1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সৌদি অধিকাররক্ষা কর্মীর পাঁচ বছরের জেল

২৯ ডিসেম্বর ২০২০

গাড়ি চালানোর অপরাধে পাঁচ বছরের জেল হলো এক সৌদি নারীর। তাঁর বিরুদ্ধে জঙ্গিমূলক অপরাধের মামলা হয়েছিল।

https://p.dw.com/p/3nIs3
লৌজেইন
ছবি: Reuters/ Amnesty International/M. Wijntjes

আন্তর্জাতিক চাপ যথেষ্ট ছিল। তাও আটকানো গেল না সৌদি আরবের অধিকাররক্ষা কর্মী লৌজেইন আল-হাথলাউলের শাস্তি। সৌদির বিশেষ আদালত তাঁকে পাঁচ বছর আট মাসের কারাবাসের আদেশ শুনিয়েছে। আন্তর্জাতিক অধিকাররক্ষা সংস্থা তো বটেই, হাথলাউলের পরিবারেরও দাবি, অন্যায় ভাবে শাস্তি দেওয়া হয়েছে তাঁকে।

লৌজেইন দুই বার নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন পেয়েছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত তাঁর নাম চূড়ান্ত হয়নি। সৌদি আরবে নারীদের অধিকার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছেন তিনি। সৌদি আরবে নারীদের গাড়ি চালানো নিষিদ্ধ ছিল। লৌজেইন সেই অধিকার পাওয়ার জন্য আন্দোলন করছিলেন। গাড়ি চালিয়ে প্রতিবাদ করেছিলেন তিনি। এরপরেই তিনি সহ একাধিক নারীর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেয় সৌদি প্রশাসন। লৌজেইনকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে জঙ্গিমূলক আচরণের মামলা দায়ের করা হয়। অভিযোগ, আন্তর্জাতিক সহায়তায় দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করেছেন তিনি।

লৌজেইনের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার পরেই আন্তর্জাতিক অধিকাররক্ষা সংস্থাগুলি সৌদি আরবের উপর চাপ সৃষ্টি করতে শুরু করে। শুধু এনজিও নয়, জার্মানি সহ একাধিক দেশ কূটনৈতিক ভাবে লৌজেইনের মুক্তি দাবি করে। মুক্তি না দিলে সৌদি আরবের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক নষ্ট হওয়ারও ইঙ্গিত দেওয়া হয়।

কিন্তু কোনো চাপের মুখেই মাথা নত করেনি সৌদি। সোমবার লৌজেইনকে পাঁচ বছর আট মাসের সাজা শোনানো হয়। তবে আগের চেয়ে তাঁর দুই বছর সাজা কমানো হয়েছে। এ দিনের শুনানিতে কোনো সংবাদমাধ্যমকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। আন্তর্জাতিক অধিকাররক্ষা সংস্থাগুলিকেও শুনানি শুনতে দেওয়া হয়নি।

যদিও লৌজেইনের আন্দোলনের পরে সৌদিতে দীর্ঘদিনের আইন বদলানো হয়। নারীদেরও গাড়ি চালানোর অধিকার দেওয়া হয়।

সোমবারের রায়ের পরে জার্মানি ফের চাপ সৃষ্টি করেছে রিয়াধের উপর। লৌজেইনের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি করা হয়েছে।

ডডিজে/এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, ডিপিএ)