1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বৃহৎ স্তন্যপায়ীরা বিলুপ্তির পথে

লুইসে অসবর্ন/এপিবি১৪ আগস্ট ২০১৬

গোরিলা, গণ্ডার, বাঘ, সিংহ – এদের অনেক প্রজাতি ২১০০ সালের আগেই বিলুপ্ত হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন বিজ্ঞানীরা৷ তাই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বিশ্বের এই সর্ববৃহৎ স্তন্যপায়ীদের বাঁচানোর আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা৷

https://p.dw.com/p/1Jfxm
গোরিলা
ছবি: picture-alliance/robertharding

এদের বলা হয় বৃহৎ পঞ্চ (লার্জেস্ট ফাইফ): আফ্রিকার হাতি, সিংহ, গণ্ডার, চিতাবাঘ এবং মহিষ৷ আগে কেবল শিকারিদের টার্গেট ছিল এরা, কেননা বড় বড় পুরস্কার থাকত এদের এক একটি মাথার জন্য৷ আর বর্তমানে আফ্রিকার সাফারি পার্কে এই পাঁচটি প্রাণীকে দেখতে সবচেয়ে বেশি মানুষ যায়৷ কিন্তু এরা যেন ডুমুরের ফুল, অর্থাৎ এদের দেখার ভাগ্য খুব কম মানুষের কপালেই জোটে৷

অক্সফোর্ড জার্নালের প্রকাশিত নতুন প্রতিবেদন যা বলছে, তাতে খুব শিগগিরই এদের দেখা আর নাও মিলতে পারে৷ এই বৃহৎ স্তন্যপায়ীরা বিলুপ্তির হুমকির মুখে রয়েছে৷ যদি অবস্থার কোনো পরিবর্তন না হয়, তবে দ্বাবিংশ শতাব্দীর অনেক আগেই এরা বিলুপ্ত হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন বিজ্ঞানীরা৷

প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, খুব শিগগিরই হয়ত বিজ্ঞানীরা এইসব প্রজাতির প্রাণীদের শোকসংবাদ লিখতে ব্যস্ত হয়ে পড়বেন৷ এই প্রতিবেদন অনুযায়ী বিশ্বের শতকরা ৫৯ ভাগ মাংসাশী এবং ৬০ ভাগ তৃণভোজী প্রাণী বিলুপ্তির হুমকিতে আছে৷ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অফ নেচারের রেড লিস্টে এদের নাম রয়েছে৷ সবচেয়ে বেশি সাহারা অধ্যুষিত আফ্রিকা এবং এশিয়ার রয়েছে এই তালিকায়৷

তাই বিজ্ঞানীরা এসব দেশের সরকার, কর্মকর্তা ও প্রাণী অধিকার সংস্থাগুলোকে ঐ প্রাণীদের রক্ষার ব্যাপারে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন৷ বনাঞ্চল ধ্বংস, কৃষিজমি বৃদ্ধি এবং প্রাণী পাচারের কারণে স্তন্যপায়ী প্রাণীদের সংখ্যা দিন দিন কমছে৷ তাই বিজ্ঞানীরা বলছেন, এতে বাস্তুসংস্থানের উপরও প্রভাব পড়বে৷ এ সব প্রাণীদের জন্য সংরক্ষিত এলাকা বৃদ্ধি এবং ইকো বা পরিবেশবান্ধব পর্যটন গড়ে তোলার পক্ষে মত দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা৷

আপনার চারপাশের পরিবেশ এবং প্রাণীজগতকে রক্ষা করতে, বাঁচাতে আপনি কী করছেন? লিখুন নীচের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য