1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

প্রজাপতির পাখায় ট্রান্সমিটার?

১৪ আগস্ট ২০১৭

প্রজাপতিরা পাখিদের মতো পরিযায়ী হতে পারে; উড়ে উড়ে, পাহাড়-পর্বত নদীনালা পার হয়ে এক দেশ থেকে আরেক দেশে যেতে পারে৷ বিজ্ঞানীরা প্রজাপতির পিঠে ট্রান্সমিটার বেঁধে তাদের যাত্রাপথের হদিশ পেতে চান৷

https://p.dw.com/p/2iAVI
ছবি: Getty Images/J.Taylor

মাক্স প্লাংক ইনস্টিটিউট ফর অর্নিথোলজি-র পক্ষিবিজ্ঞানী মার্টিন ভিকেলস্কি-র জীবনের স্বপ্ন হলো, তিনি জন্তুজানোয়ারদের আচার-আচরণের রহস্য ভেদ করবেন৷ জীব জীবনধারণ করে কীভাবে, তা জানতে চান মার্টিন ভিকেলস্কি: সেজন্য তিনি বিশ্বের সর্বত্র যেতে ও সব কিছু করতে প্রস্তুত৷

আন্তর্জাতিক বিজ্ঞানীদের একটি দল নিয়ে তিনি পরিযায়ী পাখি ও অন্যান্য জীবজন্তুর মাইগ্রেশান বা অভিপ্রয়াণের পথ নিয়ে গবেষণা করেছেন৷ এ কাজে সহায়তা করছে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি৷ ট্রান্সমিটার যে সব তথ্য পাঠাচ্ছে, বিশ্বের যে কোনো জায়গা থেকে তা নিয়ে কাজ করা চলবে –প্রণালীটি আবিষ্কার করেছেন ভিকেলস্কি স্বয়ং৷ তিনি বলেন, ‘‘বিশ্বব্যাপী বিজ্ঞানীদের এভাবে একসঙ্গে কাজ করা, তাদের এই বিশ্বব্যাপী পর্যবেক্ষণ প্রণালীর ফলে আমরা এই প্রথমবার গোটা জীবজগতের ‘জীবনধারা' বুঝতে সমর্থ হবো৷''

মার্টিন ভিকেলস্কি যা করতে চাইছেন, তা এর আগে কখনো করা হয়নি: প্রজাপতিরা কীভাবে আল্পস পর্বতমালা পার হয়ে দক্ষিণে যায়, কোন পথে, তিনি সেটা চার্ট করতে চান৷ এজন্য তাঁকে বিশ্বের সবচেয়ে ছোট ট্র্যাকিং ট্রান্সমিটার তৈরি করতে হবে৷ কিন্তু বেতার সংকেত প্রেরণের যাবতীয় সাজসরঞ্জাম কি আধ গ্রাম ওজনের একটা ট্রান্সমিটারের মধ্যে ঢোকানো সম্ভব? চিন্তা তো থেকেই যায়: ‘‘তোমরা খুদে ট্রান্সমিটারটার ব্যাটারি বদলাতে পেরেছ? দারুণ দেখাচ্ছে! ...এবার দেখা যাক, প্রজাপতির গায়ে ওটা বসানো যায় কিনা৷''

ভিকেলস্কি বলেন, ‘‘প্রযুক্তি সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জের অবশ্যই নানা দিক রয়েছে৷ ট্রান্সমিটারটার জন্য আমাদের সেরা প্রযুক্তি দরকার, যেমন আক্সিলারেশান সেন্সর, ব্যাটারি আর সৌরশক্তি৷ কিন্তু সব কিছু অতি ছোট আকারের হবে, যাতে ট্রান্সমিটারটা প্রজাপতিদের ওপর বসানোর মতো হয়৷ এখন প্রশ্ন হলো: প্রজাপতির শরীরের ঠিক কোন জায়গায় ট্রান্সমিটারটা বসানো যায়?''

সেই পরীক্ষা করা হবে একটি বিশেষ স্থানে: লেক কনস্টানৎস-এর মাইনাউ দ্বীপে৷ দ্বীপটি তার গাছপালা আর পশুপাখির জন্য বিখ্যাত৷ প্রজাপতিদের গায়ে ট্রান্সমিটার বসানোর জন্য এর চেয়ে ভালো জায়গা আর নেই৷

‘পেন্টেড লেডি' প্রজাতির প্রজাপতিগুলো যা ভাবা গিয়েছিল, তার চেয়েও ছোট৷ মার্টিন ভিকেলস্কি কি অসম্ভবকে সম্ভব করতে চাইছেন?

প্রথমে অতি সন্তর্পণে এক ধরনের আঠা দিয়ে অতি খুদে ট্রান্সমিটারটা প্রজাপতির পেটে এঁটে দিতে হবে৷ এই ট্রান্সমিটারের ফলে প্রজাপতিটা যে কোনো মুহূর্তে ঠিক কোথায় আছে, অ্যান্টেনার সিগনাল থেকে তা জানা যাবে৷

প্রথমবার ওড়ার চেষ্টা...

ট্রান্সমিটারটা কি বড় বেশি ভারি, নাকি গুটি থেকে বেরনো প্রজাপতিটা ঠিকমতো উড়তে পারেনি?

ট্রান্সমিটারের ওজনের কারণেই প্রজাপতিটা মাটিতে পড়ে গেছে, বলে বিজ্ঞানীদের ধারণা৷