1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

প্রাচীন বাড়ির নতুন রূপ

ক্রিস্টিনা শ্নাইডার/এসবি১১ নভেম্বর ২০১৫

মাটির নীচে প্রাচীন জলাধার, তার উপরেই বাড়ি৷ দুই অংশ মিলিয়ে অসাধারণ এক বাসস্থান গড়ে তুলেছেন এক জার্মান-স্প্যানিশ দম্পতি৷ প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য ও স্থানীয় চরিত্র বজায় রেখে এমন এক উদ্যোগ পর্যটকদের আকর্ষণ হয়ে উঠেছে৷

https://p.dw.com/p/1H2Jb
DW Sendung euromaxx Zisterne
ছবি: DW

অ্যাটলান্টিক মহাসাগরের উপর স্পেনের লান্সারোটে দ্বীপপুঞ্জের নাম করলেই চোখের সামনে আগ্নেয়গিরির পাহাড় ও সাদা বাড়ির দৃশ্য ভেসে ওঠে৷ উপকূল থেকে দূরে লোস ভাইয়েস নামের ছোট্ট গ্রামে ইয়াইয়ো ও ওডা ফন্টেস ডে লেয়ন-এর বাড়ি৷

প্রায় ৩০ বছর আগে এই দ্বীপেই জার্মানির ওডা ও স্পেনের ইয়াইয়ো-র আলাপ হয়েছিল৷ আজ তাঁরা দারুণ সব বাড়ি ভাড়া দেন৷ তার বৈশিষ্ট্য হলো, বাড়ির সিংহভাগই মাটির নীচে অবস্থিত৷ ইয়াইয়ো ফন্টেস ডে লেয়ন, ‘‘একে বলা হয় আলখিবে – প্রাচীন জলাধার৷ আমরা সেটিকে বাসস্থানে রূপান্তরিত করেছি৷''

কয়েক'শ বছর ধরে আগ্নেয়গিরির লাভার পাথরের নীচে গোটা গ্রামের জন্য বৃষ্টির জল সঞ্চয় করা হতো৷ এখন সেটা বাসস্থান হয়ে উঠেছে৷ এই দম্পতি কাকতালীয়ভাবে নিজেদের বাড়ির পাশেই এই আধারটি আবিষ্কার করেন৷ ইয়াইয়ো ফন্টেস ডে লেয়ন বলেন, ‘‘আমরা জানতাম না আধারটা কত বড়৷ একটি গর্ত দিয়ে ভেতরে ঢুকে দেখি জায়গাটা জলে ভরা৷ স্ত্রীকে বললাম, সুন্দর জায়গা – এখানে একটা বাড়ি তৈরি করলে কেমন হয়? ব্যস, যেমন কথা তেমন কাজ৷''

এখন থাকার জায়গা দুই ভাগে বিভক্ত – নীচে বসার জায়গা, উপরে শোবার জায়গা৷ পরে জানালা লাগানো হয়েছে৷ বাকিটা যতটা সম্ভব স্বাভাবিক রাখা হয়েছে৷ ইয়াইয়ো ফন্টেস ডে লেয়ন বলেন, ‘‘আমরা বলেছিলাম, না না – দেওয়াল যেমন আছে সে রকম থাক, কিছুই করার দরকার নেই৷ শুধু সিল করে দিয়েছিলাম, অন্য কিছু করিনি৷ ফলে জায়গাটা এখন ভালো শিল্পীর আঁকা ছবির মতো দেখাচ্ছে৷''

এখানে যে শিল্পকীর্তি দেখা যাচ্ছে, সেগুলিও দ্বীপের নিজস্ব সৃষ্টি৷ ইয়াইয়ো জন্ম থেকেই সেখানে বসবাস করছেন৷ সেই আবেগই তিনি তুলে ধরতে চান৷ যেমন খাবিয়ের ইবানেস নামের স্থানীয় শিল্পীর তৈরি ড্র্যাগন ভাস্কর্য৷

জমির উপরের অংশে বাথরুম ও রান্নাঘর রয়েছে৷ বাড়ির এই সম্প্রসারিত অংশ নির্মাণের সময় এই দম্পতি নীচের অংশের শৈলি বদলাতে চান নি৷ অর্থাৎ প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে গ্রাম্য এক পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে৷ আলো-বাতাসের অভাব নেই৷ ওডা ফন্টেস ডে লেয়ন বলেন, ‘‘যেহেতু জলাধারের ভেতরে খুবই অন্ধকার, তাই আমরা দুই অংশের মধ্যে পার্থক্য ফুটিয়ে তুলতে চেয়েছিলাম৷ নীচের মতোই অন্ধকার না রেখে চারিদিকে কাচের জানালা দিয়ে ঘরগুলি আলোকিত করে তুলেছি৷''

বাইরে ছোট্ট বাগানে আরও আলো-বাতাস পাওয়া যায়৷ মাঝে এক তাল গাছ৷ বেশ কয়েক দশক ধরে এই জমির উপর রয়েছে এটি৷ ইয়াইয়ো ফন্টেস ডে লেয়ন তাঁর স্থপতি বন্ধু সেসার মানরিকে-র সঙ্গে ষাটের দশকে এই গাছ দেখেই জায়গাটি আবিষ্কার করেন৷ ইয়াইয়ো ফন্টেস ডে লেয়ন বলেন, ‘‘সে সময়ে যে সব বাড়ির ছবি তুলেছিলাম, এটিও তার মধ্যে ছিল৷ এখানে লোস ভাইয়েস গ্রামের বাড়ির ছবি দেখতে পাচ্ছেন৷ একটি ছবিতে তালগাছে বাঁধা একটি উট দেখা যাচ্ছে৷ পাশেই জলাধার৷ এখনো সেই শিকলটি রয়ে গেছে৷''

বর্তমানে ইয়াইয়ো ও ওডা ফন্টেস ডে লেয়ন লোস ভাইয়েস গ্রামের এই জলাধারটি ভাড়া দেন৷ এভাবে দেশ-বিদেশের মানুষ লান্সারোটে দ্বীপের এই বিশেষ চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য উপভোগ করতে পারেন৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান