1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ব্যাংকিং খাতে বিদেশি জালিয়াত

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা১৯ এপ্রিল ২০১৬

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ২০ জন বিদেশিকে চিহ্নিত করা হয়েছে৷ আগেও একটি ব্যাংকের এটিএম কার্ড জালিয়াতিতে একজন জার্মানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল৷ তাই সাইবার নিরাপত্তার ত্রুটি নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/1IYWg
প্রতীকী ছবি
ছবি: Fotolia/davidevison

বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) সোমবার জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ১০ কোটি ডলার চুরির ঘটনায় জড়িত ২০ জন বিদেশি নাগরিককে শনাক্ত করার কথা৷

ঐ ২০ জন শ্রীলঙ্কা, ফিলিপাইন্স, চীন ও জাপানের নাগরিক বলে সিআইডির সংবাদ সম্মেলনে জানান হয়৷ সংবাদ সম্মেলনে সিআইডর কর্মকর্তারা দাবি করেন, ঐ ২০ জনের নাম পরিচয় জানা গেলের তারা তদন্তের স্বার্থে এখন তা প্রকাশ করছেন না৷

তবে বিদেশি নাগরিকদের সঙ্গে বাংলাদেশি নাগরিকরাও জড়িত বলে সিআইডি সন্দেহ করছে৷ এদের সম্পৃক্ততা স্পষ্ট করার জন্য এখন কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি শাহ আলম৷

অন্যদিকে গত ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশের কয়েকটি বাণিজ্যিক ব্যাংকের এটিএম কার্ড জালিয়াতির ঘটনায় জার্মান নাগরিক টোমাস পিটারসহ চারজনের আটক করা হয়৷ তারা এটিএম কার্ড ক্লোন করে ঢাকার বেসরকারি ইস্টার্ন, সিটি, ইউসিবিএল ও মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের আটটি এটিএম বুথ থেকে ৩৬ জন গ্রাহকের টাকা ২১ লাখ ৬০ হাজার টাকা তুলে নেয়৷ কার্ড ক্লোন করতে তারা ‘স্কিমিং ডিভাইস' বসিয়ে গ্রাহকদের গোপন তথ্য চুরি করে বলে পুলিশ জানায়৷

জানা যায়, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের টাকা হাতিয়ে নিতে হ্যাকাররা ব্যাংকের অনলাইন সিস্টেমে ঢুকে ‘সুইফট কোড' হাতিয়ে পেমেন্ট অর্ডার পাঠায়৷ তারপর টাকা গ্রহণ করে ফিলিপাইন্সের একটি ব্যাংক থেকে৷ এ নিয়ে ফিলিপাইন্স এবং শ্রীলঙ্কায়ও তদন্ত হচ্ছে৷

সিআইডির তদন্তের বাইরেও বাংলাদেশ সরকার বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি কমিটি করেছে৷ তবে সেই কমিটি এখনো তাদের তদন্তের অগ্রগতি সংবাদমাধ্যমকে জানায়নি৷

শুভঙ্কর সাহা

এরইমধ্যে এ সব তদন্তে বাংলাদেশ ব্যাংক তথা বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতের সাইবার নিরপত্তা দক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে৷ প্রশ্ন উঠেছে সাইবার নিরপত্তায় নিয়েজিত ব্যাক্তিদের দক্ষতা ও সততা নিয়ে৷

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র শুভঙ্কর সাহা ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য এখন কাজ করছি৷ এতে বিশ্বব্যাংকের সহায়তা নেয়া হচ্ছে৷ সহায়তা নেয়া হচ্ছে সাইবার বিশেষজ্ঞদের৷ আমরা সাইবার নিরপত্তা নিশ্চিত করতে সর্বাধুনিক সফটওয়ার এবং ডিভাইস সংযোজনের ব্যবস্থা করেছি৷ এই কাজ শেষ হলে আমরা সর্বাধিক ঝুঁকিমুক্ত থাকব বলে আশা করছি৷''

তবে তিনি বলেন, ‘‘শতভাগ ঝুঁকিমুক্ত থাকার নিশ্চয়তা কখনোই দেয়া যায় না৷ কারণ হ্যাকাররাও বার বার কৌশল পরিবর্তন করে৷''

বেসরকারি ব্যাংকের এটিএম কার্ড জালিয়াতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘জালিয়াতি প্রকাশ হওয়ার পর বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে তিন স্তরের নিরাপত্তা নীতিমালার আদেশ জারি করা হয়েছে৷''

এ সব ব্যবস্থা আগে কেন নেয়া হয়নি জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘‘সব বিষয় তো আর আগে বোঝা যায় না৷ আমরা যখন নিরাপত্তা ত্রুটি টের পেয়েছি তখনই ব্যবস্থা নিয়েছি৷''

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান