সাহায্য নিয়ে তুরস্কে স্থির হচ্ছে শরণার্থীরা

ইজমিরের বাসমানি জেলা মানব পাচারকারীদের বিরুদ্ধে অভিযানের এলাকা হিসেবে পরিচিত৷ সাম্প্রতিক সময়ে সেখানে শরণার্থীদের দোকান-পাটের সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে৷ অনেক সিরীয় এখানে বসবাস করেন৷ এদের অনেকে আবার তুর্কী বন্ধুদের নামে দোকান খোলেন, জানান রিলিফ সোসাইটির এক সদস্য৷

শরণার্থীদের জন্য নিত্যদিনের বিল পরিশোধ অনেক সমস্যার মধ্যে একটি সমস্যা৷ তারা তাদের বেকার জীবনের অধিকাংশ সময় কাটান ক্যাফেতে বসে৷ অনেকেই সাধারণ স্বাস্থ্য সেবাও পান না৷ জার্মান মেডিক্যাল শিক্ষার্থী লিয়া ভিল্মসেন সেখানে অনেক শরণার্থীকে বিনা খরচায় চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন৷

দোভাষীর সহায়তায় শরণার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন ভিল্মসেন৷ তাদের বাড়িতে গিয়ে চিকিৎসা করেন তিনি৷ ছবির শিশুটির শ্বাসপ্রশ্বাসে সমস্যা দেখা দিয়েছে৷ ভিল্মসেন মনে করেন, দু’টি ছোট্ট রুমে ১৪ জন মানুষ বসবাস করছেন৷ ফলে এই সমস্যা৷

লাইফ জ্যাকেটের দোকানের পাশে খেলছে এক শিশু৷ ইজমিরে থাকা অধিকাংশ শরণার্থী শিশু কিশোর নিয়মিত স্কুলে যায় না৷ তারা বরং বাড়িভাড়া জোটাতে ছোটখাট কাজ করে৷

শরণার্থীদের জন্য কমিউনিটি সেন্টার তৈরির লক্ষ্যে একটি পরিত্যাক্ত ভবন সংস্কার করছেন ইউনিয়ন আয়োজক ইয়ালচিন ইয়ানিক৷ তিনি বলনে, ‘‘আমি শরণার্থীদের সেভাবে সহায়তা করছি, যেভাবে একসময় শ্রমিকদের সহায়তা করতাম৷’’

আরেক স্বেচ্ছাসেবী ক্রিস ডাউলিং জানান, শরণার্থীদের এমনভাবে সাহায্য করা হয় যাতে তারা সাহায্যের উপর পুরোপুরি নির্ভরশীল হয়ে না যান৷ তিনি বলেন, ‘‘আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে তাদের সমাজের সঙ্গে একীভূত করা, তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করা এবং কাজে পেতে কিংবা নিজের মতো কিছু করতে সাহায্য করা৷’’

মানবিক সাহায্য সংস্থা মার্সি কর্পস ইউরোপীয় অনুদানে চলে৷ সংস্থাটি সম্প্রতি ইজমিরে কাজ শুরু করেছে৷ মূলত শরণার্থীদের গৃহায়ন সমস্যা সমাধানে কাজ করে তারা৷