সুবিচারের অপেক্ষায় হাতুন
৩১ জানুয়ারি ২০১৬২০০৫ সালে বড় দুই ভাই মুতুলু আর আলবাসালানের সহায়তা নিয়েই নিজের বড় বোন হাতুন সুরুচুকে গুলি করে হত্যা করে আয়হান৷ আয়হানের বয়স তখন ১৮ বছর৷ ওই বয়সেই বার্লিনের টেম্পেলহোফের কাছে বোনকে হত্যা করে সে৷ ২০০৬ সালে বার্লিনের আদালতেই দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় ৯ বছরের কারাদণ্ড হয় তাঁর৷ বয়স বেশি হলে শাস্তি আরো কঠোর হতো৷
২০১৪ সালে কারামুক্তির পর আয়হানকে তুরস্কে পাঠিয়ে দেয় জার্মান পুলিশ৷ তার আগে হাতুন হত্যার সঙ্গে পরোক্ষভাবে জড়িত বড় দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে খুব জোরালো প্রমাণ না পাওয়ায় বার্লিনের আদালত প্রথমে তাঁকে বেকসুর খালাস দেয়৷ কিন্তু কেন্দ্রীয় আদালত ২০০৭ সালে নতুন আইন প্রণয়ন করে তাদের বিচারের প্রস্তুতি শুরু করলে মুতুলু আর আলবাসালানও তুরস্কে চলে যায়৷
নিহত হওয়ার সময় ২৩ বছর বয়সি এক প্রাণোচ্ছল তরুণী ছিলেন হাতুন৷ কিন্তু পরিবারের পছন্দের লোককে বিয়ে না করে ঘর ছেড়ে গিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে ঘর-সংসার শুরু করে এক সময় সন্তানেরও মা হয়ে যাওয়ায় তাঁর পরিবারই হাতুনকে হত্যার জন্য হন্যে হয়ে ওঠে৷ তিন ভাই মিলে তাই হত্যাও করে তাঁকে৷
গত সপ্তাহে তুরস্কের ইস্তানবুল শহরে শুরু হয়েছে হাতুন হত্যার বিচার৷ মুতুলু আর আলবাসালানের বয়স এখন যথাক্রমে ৩৫ ও ৩৬ বছর৷ তুরস্কের আইন অনুযায়ী হত্যার অপরাধে ২০ বছর থেকে সর্বোচ্চ ৫০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে৷
এসিবি/ডিজি (এএফপি, এপি)
পারিবারিক সম্মান বাঁচানোর নামে হত্যাকে কি আপনি সমর্থন করেন? জানান মন্তব্যের ঘরে৷