1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সবাই খেতে পাক

শীর্ষ বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতা
১৮ জুন ২০১৮

শহরে কেউ যেন অভুক্ত না থাকে৷ এই মহতি উদ্দেশ্য নিয়ে বিনামূল্যে খাবার বণ্টনের এক অভিনব উদ্যোগ কলকাতার এক রেস্তোরাঁ মালিকের৷

https://p.dw.com/p/2znpu
Symbolbild Tasse Kaffee
ছবি: Colourbox

অ্যামেরিকায় এবং পশ্চিমের অনেক দেশেই এই খয়রাতি চালু বহু বছর ধরে, বিশেষ করে কফিশপে৷ ‘‌রিজার্ভ কফি’‌, বা ‘‌কফি অন দ্য ওয়াল’‌, নানা নামে ডাকা হয় এই প্রথাকে, যেখানে একজন গ্রাহক নিজের কফির দাম দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তি একটি কফির দাম দিয়ে যান৷ সেই বাড়তি কফি জমা থাকে কোনো তৃষ্ণার্ত মানুষের জন্য, যাঁর হয়ত নিজের টাকায় এক কাপ কফি খাওয়ার সামর্থ নেই৷

কফিশপের বাইরে বোর্ডে লেখা থাকে, এরকম কটা নিখরচার কফি জমা আছে৷ পথবাসী মানুষজন, ভবঘুরেরা এসে সেই কফি খেয়ে যেতে পারেন৷

ভারতের মতো দেশে সমস্যার চেহারাটা অনেক আলাদা, যেখানে বিপুল জনসংখ্যার এক বড় অংশ দারিদ্র্যসীমার নীচে বাস করেন এবং তাঁদের অনেকেই আধপেটা খেয়ে থাকেন৷ অভুক্ত থাকতে হয় টানা কয়েকদিন, এমন দুঃসহ পরিস্থিতিও তৈরি হয় কখনও৷

অথচ অন্যদিকে দেশের জনগোষ্ঠীর এক অংশ ফেলে-ছড়িয়ে খেয়েও প্রচুর খাবার নষ্ট করেন নিয়মিত৷ সেই অপচয় বন্ধ করে ক্ষুধার্তের মুখে দুটো খাবার তুলে দেওয়ার উদ্যোগের শুরুটা ভারতে প্রথম হয়েছিল দক্ষিণ ভারতের কোচি শহরে৷ সেখানে এক রেস্তোরাঁ মালিক পথের ধারে একটি ফ্রিজ রাখতে শুরু করেন, যেখানে প্রতিদিন জমা হতো উদ্বৃত্ত খাবার৷ গরিব মানুষ এসে সেই খাবার নিয়ে যেতে শুরু করেন৷

কোচির দৃষ্টান্তে অনুপ্রাণিত হয়ে মুম্বইয়ে একই উদ্যোগ নেওয়া হয়৷ তারপর শুরু হয় গুরগাঁওতে৷ এবার সেই একই মহৎ পরিষেবা শুরু হলো কলকাতায়৷ শহরের জনপ্রিয় মোগলাই খাবারের রেস্তোরাঁ ‘‌সান্‌ঝা চুল্‌হা’‌-র মালিকানার অন্যতম অংশীদার আসিফ আহমেদ৷ এক এক করে শহরে তিনি তিনটি ‘‌ফুড এটিএম’‌ চালু করেছেন, যা আদতে একেকটি ৩৮০ লিটারের অতিকায় রেফ্রিজারেটর৷

এই ফ্রিজগুলির দরজা কাচের, যাতে ভেতরের খাবার দেখা যায়৷ সান্‌ঝা চুল্‌হার পক্ষ থেকে সোমনাথ ডয়চে ভেলেকে জানালেন, তাঁদের রেস্তোরাঁয় প্রতিদিনের উদ্বৃত্ত খাবার এই ফ্রিজে জমা হয়৷ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে কেটারিংয়ের সময় যে খাবার বাঁচে, তাও ওরা চেয়ে নিয়ে আসেন৷ ছোট ছোট প্যাকেটে ভাগ করে ফ্রিজে রাখা থাকে খাবার৷

’রেস্তোরাঁয় প্রতিদিনের উদ্বৃত্ত খাবার ফ্রিজে জমা হয়’

অভাবী, অভুক্ত মানুষ এসে চাইলে সেই খাবার তাঁদের দিয়ে দেওয়া হয়৷ রোজ এইভাবেই প্রায় ১৫০ মানুষের অন্নসংস্থান করেন ওঁরা৷ একটি অঞ্চলে ফ্রিজটি দেখভাল করা এবং খাবার বিলির ভার নিয়েছেন স্থানীয় ক্লাবের সদস্যরা৷ এভাবে ক্রমশ সারা শহরে খাবার ছড়িয়ে দিতে চান ওঁরা, জানালেন সোমনাথ, যে উদ্যোগের শিরোনাম দিয়েছেন ওঁরা — ‘‌হাঙ্গার ফ্রি কলকাতা’‌৷ ক্ষুধামুক্ত কলকাতা৷

এর মূল মন্ত্র হলো, খাবার নষ্ট না করা৷ রেস্তোরাঁতে যাঁরা খেতে আসেন, তাঁদের প্রত্যেককে এই কথা একবার করে বলেন ওঁরা৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান