1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিদেশি বিদ্বেষের বিরুদ্ধে কনসার্ট

এসবি/এসিবি (ডিপিএ, এপি)৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮

বিদেশি বিদ্বেষের বিরুদ্ধে বিশাল কনসার্টের মাধ্যমে গত এক সপ্তাহের অশান্তি কিছুটা হলেও ভুলতে পেরেছে কেমনিৎস শহর৷ এদিকে চরম দক্ষিণপন্থি এএফডি দলের উপর নজরদারি বাড়াচ্ছে কর্তৃপক্ষ৷

https://p.dw.com/p/34Fdn
পুলিশের কড়া পাহারায় কেমনিৎস শহরে কনসার্ট
ছবি: picture-alliance/dpa/S. Willnow

প্রায় এক সপ্তাহ ধরে অশান্ত পরিবেশের পর অবশেষে ইতিবাচক কারণে সংবাদের শিরোনামে এলো জার্মানির পূর্বাঞ্চলের কেমনিৎস শহর৷ বর্ণবাদ ও বিদেশি বিদ্বেষের বিরুদ্ধে কণ্ঠ জোরালো করতে শহরে আয়োজিত এক কনসার্টে প্রায় ৬৫,০০০ মানুষ উপস্থিত ছিলেন৷ জার্মানির বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় ব্যান্ড সেখানে সংগীত পরিবেশন করে৷ সোমবার বিকালে খোলা আকাশের নীচে বিনামূল্যের এই কনসার্টের মূলমন্ত্র ছিল ‘আমরাই সংখ্যায় বেশি'৷ ক্লাফটক্লুব ব্যান্ডের সংগীতশিল্পী ফেলিক্স ব্রুমার বলেন, ‘‘আমরা এতটা সরল নই যে একটি কনসার্ট আয়োজন করে জগতকে রক্ষা করতে পারি বলে বিশ্বাস করি৷ কিন্তু কখনো কখনো দেখানো প্রয়োজন যে তুমি একা নও৷''

প্রায় এক সপ্তাহ আগে কেমনিৎস শহরে নিহত ব্যক্তির প্রতি শোক প্রকাশ করতে কনসার্টের শুরুতেই এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়৷ শহরে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ সোমবার ইসলামবিরোধী পেগিডা ও বিদেশি বিদ্বেষী ‘প্রো কেমনিৎস' গোষ্ঠীকে সমাবেশের অনুমতি দেয়নি৷

কেমনিৎস শহরের পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে জার্মান রাজনীতি জগত এখনো উত্তাল রয়েছে৷ ফেডারেল সরকারের মুখপাত্র স্টেফেন সাইবার্ট সোমবার বলেন, কেমনিৎস শহরে নিহত ব্যক্তির উদ্দেশ্যে শোক প্রকাশ করতে চরম দক্ষিণপন্থি ও নব্য নাৎসিদের মিছিল ও হিংসা মোটেই মেনে নেওয়া যায় না৷ শহর ও সমাজ সম্পর্কে তাদের বিন্দুমাত্র মাথাব্যথা নেই৷ উল্লেখ্য, নিহত ব্যক্তির পরিবার তাঁকে ঘিরে চরম দক্ষিণপন্থিদের প্রতিবাদ বিক্ষোভের বিরোধিতা করেছে৷

এএফডি দলের নেতা ইয়োর্গ ময়টেন চরম দক্ষিণপন্থি প্রতিবাদকারীদের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করেন৷ তবে ‘হাতে গোনা সামান্য' কয়েকজন ব্যক্তি নির্দোষ অভিবাসীদের উপর যে হামলা চালিয়েছে, তাদের প্রতি দলের সমর্থন দেখাননি তিনি৷ এমনকি যারা নিষিদ্ধ নাৎসি অভিবাদন দেখিয়েছে, তাদের ইচ্ছাকৃতভাবে বাইরে থেকে আনা হয়েছে বলেও সন্দেহ প্রকাশ করেন তিনি৷

এদিকে জার্মান কর্তৃপক্ষ এএফডি দলের উপর নজরদারি বাড়ানোর সিদ্ধান্তের ঘোষণা করেছে৷ চরমপন্থি ও নব্য নাৎসিদের সঙ্গে তাদের নিবিড় সম্পর্ক নিয়ে দুশ্চিন্তার প্রেক্ষাপটে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে৷

বিচারমন্ত্রী কাটারিনা বার্লে বলেন, এএফডি দলের একাংশ খোলামেলাভাবে জার্মান সংবিধান লঙ্ঘন করছে৷ তাদেরও সংবিধানের বাকি শত্রুদের মতো গণ্য করা হবে এবং সেই অনুযায়ী পর্যবেক্ষণ করা হবে৷ উল্লেখ্য, জার্মানির দু'টি রাজ্যে এএফডি দলের যুব শাখার উপর নজরদারি শুরু হয়েছে৷ এএফডি দলের ক্ষতি এড়াতে সেই দু'টি যুব শাখা ভেঙে দেবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷