1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সিরিয়ায় মার্কিন নীতি

২০ জুলাই ২০১৭

ট্রাম্প প্রশাসনের উপর রাশিয়ার প্রভাব নিয়ে যখন চারিদিকে জল্পনাকল্পনা তুঙ্গে, তখন ওয়াশিংটন পোস্ট দাবি করলো যে, সিরিয়ায় বিদ্রোহীদের সহায়তা বন্ধ করছে অ্যামেরিকা৷ ফলে আসাদের উপর চাপ কিছুটা কমে গেল৷

https://p.dw.com/p/2gqOS
সিরিয়ায় বিদ্রোহীদের সংগ্রাম
ছবি: Getty Images/AFP/K. al-Masri

ওয়াশিংটন পোস্ট সংবাদপত্রের সূত্র অনুযায়ী, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ সিরিয়ায় বিদ্রোহীদের জন্য সাহায্য বন্ধ করে দিচ্ছে৷ তারা এতকাল সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালিয়ে আসছিল৷ প্রায় ৪ বছর ধরে গোপন এক অভিযানে সিআইএ বিদ্রোহীদের নানাভাবে সাহায্য করে আসছিল৷ কিন্তু তার ফলে সীমিত সাফল্যের কারণে সিআইএ এই কর্মসূচি বন্ধ করতে চলেছে৷ তাছাড়া ২০১৫ সাল থেকে রাশিয়ার বাহিনী সরাসরি আসাদের সহায়তা করতে এগিয়ে আসার ফলেও পরিস্থিতি বদলে গেছে৷ আসাদ বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে বিদ্রোহীরা অনেক জমি হারিয়েছে৷

ওয়াশিংটন পোস্ট আরও দাবি করছে যে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রায় এক মাস আগে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন৷ তবে হোয়াইট হাউস ও সিআইএ এখনো এ বিষয়ে প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করছে না৷ ২০১৩ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বিদ্রোহীদের সাহায্য করার কর্মসূচির অনুমোদন দিয়েছিলেন৷ এর আওতায় হাজার হাজার বিদ্রোহীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এবং তাদের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়া হয়৷

অ্যামেরিকার সিরিয়া নীতির ক্ষেত্রে এত বড় পরিবর্তনের কারণ কী? প্রতিবেদন অনুযায়ী, সিরিয়ায় শান্তি আনতে ট্রাম্প প্রশাসন রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী৷ ফলে সিরিয়ায় সীমিত প্রভাব ও আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করার ইচ্ছার অভাব কার্যত মেনে নিচ্ছে ওয়াশিংটন৷ উল্লেখ্য, রাশিয়া ও অ্যামেরিকা আগেই আলোচনার মাধ্যমে সিরিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলে এক অস্ত্রবিরতি ঘোষণা করেছে৷

ওয়াশিংটনের এই সিদ্ধান্ত যদি সত্য প্রমাণিত হয়, সে ক্ষেত্রে ট্রাম্প প্রশাসনের উপর রাশিয়ার প্রভাব নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠতে পারে৷ নির্বাচনি প্রচারের সময় থেকে ট্রাম্প টিমের উপর রাশিয়ার প্রভাব নিয়ে একাধিক তদন্ত চলছে৷

এদিকে রাশিয়ার সঙ্গে ট্রাম্প প্রশাসনের বেড়ে চলা ঘনিষ্ঠতা নিয়ে জাতীয় নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টাদের অস্বস্তি বাড়ছে৷ হামবুর্গে জি-টোয়েন্টি শীর্ষ সম্মেলনে ট্রাম্প ও পুটিন যেভাবে একান্তে গোপন আলোচনা চালিয়েছিলেন, তার ফলেও উপদেষ্টারা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন৷

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিছু কর্মকর্তা সংবাদ সংস্থা এপি-র কাছে এ বিষয়ে মন্তব্য করেছেন৷ এমনকি প্রশাসনের মধ্যেও রাশিয়ার প্রশ্নে গভীর বিভাজন রয়েছে বলে তাঁরা দাবি করেছেন৷ বিশেষ করে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেনারেল এইচ আর ম্যাককাস্টার মনে করেন, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিনের উপর ভরসা করা যায় না৷ এমনকি ট্রাম্প-পুটিন সরকারি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে তিনি অনুপস্থিত ছিলেন, যা অত্যন্ত অস্বাভাবিক ঘটনা৷ এই অবস্থায় ট্রাম্প প্রশাসনের রাশিয়া-নীতি এখনো অস্পষ্ট রয়ে গেছে৷

এসবি/এসিবি (এএফপি, রয়টার্স, ডিপিএ, এপি)