1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গর্ভপাত নিষিদ্ধের প্রতিবাদে ‘সেক্স স্ট্রাইক'

১৩ মে ২০১৯

যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের গর্ভপাত নিষিদ্ধ করা আইন বাতিলের দাবিতে অভিনব এক প্রতিবাদের ডাক দিয়েছেন অভিনেত্রী ও মি টু আন্দোলনের নেত্রী অ্যালিসা মিলানো৷ আন্দোলনের নাম দিয়েছেন ‘সেক্স স্ট্রাইক' বা যৌন ধর্মঘট৷

https://p.dw.com/p/3IPKf
Alyssa Milano US Schauspielerin
ছবি: Getty Images/D. Kambouris

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যে গর্ভপাত নিষিদ্ধ আইন বাতিলের আগ পর্যন্ত পুরুষদের সাথে যৌন সম্পর্ক থেকে বিরত থাকার জন্য নারীদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন অ্যালিসা মিলানো৷ শুক্রবার টুইটারে এই সেক্স স্ট্রাইক বা যৌন ধর্মঘটের ডাক দেন মি টু আন্দোলনের নেত্রী৷

অ্যালিসা টুইটে লিখেছেন, ‘‘আমাদের প্রজনন অধিকার ধ্বংস করে দেয়া হচ্ছে৷ যতক্ষণ নারীরা তাঁদের শরীরের উপর নিয়ন্ত্রণ ফিরে না পায়, ততক্ষণ আমরা গর্ভধারণের ঝুঁকি নিতে পারি না৷ আমার সাথে যোগ দিন, শরীরের উপর নিজেদের স্বাধীনতা ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত আমরা যৌন সম্পর্কে জড়াবো না৷ আমি সেক্স স্ট্রাইকের ডাক দিচ্ছি৷ ছড়িয়ে দিন এটি৷''

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তাঁর টুইটটিতে প্রায় ৪৫ হাজার লাইক পড়েছে, রিটুইট হয়েছে প্রায় ১৫ হাজার বার৷     

এদিকে গর্ভপাত নিষিদ্ধের নতুন আইন কার্যকর করা হলে জর্জিয়ায় কোনো ধরনের কাজে অংশ না নেয়ার হুমকি দিয়ে রেখেছেন অরো অনেক চলচ্চিত্র তারকা৷ মিলানোর নেতৃত্বে এই দলে আছেন অ্যালেক বালডউইন, ডন চিয়াডল, বেন স্টিলার, মিয়া ফারো ও অ্যামি শুমার৷

সেখানকার নতুন আইন অনুযায়ী ভ্রুণে হৃদস্পন্দন এলে গর্ভপাত করানো যাবে না৷ হৃদস্পন্দন সাধারণত গর্ভধারণের ছয় সপ্তাহের মধ্যে আসে৷ গত মঙ্গলবার অঙ্গরাজ্যটির গভর্নর ব্রায়ান ক্যাম্প এই আইনে স্বাক্ষর করেন৷

‘সেক্স স্ট্রাইক' কী

মিলানো তাঁর নতুন কর্মসূচীর বিষয়ে বার্তা সংস্থা এপিকে বলেন, ‘‘আমাদের বুঝতে হবে, পুরো দেশজুড়ে পরিস্থিতি কতটা খারাপ হয়েছে৷ এটি আসলে মানুষকে মনে করিয়ে দেয়ার জন্য যে, আমাদের শরীর এবং সেটি আমরা কীভাবে ব্যবহার করব সে বিষয়ে আমাদের নিজেদের নিয়ন্ত্রণ আছে৷'' তবে প্রতিবাদ কিংবা রাজনৈতিক সংস্কারের দাবিতে যৌন সম্পর্ক স্থগিত করার বিষয়টি ইতিহাসে এবারই প্রথম নয় বলেও জানান তিনি৷ ১৬০০ সালে অনিয়ন্ত্রিত যুদ্ধ ঠেকাতে উত্তর অ্যামেরিকার আদিবাসীদের জোট ইরোকুয়োইস-এর নারীরা যৌন সম্পর্ক স্থাপনে অস্বীকৃতি জানান৷ এছাড়া ২০০৩ সালে লাইবেরিয়ার নারীরা দীর্ঘ সময় ধরে চলা গৃহযুদ্ধ বন্ধেও ‘যৌন ধর্মঘট' করেছেন বলে জানিয়েছেন মিলানো৷

চলচ্চিত্র ও টিভি প্রতিষ্ঠানগুলোর জর্জিয়া বর্জন

বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্র, টেলিভিশন অনুষ্ঠান নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান এই আইন বাতিলের আগ পর্যন্ত জর্জিয়া অঙ্গরাজ্য বয়কটের ঘোষণা দিয়েছে৷ তাঁদের মধ্যে রয়েছেন এইচবিও-র দ্য ওয়্যার এর মতো সিরিজের নির্মাতা ডেভিড সিমন, কিলার ফিল্মসের প্রধান নির্বাহী ক্রিস্টিন ভ্যাখোন, অভিনেতা ও নির্মাতা মার্ক ডুপ্ল্যাস৷

দীর্ঘদিন ধরেই জর্জিয়া যুক্তরাষ্ট্রের চলচ্চিত্র ও টিভি সিরিজ নির্মাতাদের কাছে শুটিংয়ের জন্য আকর্ষণীয় জায়গা৷ লস এঞ্জেলেসের তুলনায় সেখানে খরচ কম, আছে দৃশ্য ধারণের জন্য বৈচিত্র্যপূর্ণ প্রকৃতি৷ সেই সঙ্গে ২০০৮ সাল থেকে ৩০ ভাগ পর্যন্ত কর ছাড়ের ব্যবস্থাও চালু হয়েছে৷

মার্ভেলস-এর ব্ল্যাক প্যানথার, অ্যভেঞ্জার্স: ইনফিনিটি ওয়ার-এর মতো চলচ্চিত্র, সেই সঙ্গে স্ট্রেঞ্জার থিংস, ওজার্ক, দ্য ওয়াকিং ডেড-এর মতো টিভি সিরিজগুলো জর্জিয়াতেই ধারণ করা৷ গত বছর মোট ৪৫০ টি চলচ্চিত্র ও টিভি সিরিজের কাজ হয়েছে সেখানে৷ এর পেছনে নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো খরচ করেছে ২৭০ কোটি ডলার৷ দেশটির চিত্রনাট্যকারদের সংগঠন ‘দ্য রাইটার্স গিল্ড অফ অ্যামেরিকা'-র পক্ষ থেকে আইনটির প্রতিবাদ জানিয়ে বলা হয়েছে, এর মাধ্যমে জর্জিয়া চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন শিল্পের সাথে জড়িতদের জন্য একটি অনাকাঙ্খিত জায়গায় পরিণত হয়েছে৷

এফএস/এসিবি (এএফপি, এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য