1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

স্থূলতার সঙ্গে আয়ু কমে যাওয়ার সম্পর্ক খুঁজে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা

৭ আগস্ট ২০১০

মোটা হলে নানান অসুখ শরীরে বাসা বাঁধে, এ তথ্য নতুন নয়৷ কিন্তু সম্প্রতি গবেষকদের এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, মোটা হলে মানুষের আয়ুও কমে যায়৷

https://p.dw.com/p/OeMJ
ছবি: dpa - Report

অ্যামেরিকানদের মধ্যে এই প্রবণতা লক্ষ্য করেছেন গবেষকরা৷ অ্যামেরিকান জার্নাল অফ প্রিভেনটিভ মেডিসিনে প্রকাশিত সমীক্ষাটিতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে পূর্ণ বয়স্ক স্থূল মানুষের হার গত ১৬ বছরে শতকরা ৯০ ভাগ বেড়ে গেছে৷ ১৯৯৩ সালে এই বৃদ্ধির হার ছিল শতকরা ১৪ ভাগ৷ আর দুই বছর আগে ছিল শতকরা ২৭ ভাগ৷

সমীক্ষাটিতে আরও বলা হয়েছে, গবেষকরা দেখতে পেয়েছেন যে, ১৯৯৩ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত মোটামুটি সব জনগোষ্ঠীরই অনেক পুরুষ ও নারী মোটা হওয়ার কারণে অল্প বয়সেই মারা গেছেন অথবা অসুস্থতায় ভুগেছেন৷ বলা হয়েছে, বিশেষ করে কৃষ্ণাঙ্গ মেয়েদের অতিরিক্ত মোটা হবার সম্ভাবনা বেশি৷ এই স্থূলতা তাদের জীবনের অনেক সুন্দর সময় কেড়ে নিয়েছে৷ মোটা কৃষ্ণাঙ্গ মেয়েদের হার ১৯৯৩ সালে ছিল ২৫ শতাংশ৷ ২০০৮-এ তা শতকরা ১৬ ভাগ বেড়ে হয় ৪১ শতাংশ৷

Deutschland Kabinett Ernährung übergewichtige Menschen
ছবি: AP

স্থূলতা বৃদ্ধির দিক থেকে এরপরেই ছিলেন কৃষ্ণাঙ্গ পুরুষেরা৷ তবে কৃষ্ণাঙ্গ নারীদের তুলনায় তা বেশ কম৷ এরপর ছিলেন হিসপ্যানিক অর্থাৎ স্প্যানিশভাষী বংশোদ্ভূত নারী ও পুরুষরা৷ সবশেষ স্থানে শ্বেতাঙ্গরা৷

সমীক্ষাটির লেখক কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের হাওমিয়াও জিয়া ও নিউইয়র্ক শহরের সিটি কলেজের কমিউনিটি হেল্থ ও সোস্যাল মেডিসিন বিভাগের এরিকা লুবেটকিন সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া ও কম পরিশ্রম করা - শীঘ্রই যুক্তরাষ্ট্রে মানুষের মৃত্যুর একটা বড় কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে৷

এই সমীক্ষার জন্য ১৯৯৩ থেকে ২০০৮ সালের মধ্যে প্রায় ৩৬ লাখ মানুষের কাছ থেকে সংগ্রহ করা তথ্য উপাত্ত ব্যবহার করেন গবেষকরা৷ অ্যামেরিকার রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র সিডিসি এবং জাতীয় স্বাস্থ্য পরিসংখ্যান কেন্দ্রের তথ্যের ওপর ভিত্তি করেই স্থূলতার কারণে অপেক্ষাকৃত অল্প বয়সে মৃত্যুর হার ঠিক করা হয়৷

প্রতিবেদন: জান্নাতুল ফেরদৌস

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক