1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সিরিয়া সংঘাত কোনদিকে?

১০ এপ্রিল ২০১৭

ওয়াশিংটন দৃশ্যত আগের মতোই আসাদের অপসারণ চায়৷ রাশিয়া যাতে আসাদের প্রতি সমর্থন প্রত্যাহার করে, সেজন্য সচেষ্ট জার্মানি ও অন্যান্য ইউরোপীয় দেশ৷

https://p.dw.com/p/2ayrZ
Syrien Bürgerkrieg Aleppo Wandbild Assad
ছবি: Reuters/M. Hasano

রাশিয়া সিরিয়ায় কথিত রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের তদন্ত সমর্থন করবে বলে জানিয়েছেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ৷ তিনি জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিগমার গাব্রিয়েলকে একটি ফোনালাপে এ কথা বলেন৷ তিনি আশা করবেন এই প্রস্তাব ‘‘আন্তরিক'' বলে গাব্রিয়েল জার্মান টেলিভিশন কেন্দ্র জেডডিএফ-এর সাক্ষাৎকারে মন্তব্য করেছেন৷

‘‘উত্তরোত্তর সামরিক সংঘাত বৃদ্ধি'' অতি অবশ্য রোধ করতে হবে, বলেছেন গাব্রিয়েল৷ এবং শুধুমাত্র রাশিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কথা বললে চলবে না – ইরান, সৌদি আরব ও অপরাপর প্রতিবেশি দেশের সঙ্গেও কথা বলতে হবে৷ ‘‘এই ভীতিকর মুহূর্তের সুযোগ নিয়ে বিভিন্ন পক্ষকে গোলটেবিলে বসানোর'' প্রচেষ্টা করতে হবে, গাব্রিয়েল ঘোষণা করেছেন৷ সবচেয়ে বড় কথা, রাশিয়াকে ‘‘আসাদের প্রতি অটল বিশ্বস্ততা'' থেকে সরে আসতে রাজি করাতে হবে, বলেছেন গাব্রিয়েল৷

দৃশ্যত ইরানের উদ্যোগে রবিবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিনের সঙ্গে ইরানের রাষ্ট্রপ্রধান হাসান রুহানির টেলিফোনে কথা হয়৷ দুই নেতা সিরিয়ার ইদলিব প্রদেশের খান শেইখুনে সম্ভাব্য রাসায়নিক আক্রমণের বস্তুনিষ্ঠ তদন্তের ডাক দিয়েছেন৷

মার্কিন সিরিয়া নীতি পাল্টাচ্ছে

জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত নিকি হেইলি সিএনএন সংবাদ সংস্থার একটি সাক্ষাৎকারে বলছেন যে, আসাদ ক্ষমতায় থাকাকালীন সিরিয়ায় শান্তি সম্ভব হবে না৷ দৃশ্যত সিরিয়ায় সরকার বদলাবে, বলে মার্কিন প্রশাসন মনে করে৷

বারাক ওবামা প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন যুক্তরাষ্ট্র আসাদের অপসারণ দাবি করে এসেছে – কিন্তু ট্রাম্পের প্রেসিডেন্সিতে সেই দাবি যেন কিছুটা নরম হতে চলেছে, বলে মনে হচ্ছিল৷ এমনকি খান শেইখুনের রাসায়নিক আক্রমণের আগে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসনকে বলতে শোনা গেছে যে, সিরিয়ার জনগণের আসাদের ভাগ্য নির্ধারণ করা উচিত – অর্থাৎ আসাদ যদি আবার নির্বাচনের জন্য দাঁড়ান, তাহলে ওয়াশিংটন তার বিরোধিতা করবে না৷

খান শেইখুনের আক্রমণের পর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সিরিয়ার বিমানবাহিনীর শরিয়ৎ বিমানঘাঁটির উপর টোমাহক মিসাইল নিক্ষেপের নির্দেশ দেন – যা শুক্রবার ভোরবেলা ঘটে এবং সিরিয়ায় মার্কিন নীতির খেলনলচে পাল্টে দেয়৷

এবার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এইচ আর ম্যাকমাস্টার তাঁর প্রথম টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে রাশিয়ার প্রতি সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে মস্কোর সমর্থনের পুনর্মূল্যায়ন করার ডাক দিয়েছেন৷ এছাড়া তিনি সিরিয়ার বিরুদ্ধে উত্তরোত্তর সামরিক পদক্ষেপের সম্ভাবনাও বাতিল করেননি৷ সিরিয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দু'টি লক্ষ্যের কথা বলেন ম্যাকমাস্টার: ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠীকে পরাজিত করা এবং আসাদকে ক্ষমতা থেকে অপসারণ করা৷

এসি/ডিজি (এপি, রয়টার্স, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য