1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাংলাই ফেরাবে মোদীকে?‌

শীর্ষ বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতা
২০ মে ২০১৯

বুথ-ফেরত সমীক্ষার ফলে বিজেপি-এনডিএ জোটের ব্যাপক জয় আসতে চলেছে ভারতে৷ উত্তরপ্রদেশে অপেক্ষাকৃত খারাপ ফলের ঘাটতি মেটাবে নাকি পশ্চিমবঙ্গ!‌

https://p.dw.com/p/3InHi
Indien Premierminister Narendra Modi
ছবি: IANS/Twitter/@narendramodi

ভারতের অন্তত ৭টি বুথ-ফেরত সমীক্ষার ফল একসুরে দাবি করছে, দ্বিতীয়বারের জন্য কেন্দ্রে ক্ষমতায় ফিরতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীএবং বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট৷ ৫৪৩ আসনের ভারতীয় সংসদে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে দরকার ২৭২টি আসন৷ সেখানে যে সমীক্ষায় বিজেপি একক দল হিসেবে সবথেকে কম আসন পাচ্ছে, সেখানেও ২৬০ আসনে জেতার সম্ভাবনা৷ আর সবথেকে বেশি জেতার সম্ভাবনা ৩৬৫টি আসন৷ সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, একমাত্র কর্ণাটক বাদে দক্ষিণ ভারতে বিশেষ সুবিধে করতে পারছে না বিজেপি৷ রাজনৈতিক কর্তৃত্ব দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে আঞ্চলিক দলগুলির হাতেই থাকছে৷ ভারতে সবথেকে বেশি আসন যে রাজ্যে, হিন্দি বলয়ের রাজধানী সেই উত্তরপ্রদেশেও সমাজবাদী পার্টি বহুজন সমাজ পার্টির মহাজোটের কারণে বিজেপি ভালো ফল করতে পারবে না বলেই সমীক্ষায় ধরা পড়েছে৷ তবে সেই ক্ষতি নাকি পুষিয়ে দেবে পূর্ব ভারতের দুটি রাজ্য ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গ৷ওড়িশায় এবার নাকি ৯টি আসন পেতে পারে বিজেপি৷ আর পশ্চিমবঙ্গে অন্তত ১১ থেকে ১৬টি আসন৷ এই অবিশ্বাস্য সম্ভাবনা বেড়ে হতে পারে ২২টি৷ এমনও শোনা যাচ্ছে যে, এবার রাজ্যে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসের থেকেও বেশি আসন বিজেপি পেতে পারে৷ কারণ, গত ৮ বছরের অপশাসনের কারণে রাজ্যজুড়ে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ, যা বিশেষ করে দানা বাঁধতে শুরু করে গত পঞ্চায়েত ভোটে ব্যাপক রাজনৈতিক সন্ত্রাস এবং বহু এলাকায় বিরোধীদের প্রার্থী দিতে না দেয়ার ক্ষোভ থেকে৷

আরো পড়ুন: মোদী কি গতবারের সাফল্য ধরে রাখতে পারবেন?

তৃণমূল নেত্রী এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি যদিও এক্জিট পোলের ফল ঘোষণার পরই টুইট করেন,‌ ‘‘এসব সমীক্ষার গালগল্পে আমার বিশ্বাস নেই৷ আসল ছক হলো গুজব ছড়িয়ে ইভিএমগুলো বদলে দেওয়া৷ কাজেই সব বিরোধী দলের প্রতি আমার আবেদন, একজোট থাকুন, শক্ত থাকুন, সাহস রাখুন৷ আমাদের একসঙ্গে এই লড়াই লড়তে হবে৷''

রাজনৈতিক মহলে এই গুজব রীতিমতো জোরদার হয়েছে যে, ভোটের ফল খারাপ হবে ধরে নিয়েই বিজেপি কৌশলে নির্বাচন কমিশনের হেফাজতে থাকা সমস্ত ইভিএম বদলে দেওয়ার চেষ্টা করবে৷ মমতার নির্দেশে আসলেই গণনা কেন্দ্রের ওপর নজর রাখছেন তৃণমূল কর্মীরা৷ ওদিকে জাতীয় স্তরের বিরোধী নেতাদের অনবরত ফোন আসছে মমতার কাছে৷ সবাইকেই একই আশ্বাস দিচ্ছেন মমতা যে, ২৩ মে সরকারিভাবে ফল ঘোষণার আগে পর্যন্ত তিনি হাল ছাড়তে রাজি নন৷ অন্যদিকে তেলুগু দেশম পার্টির নেতা চন্দ্রবাবু নাইডুও কলকাতায় এসে মমতার সঙ্গে দেখা করেছেন৷ দিল্লিতেও বিরোধী শিবিরে ব্যস্ততা নজরে পড়েছে৷

আবার কেউ কেউ হতাশ৷ যেমন, জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লা৷ এদিন সবকটি বুথ-ফেরত সমীক্ষাতেই মোদী এবং বিজেপির জয়ের সম্ভাবনা দেখার পর তিনি টুইট করে বলেন, সব সমীক্ষার ফল ভুল হতে পারে না৷ এখন সময় টিভি বন্ধ করে, সোশাল মিডিয়া থেকে বেরিয়ে গিয়ে ২৩ মে পর্যন্ত অপেক্ষা করা এবং দেখা, পৃথিবী তখনও ঘোরে কিনা৷

বুথ-ফেরত সমীক্ষার অসারতা নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সাম্প্রতিক নির্বাচনে সমীক্ষার ফল এবং আসল ফলের মধ্যে ফারাকের উল্লেখ করেছেন কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর৷ টুইট করেছেন, ‘‘আমার বিশ্বাস বুথ-ফেরত সমীক্ষার সব ফল ভুল৷ গত সপ্তাহশেষে অস্ট্রেলিয়ায় ৫৬টি সমীক্ষা সংস্থা ভুল প্রমাণিত হয়েছে৷ ভারতে ভোটাররা সমীক্ষকদের প্রশ্নের ঠিক জবাব দেয় না৷ কারণ, তারা ভয় পায়, প্রশ্নকর্তা সরকারের লোক হতে পারে৷ আমি ২৩ মে পর্যন্ত অপেক্ষা করব৷''

তবে বুথ-ফেরত সমীক্ষার ফলে চাঙা হয়ে উঠেছে ভারতের শেয়ার বাজার৷ কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে, বাজারকে তেজি করতে ইচ্ছাকৃতভাবেই বাড়িয়ে দেখানো হয়েছে সমীক্ষার ফলাফল৷ আপাতত আরো দু'দিন শেয়ার বাজার এরকম চাঙাই থাকবে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য