1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানিতে বোরকা ‘নিষিদ্ধ'?

২০ আগস্ট ২০১৬

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টোমাস ডেমেজিয়ের রাজ্য পর্যায়ের অপরাপর সিডিইউ-সিএসইউ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকের পর জানিয়েছেন যে, আংশিক বোরকা নিষেধের প্রচেষ্টা করা হবে, কিন্তু দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকবে৷

https://p.dw.com/p/1Jleg
বোরকা প্রতীকী ছবি
ছবি: picture-alliance/dpa

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টোমাস ডেমেজিয়ের রাজ্য পর্যায়ের অপরাপর সিডিইউ-সিএসইউ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকের পর জানিয়েছেন যে, আংশিক বোরকা নিষেধের প্রচেষ্টা করা হবে, কিন্তু দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকবে৷

শুক্রবার অনেক রাত অবধি বৈঠক চলে৷ পরে ডেমেজিয়ের জার্মান টেলিভিশনে বলেন যে, বোরকা নিষেধ ও দ্বিবিধ নাগরিকত্বের ব্যাপারে একটি যৌথ অবস্থানে আসা সম্ভব হয়েছে৷ জনজীবনের বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে বোরকা পরিধান নিষিদ্ধ করার উদ্যোগ নেওয়া হবে৷

‘‘আমরা সকলেই বোরকা প্রত্যাখ্যান করি,'' বলেন ডেমেজিয়ের, ‘‘আমাদের মুক্ত সমাজে বোরকা ঠিক খাপ খায় না৷'' দৃশ্যত বোরকা নিষেধ কিভাবে বাস্তবে বলবৎ করা হবে তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে৷ সিডিইউ-সিএসইউ দলের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীরা এ-বিষয়ে একমত যে, ‘‘সমাজজীবনে যেখানে মুখাবয়ব প্রদর্শন করা প্রয়োজন, সেখানে মুখ না ঢাকা বাধ্যতামূলক করে আইন প্রণয়ন করা হবে৷''

গাড়ি চালানোর সময়, সরকারি কার্যালয়ে যাবার সময়, স্কুল-কলেজে-বিশ্ববিদ্যালয়ে, সরকারি চাকুরিতে বা আদালতে মুখ ঢাকা নিষিদ্ধ করার কথা ভাবা হচ্ছে, বলে ডেমেজিয়ের জানান৷ দৃশ্যত জোট সহযোগী এসপিডি দল অথবা জার্মান সংসদের উচ্চকক্ষ বুন্ডেসরাটেও এ বিষয়ে ঐকমত্যের সম্ভাবনা আছে বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিশ্বাস৷

‘ঢালাওভাবে দ্বিবিধ নাগরিকত্ব নয়, ব্যতিক্রম হিসেবে'

দ্বিবিধ বা দ্বৈত নাগরিকত্বের ক্ষেত্রে আইনগত পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকবে বলে ডেমেজিয়ের জানান৷ যেসব বিদেশি বা বহিরাগতদের সন্তান জার্মানিতে জন্মগ্রহণ করেছেন, কিন্তু তাদের বাবা-মায়ের আজও বিদেশি নাগরিকত্ব রয়েছে, তারা পূর্বাপর দ্বিবিধ নাগরিকত্বের সুযোগ পাবেন৷ কিন্তু তারপরের প্রজন্ম আর এই সুযোগ পাবে না৷ বংশানুক্রমে দ্বিবিধ নাগরিকত্ব চলতে দেওয়া হবে না৷

বাভারিয়ায় সর্বাধুনিক সন্ত্রাসী আক্রমণের পরপরই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জার্মানিতে পুলিশ ও নিরাপত্তা বিভাগের কর্মীদের সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা ঘোষণা করেন৷ এছাড়া নিরাপত্তা সংক্রান্ত আইন আরো কড়া করার কথা ভাবা হচ্ছে; বিদেশি-বহিরাগত ও উদ্বাস্তুদের ক্ষেত্রেও ক্ষেত্রবিশেষে কড়াকড়ি বাড়বে৷

‘বোরকা নিষেধ' কথাটি জার্মানির ক্ষেত্রে কতটা প্রযোজ্য, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে পারে, কারণ আফগানিস্তান অথবা পাকিস্তানে যেমন চোখও জালের পিছনে ঢাকা থাকে, সে ধরনের বোরখা জার্মানিতে প্রায় চোখে পড়ে না৷ জার্মানিতে যা চোখে পড়ে তা হলো, নিকাব, যা পরলে চোখ দেখা যায়৷

এসি/এসিবি (ডিপিএ, ইপিডি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান