1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হাঙ্গেরিতে ক্ষমতায় ফিরছেন দক্ষিণপন্থিরা?

৮ এপ্রিল ২০১৮

দেশ হিসেবে ছোট হলেও হাঙ্গেরির সংসদ নির্বাচন ইউরোপীয় ইউনিয়নের গতি-প্রকৃতির উপর বড় প্রভাব ফেলতে পারে৷ দক্ষিণপন্থি প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর ওর্বান তৃতীয় বারের মতো ক্ষমতায় এলে ব্রাসেলসের সঙ্গে আরও সংঘাত অনিবার্য৷

https://p.dw.com/p/2vc9a
ছবি: Reuters/Laszlo Balogh

ইউরোপীয় ইউনিয়নে থেকেও ইউরোপীয় মূল্যবোধ উপেক্ষা করে চললে তার কী পরিণাম হওয়া উচিত? কিছু শাস্তিমূলক পদক্ষেপের বিধান থাকলেও ইউরোপের বাকি দেশগুলির পক্ষে সেই পথে এগোনো বেশ অস্বস্তিকর৷ বিশেষ করে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত কোনো সরকারকে প্রকাশ্যে শাস্তি দেওয়া কঠিন কাজ৷

হাঙ্গেরির দক্ষিণপন্থি প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর ওর্বান ইইউ-কে বেশ কিছুকাল ধরে এমন বিড়ম্বনায় ফেলেছেন৷ রবিবার তিনি তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতার শীর্ষে নির্বাচিত হতে পারেন৷ সে ক্ষেত্রে গোটা ইউরোপে জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের পর তিনিই একটানা সবচেয়ে দীর্ঘ সময় জুড়ে ক্ষমতায় থাকার সাফল্য অর্জন করবেন৷ তবে একাধিক জনমত সমীক্ষা অনুযায়ী, ২০১০ ও ২০১৪ সালের বিপুল জনসমর্থন ধরে রাখতে পারবে না তাঁর ফিদেস দল৷ সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে ওরবান আবার প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে৷ ফিদেস ও খ্রিষ্টীয় গণতন্ত্রী কেডিএনপি দলের জোট গত দুই নির্বাচনে সংসদে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে দেশে অনেক আমূল পরিবর্তন আনতে পেরেছিল, যা ইউরোপে চরম বিতর্কের সৃষ্টি করে৷ সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করা থেকে শুরু করে অভিবাসনের প্রশ্নে চরম অবস্থানের কারণে বার বার ইইউ-র সঙ্গে সংঘাতের সৃষ্টি হয়েছে৷

প্রথম দিকে ভিক্টর ওর্বান তাঁর চরমপন্থি নীতির কারণে একাই ইইউ-নেতৃত্বের বিরাগভাজন হয়েছেন৷ তারপর পোল্যান্ড-সহ ইউরোপের পূর্বাঞ্চলের একাধিক দেশে প্রায় সমমনস্ক সরকার ক্ষমতায় আসতে থাকায় ওরবান-এর শক্তি অনেক বেড়ে গেছে৷ ২০১৫ সালের শরণার্থী সংকটের পর শরণার্থীদের বোঝা ইইউ দেশগুলির মধ্যে ভাগ করে নেওয়ার যে বোঝাপড়া হয়েছিল, ওর্বান-সহ বেশ কয়েকজন নেতা তা মানেন নি৷

হাঙ্গেরির এবারের নির্বাচন আরেকটি কারণেও নজর কাড়ছে৷ নির্বাচনি ব্যবস্থায় কিছু পরিবর্তনের ফলে ভোটারদের একাংশ কিছুটা বিভ্রান্ত রয়েছে৷ সংসদের মোট ১১৯টি আসনের মধ্যে ১০৬টি আসনে প্রার্থীরা সরাসরি জনগণের ভোটে জয়ী হবেন৷ দল ও জনগোষ্ঠীর ভিত্তিতে বাকি ৯৩টি আসনের ফয়সালা হবে৷

বিরোধী জোটের জয়ের সম্ভাবনা এই মুহূর্তে অত্যন্ত ক্ষীণ হলেও ৭০ শতাংশের বেশি ভোটার তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করলে ফিদেস দল সংসদে তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাতে পারে বলে অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করছেন৷ সেক্ষেত্রে সরকার গঠনে অচলাবস্থা দেখা দিতে পারে৷

এসবি/এপিবি (রয়টার্স, এএফপি)

হাঙ্গেরিতে কি সত্যিই ক্ষমতায় ফিরছেন দক্ষিণপন্থিরা? এর প্রভাব কী হতে পারে? লিখুন নীচের ঘরে৷