1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সমকামীদের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন 'ফ্রি জোন'

১২ মার্চ ২০২১

যুগান্তকারী প্রস্তাব পাশ ইউরোপীয় ইউনিয়নে। সমকামী সহ গোটা এলজিবিটিকিউ গোষ্ঠীর জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলি মুক্তাঞ্চল।

https://p.dw.com/p/3qWA0
এলজিবিটিকিউ আন্দোলন
ছবি: REUTERS

ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশে সমকামী সহ গোটা এলজিবিটিকিউ গোষ্ঠী দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চালাচ্ছে। এর মধ্যে গে, লেসবিয়ান, রূপান্তরকামী সহ একাধিক যৌনবৃত্তির মানুষ আছেন। তাদের বক্তব্য, ইউরোপের বহু দেশে সমকামীদের প্রাপ্য সম্মান দেওয়া হয় না। তাদের মানবাধিকার রক্ষিত হয় না। বস্তুত, পোল্যান্ডের প্রশাসন সমকামিতাকে ব্যাধি বলে মনে করে। সমকামীদের বিরুদ্ধে নানা ব্যবস্থাও নেওয়া হয় সেখানে। একই পরিস্থিতি হাঙ্গেরিতে। সেখানেও প্রশাসন সমকামীদের অধিকার রক্ষা করে না।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাম্প্রতিক রেসোলিউশন বা প্রস্তাবে এই প্রতিটি বিষয়কেই গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। পোল্যান্ড এবং হাঙ্গেরির নাম উল্লেখ করে তাদেরকে সতর্ক করা হয়েছে। ইইউ-র সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ইউনিয়নের ২৭টি দেশে সমকামী সহ গোটা এলজিবিটিকিউ গোষ্ঠীর মানবাধিকার রক্ষা করতে হবে। তাদের উপর কোনো রকম আক্রমণ করা যাবে না। বৈষম্যমূলক আচরণও করা যাবে না। আর সকলের মতো এই গোষ্ঠীর মানুষেরাও স্বাভাবিক এবং স্বচ্ছন্দ্য জীবনযাপন করতে পারবেন।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের ৪৯২ জন আইনপ্রণয়নকারী এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। ১৪১ জন বিপক্ষে। ৪৬ জন ভোট দেওয়া থেকে বিরত থেকেছেন। অর্থাৎ, বিপুল ভোটে এই প্রস্তাব পাশ হয়েছে।

পোল্যান্ড অবশ্য এরমধ্যেই এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে। সেখানকার প্রশাসনের বক্তব্য, তাদের দেশ রক্ষণশীল। সেখানে সমাজ কীভাবে চলবে, তা দেখার এবং বোঝার দায়িত্ব সার্বভৌম সরকারের। নীতি প্রণয়নও সে ভাবেই হয়। স্বাধীন সরকারের নীতিতে হস্তক্ষেপ করার অধিকার কারো নেই।

এখানেই উদ্বেগ। ইউরোপের বহু মানবাধিকার গোষ্ঠীর বক্তব্য, ইইউ যে প্রস্তাব নিয়েছে, তা যুগান্তকারী। কিন্তু বাস্তবে তার প্রয়োগ হবে তো! বহু সিদ্ধান্তই খাতায় থেকে যায়। বাস্তবে তার প্রয়োগ হয় না। এক্ষেত্রেও সেই একই বিষয় ঘটবে না তো!

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, ডিপিএ)