1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

এএফডির তারকা অ্যালিস ভাইডেল?

৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭

একটি জার্মান পত্রিকার বর্ণনায় ‘তরুণ, বুদ্ধিমতী, সমকামী' এএফডি রাজনীতিক অ্যালিস ভাইডেল আজ পপুলিস্টদের গর্ব৷ কিন্তু কে ইনি? কী তাঁর বক্তব্য?

https://p.dw.com/p/2jZC9
Deutschland Alice Weidel AfD
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Kappeler

চট করে তাঁকে বিব্রত করা যায় না৷ অপরদিকে তাঁর রোষ ঢাকার চেষ্টা করেন না ভাইডেল: জার্মানি যে গ্রিসের আর্থিক ত্রাণে সায় দিয়েছে; জার্মানিতে প্রবীণ ও পেনশনভোগীদের অভাব-অনটন – কিন্তু যে বিষয়টি নিয়ে ভাইডেল সরকারের উপর সবচেয়ে বেশি রুষ্ট, সেটি হলো উদ্বাস্তু নীতি৷

‘‘জার্মানিতে যে ১৪ লাখ রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী রয়েছে, জার্মান আইন অনুযায়ী তাদের মধ্যে মাত্র আধ শতাংশ অ্যাসাইলাম পাবার যোগ্য৷ দেখে মনে হয়, দেশে হচ্ছেটা কী?'' ট্রিয়ার শহরের জনসভায় মাইকে হুঙ্কার দেন ভাইডেল৷ ‘‘এটা একটা কেলেঙ্কারি!''

জন্ম ১৯৭৯ সালে উত্তর-পশ্চিম জার্মানির গ্যুট্যার্সলো শহরে৷ পড়াশুনায় চিরকালই ভালো; বায়রয়েথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিজনেস ম্যানেজমেন্ট আর অর্থনীতিতে ডিগ্রি নিয়েছেন৷ ২০১১ সালে তাঁর ডক্টরাল থিসিসের বিষয় ছিল চীনে পেনশন প্রণালী৷ গবেষণার কাজে ছ'বছর চীনে কাটিয়েছেন, ভালো ম্যান্ডারিন চাইনিজ বলেন৷ এএফডি দলে যোগ দেন ২০১৩ সালে৷ তাঁর সঙ্গিনী নাকি রাজনীতির ওপর লেকচার শুনে শুনে ক্লান্ত হয়ে বলেছিলেন, ‘তুমি রাজনীতিতেই যাও!'

AfD Spitzenkandidaten Alice Weidel und Alexander Gauland
আলেক্সান্ডার গাউল্যান্ড এবং অ্যালিস ভাইডেল, এএফডির দুই তুখোড় নেতাছবি: picture-alliance/dpa/M. Kappeler

৩৮ বছর বয়সি ভাইডেল তাঁর সঙ্গিনী আর দুই পুত্রকে নিয়ে সুইজারল্যান্ডের বিয়েল শহরে থাকেন৷ তাঁর নির্বাচনি এলাকা হলো দক্ষিণ জার্মানিতে লেক কনস্টান্সের কাছে৷ পড়াশুনোর পর পেশাতেও ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছেন: গোল্ডম্যান স্যাক্স আর অ্যালিয়ান্স কোম্পানির হয়ে কনসালটেন্সির কাজ করেছেন৷

দক্ষিণপন্থি এএফডি দলে এ সবের যতই ধার ও ভার থাকুক না কেন, প্রশ্ন থেকে যায়: একজন সমকামী মহিলা, যিনি জীবনসঙ্গিনী ও দুই পুত্রকে নিয়ে জীবনযাপন করছেন, তিনি এএফডি-র মতো একটি সমকামিতা বিরোধী রাজনৈতিক দলের যুগ্ম মুখ্য প্রার্থী হতে পারেন কী করে? সমকামী বিবাহ নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করার কথাও বলেছে এএফডি৷

ভাইডেলকে যে এ নিয়ে প্রশ্ন শুনতে হয়নি, এমন নয়, কিন্তু তাঁর বিশেষত্বই হলো প্রশ্ন এড়িয়ে যাওয়া বা সরাসরি উত্তর না দেওয়া, তা সমকামিতা বিষয়েই হোক বা তাঁর দলের একাধিক সদস্যের নব-নাৎসি সুলভ বাগাড়ম্বর নিয়েই হোক৷

ভাইডেল বাগাড়ম্বর করেন না বা উত্তেজিত হন না: উদ্বাস্তুদের দুর্দশার ছবি দেখে তাঁর ‘‘বুক ফেটে যায়''; অপরদিকে জার্মানির পক্ষে তো আর সকলকে সাহায্য করা সম্ভব নয়৷ কিংবা: ভাইডেলের মতে ইসলাম জার্মানি অঙ্গ নয়, কেননা ইসলাম বলে কোনো একটি ধর্ম নেই৷

মিডিয়া যুদ্ধে অচল থাকার প্রতিভাই হয়ত ভাইডেলকে ওপরে তুলে দিয়েছে৷ ট্রিয়ারে তাঁকে জনতার সামনে পেশ করা হয় এমন এক রাজনীতিক হিসেবে, যিনি ‘পলিটিক্যাল করেক্টনেস'-এর ধার ধারেন না৷

আগামী ২৪শে সেপ্টেম্বরের নির্বাচনে এএফডি ১০ শতাংশ ভোট পেয়ে সংসদে তৃতীয় বৃহত্তম দল হতে চলেছে – সেক্ষেত্রে ভাইডেলকে শীঘ্রই বুন্ডেসটাগে ভাষণ দিতে শোনা যাবে৷

ক্যাথলিন শুস্টার/এসি

জার্মান নির্বাচন নিয়ে আপনার কোনো প্রশ্ন থাকলে লিখুন নীচে, মন্তব্যের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান