সংসদের মাধ্যমে সংবিধান সংশোধন করা হয়নি৷ তখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ও মন্ত্রিপরিষদ শাসিত সরকার ব্যবস্থার ব্যাপারে রাজনৈতিক সমঝোতা হয়৷ নির্বাচনের পরে সংবিধানের একাদশ এবং দ্বাদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তাকে বৈধতা দেয়া হয়৷ তাই আসল কাজ হলো রাজনৈতিক সমঝোতা৷

এদিকে ‘সুজন-সুশাসনের জন্য নাগরিক' (সুজন) সংগঠনের সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার ডয়চে ভেলেকে বলেন, সব দলের অংশগ্রহণ ছাড়া নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবেনা৷ তাই নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে একটি রাজনৈতিক সমঝোতা প্রয়োজন৷ সে জন্য প্রয়োজনে সংবিধান সংশোধনের সুযোগ আছে সংসদের চলতি অধিবেশনেই৷ তিনি তাই চান, এই অধিবেশন চলাকালেই রাজনৈতিক দলগুলো একটি সমঝোতায় আসুক৷ আর সমঝোতা না হলে সংঘাত অনিবার্য বলে মনে করেন তিনি৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য