1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাংলাদেশের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ

জাহিদুল হক১৭ অক্টোবর ২০১৪

মহাকাশে বাংলাদেশের একটি নিজস্ব কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠানোর কথা প্রথম শুরু হয় ১৯৯৯ সালে৷ এরপর অনেক ধাপ পেরিয়ে এখন আশা করা হচ্ছে ২০১৭ সালের জুনের মধ্যে সেটা সম্ভব হতে পারে৷

https://p.dw.com/p/1DWz4
Rosetta und Philae Satelliten
প্রতীকী ছবিছবি: ESA–J. Huart, 2013

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) ১৬ সেপ্টেম্বরের সভায় এ সংক্রান্ত একটি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়৷ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ' প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ২,৯৬৮ কোটি টাকা৷ এর মধ্যে ১,৩১৫ কোটি ৫১ লাখ টাকা দেবে সরকার৷ বাকিটা ‘বিডার্স ফাইন্যান্সিং'-এর মাধ্যমে সংগ্রহ করা হবে৷ এর মানে হলো, স্যাটেলাইট তৈরি ও উৎক্ষেপণের জন্য দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে একটি কোম্পানি নির্ধারণ করা হবে৷ ঐ কোম্পানিই টাকা খরচ করে কাজটি সম্পাদন করবে৷ পরবর্তীতে সরকার ঐ টাকাটা পরিশোধ করবে৷

ইংরেজি দৈনিক ‘ঢাকা ট্রিবিউন' এর এক প্রতিবেদন বলছে, প্রকল্প বাস্তবায়নের নির্ধারিত সময়সীমা এখন পর্যন্ত দুবার পেছানো হয়েছে৷ প্রথম পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০১৫ সালের জুনে স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপিত হওয়ার কথা ছিল৷ পরে সেটা এক দফায় বাড়িয়ে ২০১৬ সালের জুন করা হয়৷ এরপর এখন আশা করা হচ্ছে ২০১৭ সালের জুনে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে৷

সরকার বলছে, দেশের বেসরকারি টিভি চ্যানেলগুলো এই স্যাটেলাইট ব্যবহার করতে পারবে৷ এছাড়া এর মাধ্যমে টেলিযোগাযোগ সেবাও দেয়া সম্ভব হবে৷ এতে বছরে ১১০ কোটি টাকার বিদেশি মুদ্রা সাশ্রয় হবে৷

বঙ্গবন্ধু কৃত্রিম উপগ্রহে ট্রান্সপন্ডার থাকবে ৪০টি৷ এর মধ্যে বাংলাদেশ ১২টি ব্যবহার করবে৷ বাকিগুলো ভাড়া দেয়া হবে৷ এ থেকে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের স্বপ্ন দেখছে সরকার৷

উপগ্রহটি নিয়ন্ত্রণের জন্য গাজীপুরে জয়দেবপুর ও রাঙ্গামাটির বেতবুনিয়ায় দুটি ‘গ্রাউন্ড স্টেশন' নির্মাণ করে হবে৷ স্যাটেলাইটটি একবার উৎক্ষেপণ হয়ে যাওয়ার পর সেটি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আলাদা একটি কোম্পানি চালু করবে সরকার৷