1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অভিবাসনের বিরুদ্ধে ট্রাম্প

৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭

ভোলবদল করতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সময় লাগে না৷ বেআইনি অভিবাসী শিশুদের জন্য কর্মসূচির প্রশংসা করেও ক্ষমতায় এসে সেটি বাতিল করলেন তিনি৷ সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করলেন৷

https://p.dw.com/p/2jPIE
ড্রিমার্স কর্মসূচি বাতিলের উদ্যোগের প্রতিবাদ
ছবি: picture-alliance/Zumapress

অ্যামেরিকায় বেআইনি অনুপ্রবেশকারীদের প্রতি ট্রাম্প প্রশাসনের কড়া অবস্থান কারো অজানা নয়৷ মেক্সিকো সীমান্তে প্রাচীর তৈরির পরিকল্পনা থেকে শুরু করে বৈধ কাগজপত্রহীন অভিবাসীদের প্রত্যর্পণের মতো অনেক পদক্ষেপ নিয়ে চলেছেন ট্রাম্প৷ আইনি পথে অভিবাসনের মাত্রাও কমানোর উদ্যোগ নিচ্ছেন তিনি৷ এবার তিনি এমন একটি কর্মসূচি বন্ধ করতে চান, এক সময়ে তিনি নিজেই যার প্রশংসা করেছিলেন৷

যেসব শিশুকে বেআইনি পথে অ্যামেরিকায় নিয়ে আসা হয়েছে, তাদের কল্যাণে ‘ড্রিমার্স' নামের এই কর্মসূচি চালু করেছিলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা৷ ট্রাম্প কংগ্রেসকে ৬ মাসের মধ্যে সেই কর্মসূচি বাতিল করার ডাক দিয়েছেন৷

গত প্রায় পাঁচ বছর ধরে সাফল্য দেখিয়ে চলেছে ‘ড্রিমার্স' কর্মসূচি, যার পোশাকি নাম ‘ডিফার্ড অ্যাকশন ফর চাইল্ডহুড অ্যারাইভাল্স' বা ডিএসিএ৷ এর ফলে প্রায় ৮ লক্ষ তরুণ-তরুণী উপকৃত হয়েছেন৷

ট্রাম্প প্রশাসনের অ্যাটর্নি জেনারেল জেফ সেশনস সেই কর্মসূচি বাতিলের সিদ্ধান্তের ঘোষণা করে বলেন, ওবামা সংবিধান লঙ্ঘন করে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন৷ এবার আইনি পথে ধাপে ধাপে সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হবে৷ উল্লেখ্য, টেক্সাসের নেতৃত্বে কয়েকটি রাজ্য এই কর্মসূচির বিরুদ্ধে আদালতের শরণাপন্ন হবার হুমকি দিচ্ছিল৷

বিষয়টি নিয়ে বিতর্কের আঁচ পেয়ে তিনি অবশ্য নিজের অবস্থানের ব্যাখ্যা দিয়ে বলেছেন, তিনি বাবা-মায়েদের পদক্ষেপের জন্য সেই সব শিশুকে শাস্তি দেবার পক্ষে নন, যাদের অনেকেই এর মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে উঠেছে৷ তবে আইনের শাসনের দোহাই দিয়ে তিনি বলেন, এ কারণেই অ্যামেরিকাকে সুযোগের দেশ বলা হয়৷ তাঁর ‘অ্যামেরিকা ফার্স্ট' নীতির উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, তরুণ অ্যামেরিকানদেরও মনে স্বপ্ন রয়েছে৷

এতকাল যথেষ্ট সংযম দেখিয়ে চললেও সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এই সিদ্ধান্তের পর নীরব থাকতে পারেননি৷ এক বিবৃতিতে তিনি স্পষ্ট করে দেন যে, আইনি পথেই তিনি এই কর্মসূচি চালু করেছিলেন৷ কংগ্রেসের সদস্যদের প্রতি তিনি ‘ড্রিমার্স' কর্মসূচির সুরক্ষার ডাক দিয়েছেন৷ তাঁর যুক্তি, অ্যামেরিকায় বড় হয়ে ওঠা এই তরুণ-তরুণীরা মনেপ্রাণে অ্যামেরিকান৷ শুধু তাদের কাছে বৈধ কাগজপত্র নেই৷

ট্রাম্প প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠেছে বিভিন্ন মহল৷ ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক সাকারবার্গ এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বলেন, দেশের জন্য এ এক দুর্দিন৷

মাইক্রোসফট কোম্পানির প্রেসিডেন্ট ব্র্যাড স্মিথ কংগ্রেসের উদ্দেশ্যে প্রায় ৮ লক্ষ তরুণ অভিবাসীর মানবিক প্রয়োজনের বিষয়টি বিবেচনা করার ডাক দিয়েছেন৷

এসবি/এসিবি (রয়টার্স, এএফপি)