1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আত্মহত্যা ঠেকাবেন যেভাবে

আরাফাতুল ইসলাম১৪ জুন ২০১৬

কয়েকদিন আগের কথা, বাংলাদেশের এক মডেল কন্যা ছেলেবন্ধুর ছোটভাইয়ের সঙ্গে ঝগড়ার জের ধরে আত্মহত্যা করলেন৷ আত্মহত্যার আগে কিছুটা সময় তিনি কাটিয়েছেন ফেসবুকে৷ প্রশ্ন হচ্ছে, সেই সময়ে তাঁকে কি বাঁচানো যেত?

https://p.dw.com/p/1J4JN
নারীদের আত্মহত্যা প্রবণতা বেশি
প্রতীকী ছবিছবি: picture-alliance/blickwinkel

মডেল সাবিরার আত্মহত্যা কিছুদিন আগে বাংলাদেশে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল৷ আত্মহত্যার আগে তিনি প্রথমে ফেসবুকে একটি ভিডিও ‘পোস্ট' করেন, যেখানে একটি ছুরি নিয়ে বিভিন্নভাবে আত্মহত্যার চেষ্টা করতে দেখা গেছে তাঁকে৷ সেই ভিডিও ফেসবুকে ‘পোস্ট' করার পর ভিন্ন উপায়ে আত্মহত্যা করেন তিনি৷

ফেসবুকে ঘোষণা দিয়ে আত্মহত্যার ঘটনা এটাই প্রথম নয়৷ পশ্চিমা বিশ্বে এধরনের ঘটনা মাঝেমাঝেই ঘটছে৷ আর তা প্রতিরোধের চেষ্টাও কম নয়৷ চলুন দেখে নেই, ফেসবুক কিভাবে আত্মহত্যা প্রতিরোধে কাজ করে৷

DW Bengali Arafatul Islam
আরাফাতুল ইসলামছবি: DW/Matthias Müller

আপনি যা করতে পারেন

আপনি যদি দেখেন আপনার কোনো বন্ধু এমন কিছু ‘শেয়ার' করেছে যার মধ্যে হতাশা, একাকীত্ব কিংবা আত্মহত্যার প্রবণতা ফুটে উঠছে, তাহলে সেই পোস্টটি দ্রুত ফেসবুকের কাছে রিপোর্ট করতে পারেন৷ আপনি রিপোর্ট করার পর ফেসবুক চেষ্টা করবে সেই ব্যক্তিকে কোনোভাবে সহায়তা করতে, সেটা ভিন্ন কোন সংগঠন বা অন্য কোনো উপায়ে হতে পারে৷ সমস্যা হচ্ছে, ফেসবুকের এই সেবা পশ্চিমা বিশ্বে যতটা সংগঠিত বা দ্রুত, বাংলাদেশে ততটা নয়৷ এই নিয়ে লেখার শেষের অংশে থাকছে বিস্তারিত৷ আগে অন্যান্য ধাপগুলো জেনে নেই৷

আত্মহত্যার প্রবণতা দেখানো মানুষটিকে সহায়তায় আপনি নিজেও পরামর্শ দিতে পারেন৷ তাঁকে এমন কোনো নম্বর দিতে পারেন যেখানে তিনি ফোন করতে পারেন৷ কিংবা তাঁর সঙ্গে আলাপ করার চেষ্টা করতে পারেন যাতে তাঁকে ফেরানো যায়৷

তবে এক্ষেত্রে সরাসরি আত্মহত্যা না করতে বলার চেয়ে তাঁর কথা মনোযোগ দিয়ে শোনা, তাঁর আবেগকে বোঝার চেষ্টা করে সেভাবে উত্তর দেয়া এবং ক্রমশ তাঁকে আত্মহত্যার ইচ্ছা থেকে সরিয়ে আনার চেষ্টা করা বেশি কার্যকর৷ পাশাপাশি তাঁর পরিবার, ঘনিষ্ঠ বন্ধু, শিক্ষক কিংবা অন্য কাউকে যদি সম্ভব হয় দ্রুত জানান আপনার উদ্বেগের কথা৷

আত্মহত্যা প্রবণ হয়ে ওঠা ব্যক্তিটি যা করতে পারেন

ফেসবুকের হেল্প সেন্টারে আত্মহত্যা প্রবণতা রোধের বিভিন্ন উপায়ের কথা জানানো হয়েছে৷ যে ব্যক্তির মধ্যে এ ধরনের মানসিকতা গড়ে উঠেছে তাঁর জন্য পরামর্শ হিসেবে বলা হয়েছে তিনটি উপায়ের কথা৷ প্রথমত, কোনো হেল্পলাইনে ফোন করে কারো সঙ্গে কথা বলা যেতে পারে৷ দ্বিতীয়ত, বিশ্বস্ত কোনো বন্ধুর সঙ্গে আলাপ করা৷ আর তৃতীয়ত, একটা ‘ব্রেক' নিয়ে এমন কিছু করা যা ভালো লাগে৷

এ সব উপায়ের বিস্তারিতও রয়েছে হেল্পসেন্টারে৷ সেগুলো পড়ে নিতে পারেন এখানে৷ তবে মূল কথা হচ্ছে, আত্মহত্যার ইচ্ছা জাগলে সেই ইচ্ছা অবদমনে করতে অন্য কিছুর দিকে মনোযোগ দেয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷ আর এটা অসম্ভব নয়৷

বাংলাদেশে হটলাইন

ফেসবুকের হেল্পসেন্টারে আত্মহত্যা প্রতিরোধে বিভিন্ন দেশের হটলাইনের নম্বর দেয়া আছে৷ বাংলাদেশের কোনো সংস্থার নাম কিংবা নম্বর সেখানে সরাসরি না থাকলেও তালিকায় থাকা একটি ওয়েবসাইট থেকে বাংলাদেশের একটি সংস্থার নাম পাওয়া গেছে৷ ‘কান পেতে রই' নামক সংস্থাটি নিঃসঙ্গ, বিপর্যস্ত কিংবা আত্মহত্যা প্রবণ হয়ে ওঠা মানুষদের টেলিফোনে সহায়তা দিয়ে থাকে৷ তাদের হটলাইন নম্বরগুলো হচ্ছে: ০১৭৭৯৫৫৪৩৯১, ০১৬৮৮৭০৯৯৬৬ এবং ০১৯৮৫২৭৫২৮৬৷ তবে দিনের একটা নির্দিষ্ট সময় এ সব নম্বরে ফোন করে সহায়তা পাওয়া যায়৷

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে বর্তমানে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ২০ মিলিয়ন৷ এত বিশাল জনগোষ্ঠীকে সহায়তা দিতে ২৪ ঘণ্টা হটলাইন প্রয়োজন৷ সেক্ষেত্রে সরকারি এবং বেসরকারি বড় উদ্যোগের দরকার৷ সেটা যত দ্রুত হবে, ততই মঙ্গল৷

মানসিক চাপ থেকে আপনি নিজেকে কীভাবে মুক্ত রাখেন লিখুন নীচে মন্তব্যের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য