1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘আমাদের আরো বেশি দায়িত্ব নিতে হবে'

৩ মার্চ ২০১৬

উদ্বাস্তু সংকটের মুখে অনড় আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷ জার্মান চ্যান্সেলর এখনও সীমানা বন্ধ করার পরিবর্তে বিশ্ব রাজনীতিতে জার্মানির বৃহত্তর ভূমিকা গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার কথা বলছেন – নির্বাচনি প্রচার সমাবেশে৷

https://p.dw.com/p/1I5ws
Brüssel EU Gipfel - Angela Merkel
ছবি: Getty Images/AFP/E. Dunand

মার্চ মাসের ১৩ তারিখে জার্মানির তিনটি অঙ্গরাজ্যে প্রাদেশিক নির্বাচন: পশ্চিমের বাডেন-ভ্যুর্টেমব্যার্গ ও রাইনল্যান্ড প্যালেটিনেট, এবং পুবের স্যাক্সনি আনহাল্ট রাজ্যে৷ চলতি উদ্বাস্তু সংকটে ম্যার্কেল যে অবস্থান নিয়েছেন, সে সম্পর্কে জার্মান ভোটারদের মনোভাব ব্যক্ত করার একটি সুবর্ণ সুযোগ৷ বিশেষ করে অভিবাসন-বিরোধী দল এএফডি বা ‘জার্মানির জন্য বিকল্প' পার্টি যেমন ম্যার্কেলের খ্রিষ্টীয় গণতন্ত্রী সিডিইউ দল, তেমনই কেন্দ্রে তাঁর জোট সহযোগী সামাজিক গণতন্ত্রী এসপিডি দলের পক্ষে ঝুঁকি হয়ে দাঁড়াতে পারে৷ কেননা জার্মান জনগণের একটা লক্ষণীয় অংশ যে দেশে উদ্বাস্তুদের এই হারে আগমনে উদ্বিগ্ন বা শঙ্কিত, তা স্পষ্ট৷ এখন সেই শঙ্কাকে রাজনৈতিক মূলধন করে এএফডি-র মতো একটি বস্তুত ভুঁইফোড় দল নির্বাচনে কতটা সাফল্য অর্জন করতে পারবে, তা বলা সম্ভব নয়৷ অনিশ্চয়তার শুরু সেখানেই৷

শুধু বিদেশে পণ্য রপ্তানি করে ক্ষান্ত থাকলেই চলবে না – বুধবার রাইনল্যান্ড প্যালেটিনেট রাজ্যের ভিটলিশ-এ সিডিইউ দলের একটি নির্বাচনি প্রচার সভায় বলেছেন ম্যার্কেল৷ ‘‘বরং একটি মুক্ত বিশ্বে ইউরোপের সীমানার বাইরে কি ঘটছে, সেজন্য আমাদের আরো বেশি দায়িত্ব নিতে হবে'', বলেন ম্যার্কেল৷ এক্ষেত্রে তিনি উন্নয়ন সাহায্য, জলবায়ু সুরক্ষার জন্য সাধারণ মান ও ফেয়ার ট্রেড-এর কথা বলেন – ‘‘একটি সীমাবদ্ধ সমাজে যতোটা অনুভব করা যায়, তার চেয়ে অনেক বেশি৷''

ম্যার্কেলের সিডিইউ দলের ‘ভগিনী' রাজনৈতিক দল হলো সিএসইউ, অর্থাৎ দক্ষিণের বাভারিয়া রাজ্যের খ্রিষ্টীয় সামাজিক ইউনিয়ন৷ তথাকথিত বলকান রুট ধরে যে উদ্বাস্তুরা জার্মানির দিকে আসছিলেন, তাদের প্রথম গন্তব্যই হল বাভারিয়া৷ সেই বাভারিয়া রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হর্স্ট জেহোফার বর্তমানে সিডিইউ-সিএসইউ দলে ম্যার্কেলের প্রধান পরিপন্থি: দু'জনের সদ্য সমাপ্ত বৈঠক থেকেও দেখা গেছে যে, উদ্বাস্তু সংকটে ম্যার্কেলের পছন্দ মতো সমাধান যেমন একটি ইউরোপীয় কিংবা আন্তর্জাতিক সমাধান, সেখানে জেহোফার চান জাতীয় পদক্ষেপ – যেমন জার্মানির সীমান্তে অধিকতর নিয়ন্ত্রণ৷

চাবিকাঠি তুরস্কের হাতে

ম্যার্কেলের ‘‘ইউরোপীয় সমাধানে'' তুরস্কের একটা বড় ভূমিকা রয়েছে৷ আগামী সোমবার ব্রাসেলসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের যে শীর্ষবৈঠক অনুষ্ঠিত হতে চলেছে – প্রধানত ম্যার্কেলের তাগিদে – সেখানে তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী আহমেত দাভুতোগলু উপস্থিত থাকছেন৷ আজ শুক্রবারেই ইউরোপীয় পরিষদের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টুস্ক ইস্তানবুলে দাভুতোগলুর সঙ্গে মিলিত হচ্ছেন৷ আরো বড় কথা, গত মঙ্গল এবং বুধবারে তুরস্ক গ্রিস থেকে ২৬৭ জন উদ্বাস্তুকে ফেরৎ নিয়েছে: মরক্কো, আলজেরিয়া এবং টিউনিশিয়া থেকে আগত এই উদ্বাস্তুরা গ্রিসে রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করতে অস্বীকার করেছিল৷ ব্রাসেলস থেকে কানাঘুষায় যা শোনা যাচ্ছে, তা হলো এই যে, জার্মানি নাকি প্রতিদিন এক হাজারের বেশি উদ্বাস্তু আসতে দিতে চায় না – এ খবর রয়টার্সের৷ ওদিকে টুস্ক নাকি দাভুতোগলুকে বলবেন যে, তুরস্ক যদি সমুদ্রপথে গ্রিস অভিমুখে উদ্বাস্তুদের যাত্রা দিনে এক হাজারের কম রাখে, তাহলে তুরস্ক থেকে সরাসরি উদ্বাস্তুদের নেওয়ার কথাও ভাবা যেতে পারে৷ ২০১৬ সাল থেকে তিন বছর উদ্বাস্তুদের দেখাশোনার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের তরফ থেকে ৭০ কোটি ইউরো অর্থসাহায্য আগেই ঘোষণা করা হয়েছে৷

মনে রাখা দরকার, এখনও প্রতিদিন দু'হাজারের বেশি উদ্বাস্তু তুরস্ক থেকে ইজিয়ান সাগর পার হয়ে গ্রিসে পৌঁছাচ্ছে৷ অপরদিকে জার্মানিতে গত জানুয়ারি মাসে উদ্বাস্তুদের নতুন আগমনের (রেজিস্ট্রিকৃত) সংখ্যা ছিল ৯১,৭০০ – যা ফেব্রুয়ারিতে কমে ৬১,৪০০ হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ অর্থাৎ ম্যার্কেলের ইউরোপীয় বা আন্তর্জাতিক সমাধান যে একেবারে অলীক বা অসম্ভব, এমন ভাবার কোনো কারণ নেই৷

এসি/ডিজি (রয়টার্স, ডিপিএ, এএফপি)

আপনিও কি চ্যানসেলর ম্যার্কেলের তো বিশ্ব রাজনীতিতে জার্ানির আরো বড় ভূমিকা দেখতে চান?

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান