1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইয়েমেন সংকট চরমে

৩১ জানুয়ারি ২০১৮

ইয়েমেনের আদেন শহরে প্রেসিডেনশিয়াল প্যালেস ঘিরে ফেলেছে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা৷ সৌদি সমর্থনপুষ্ট সরকারের প্রধানমন্ত্রী আহমেদ বিন দাহার এবং তাঁর মন্ত্রিপরিষদের বেশ কয়েকজন সদস্য সৌদি আরবে পালিয়ে গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/2roYQ
Jemen Separatisten kontrollieren Interimshauptstadt Aden
ছবি: Getty Images/AFP/S. Al-Obeidi

রবিবার তুমুল সংঘর্ষ শুরু হয় আদেনে৷ সংযুক্ত আরব আমিরাতের সমর্থনপুষ্ট সাউদার্ন ট্র্যানজিশনাল কাউন্সিল (এসটিসি) সরকারকে পদত্যাগের সময় বেঁধে দিয়েছিল৷ সেই সময়সীমা পার হওয়ার পর শহরে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে এসটিসি৷ তাতে বাধা দেয়ার পরই শুরু হয়ে যায় সংঘর্ষ৷ গত তিন দিনের সংঘর্ষে এ পর্যন্ত অন্তত ৩৬ জন মারা গেছে৷ মধ্য আদেনে প্রেসিডেনশিয়াল প্যালেস ঘিরে ফেলার পর এসটিসির যোদ্ধাদের উল্লাস করতে দেখা গেছে৷

এদিকে নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে আদেনে সব রকমের মানবিক সাহায্য কার্যক্রম বন্ধ করেছে সেভ দ্য চিলড্রেন৷ সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন জোট ইতিমধ্যে আদেনে সংঘর্ষে লিপ্ত দু'পক্ষকেই সংযত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে৷ জোটের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘‘আদেনে স্থিতি এবং নিরাপত্তা ফিরিয়ে আনতে যা যা করা দরকার, জোট তা করবে৷'' ইয়েমেন সংকটের শুরু থেকেই সৌদি আরব নিয়ন্ত্রিত জোটকে সমর্থন জানিয়ে আসা যুক্তরাষ্ট্র দু'পক্ষের প্রতি রক্তপাত বৃদ্ধি থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে৷

ইয়েমেনে সংকটের সূত্রপাত ২০১৪ সালে৷ ইরানের সমর্থনপুষ্ট হুতিরা রাজধানী সানা দখল করে নিলে প্রেসিডেন্ট আবেদ রাব্বো মানসুর হাদি সৌদি আরবে আশ্রয় নেন৷ আদেনকে ডি-ফ্যাক্টো রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করা হয়৷ ক্ষমতাচ্যুত রাষ্ট্রপতি হাদির পাশে দাঁড়ায় সৌদি আরব৷ ২০১৫ সালে সৌদি সমর্থনপুষ্ট জোট বাহিনী ইয়েমেনে সামরিক অভিযান শুরু করে৷

চার বছর ধরে চলমান যুদ্ধের কারণেইয়েমেনে দেখা দিয়েছে মানবিক বিপর্যয়৷ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো বারবার, বিশেষ করে সে দেশের নারী ও শিশুদের সংকটাপন্ন বর্তমান নিয়ে উদ্বেগ এবং তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে গভীর শঙ্কা প্রকাশ করেছে৷

কিন্তু যুদ্ধ থামেনি৷ বরং সম্প্রতি সংকট নতুন মোড় নিয়েছে৷ গত মাসে হুতি বিদ্রোহীদের সঙ্গে ইয়েমেনের সাবেক প্রেসিডেন্ট আলি আব্দুল্লাহ সালেহ'র বাহিনীর ঐক্যে ফাটল ধরে৷ হুতিদের আধিপত্যে হতাশ সালেহ সৌদি নিয়ন্ত্রিত জোটের দিকে ঝুঁকে পড়েন৷ এরপরই সালেহকে হত্যা এবং তাঁর অনেক অনুসারীকে আটক করা হয়৷

এসিবি/ডিজি (এপি, রয়টার্স)