1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সীমান্ত হত্যা

২৯ সেপ্টেম্বর ২০১২

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত বৈঠকে সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে আবারো ভারত প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি’র মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আনোয়ার হোসেন৷

https://p.dw.com/p/16HQN
Indian Border Security Force soldiers patrol in the early morning fog along barbwire fence along the India Bangladesh border in Jaipur village near Agartala, capital of India?s northeastern state Tripura, Monday, Dec. 4, 2006. Security along the border has been intensified following Political instability and continuing violence in Bangladesh. India shares over 4,000 kilometers (2500 miles) border with Bangladesh. (AP Photo/Ramakanta Dey)
ছবি: AP

তবে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ'এর মহাপরিচালক ইউ কে বনশাল দাবি করেছেন, বিএসফ শুধুমাত্র জীবন বাঁচানোর জন্যই গুলি ছোড়ে৷

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পাঁচদিনের সীমান্ত বৈঠক আজ শনিবার ঢাকায় শেষ হয়েছে৷ এবারের বৈঠকে সীমান্ত হত্যা প্রসঙ্গ সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পায়৷ কারণ দেড় বছর আগে ভারত সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল৷ তারপরও গত বছর সীমান্ত হত্যা বেড়েছে৷ ২০১০ সালে সীমান্তে বিএসএফ'এর হাতে ৩৭ জন বাংলাদেশি নিহত হন৷ আর ২০১১ সালে ৩৯ জন৷ আর চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ২২ জন বাংলাদেশি৷ দেড় বছর আগে বিএসএফ'এর হাতে বাংলাদেশের কিশোরী ফেলানী হত্যা দুই দেশেই ব্যাপক সমালোচানার ঝড় তোলে৷ এছাড়া রয়েছে আরো অনেক নির্যাতনের অভিযোগ৷ বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে বিএসএফ'এর মহাপরিচালক ইউ কে বনশাল এসব অপরাধের কোনো শাস্তির পরিসংখ্যান দিতে পারেন নি৷ শুধু কিশোরী ফেলানীর ঘটনায় তদন্ত প্রক্রিয়া চলার কথা জানান৷ তিনি বলেন, তদন্ত শেষে ব্যবস্থা নেয়া হবে৷

বনশাল স্বীকার করেন সীমান্তে গুলি না ছুড়তে দুই দেশেরই সীমান্তরক্ষী বাহিনী সম্মত আছে৷ তবে তিনি দাবি করেন বিএসএফ জীবন রক্ষায় গুলি ছোড়ে৷ আর যাদের গুলি করা হয় তারা অপরাধী৷

বিজিবি'র মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আনোয়ার হোসেন বলেন, ভারত সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে আবারো প্রতিশ্রুতি দিয়েছে৷ তিনি বলেন এই হত্যা কোনোভাবেই কাম্য নয়৷ এতে দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়৷

পাঁচদিনের বৈঠকে সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা চুক্তি কার্যকর করার বিষয়ে কিছু সিদ্ধান্ত হয়েছে৷ ভারত কোনো বিচ্ছন্নতাবাদী গোষ্ঠীকে বাংলাদেশকে আশ্রয় না দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে৷ জবাবে বাংলাদেশ বলেছে এই দেশের মাটিতে কখনোই সন্ত্রাসী-অপরাধীরা আশ্রয় পাবেনা৷ বৈঠকের সিদ্ধান্ত সমঝোতা স্মারক আকারে সই হয়েছে৷ বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত সম্মেলন এরপর ভারতের নতুনদিল্লিতে হবে৷

প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা

সম্পাদনা: জাহিদুল হক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য