1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অঘোষিত সফরে আফগানিস্তানে বারাক ওবামা

২৯ মার্চ ২০১০

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা রবিবার রাতে এক নোটিশ ছাড়া সফরে গিয়েছিলেন আফগানিস্তানে৷ কাবুলে তিনি কথা বলেন আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই’এর সঙ্গে৷ বক্তব্য রাখেন মার্কিন সেনাদের উদ্দেশ্যেও৷

https://p.dw.com/p/Mh1f
আফগান প্রেসিডেন্ট স্বাগত জানালেন বারাক ওবামাকেছবি: AP

কাবুলের বাগরাম সামরিক বিমান ঘাঁটিটি ঘিরে ফেলা হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থায়৷ আফগানিস্তানে নিযুক্ত মার্কিন সেনাবাহিনীর গোয়েন্দারা সেখানে সর্তক৷ চারিদিকে ঘোষিত-অঘোষিত নিরাপত্তা বলয়৷ কেউ একজন আসছেন৷ তাঁর বিমানকে স্বাগত জানাতে হবে৷ রাত বাড়ছে৷ ঘনিয়ে আসা অন্ধকার ভেদ করে যে বিমানটি রানওয়ে স্পর্শ করলো, সেটা সাধারণ কেন বিমান নয়, মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বহন করা বিমান এয়ারফোর্স ওয়ান৷

আনুষ্ঠানিক কোন ঘোষণা নয়৷ কথা ছিল ছুটির দিনে অবকাশ কাটাতে যাবেন বারাক ওবামা৷ সেই জন্য হেলিকপ্টারেও উঠলেন তিনি৷ সঙ্গে নিলেন সাংবাদিকদেরও৷ কিন্তু, হেলিকপ্টার এসে থামলো অ্যান্ডুস এয়ার ফোর্স ঘাঁটিতে৷ আর সেখান থেকেই তিনি চেপে বসলেন এয়ারফোর্স ওয়ানে৷ সঙ্গের সাংবাদিকদের কাছ থেকে নিয়ে নেয়া হলো মোবাইল ফোন৷ অর্থাৎ, কোন যোগাযোগ নয়৷ কাউকে জানানো যাবে না এই তথ্য৷ তারপর উড়ে চললো বিমান৷ কেউ জানলো না প্রেসিডেন্ট ওবামা যাচ্ছেন আফগানিস্তানে৷ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর এটাই ওবামা'র প্রথম আফগানিস্তান সফর৷

রবিবার সন্ধ্যায় বাগরামে নেমেই তিনি চলে যান প্রেসিডেন্ট কারজাই'এর বাসভবনের উদ্দেশ্যে৷ বৈঠকে শাসন প্রতিষ্ঠায় দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর জন্য আফগান প্রেসিডেন্টকে আহ্বান জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা৷ তবে তালেবান ও আল-কায়েদা বিরোধী লড়াইয়ে সাফল্য ও সাধারণ আফগানদের কল্যাণে কাজ করার জন্য কারজাই'এর প্রশংসাও করেন তিনি৷ আর তারপর, আবারো মার্কিন সেনাবেসে এসে উপস্থিত হন ওবমা৷ মার্কিন সেনাদের তিনি বলেন,

‘‘আপনাদের ধন্যবাদ৷ কারণ, গত কয়েকমাসে এখানে বেশ কিছু অগ্রগতি হয়েছে৷ তবে আমরা এও জানি যে, সামনে বেশ কিছু কঠিন দিন এখনও রয়েছে৷ এ ক্ষেত্রে আমরা সামান্য অগ্রসর হয়েছি৷ কিন্তু আমাদের সব সময় মনে রাখতে হবে যে, আমাদের শত্রু দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ৷ তাছাড়া আমরা জানি যে, অ্যামেরিকানরা যখন কিছু শুরু করে - তার শেষ না করে তারা রণেভঙ্গ দেয় না৷''

মার্কিন সেনাদের উদ্দেশ্যে ওবামা আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রকে নিরাপদ করতে ও আফগানিস্তানে কষ্টার্জিত শান্তি ধরে রাখার জন্য তাদের এ লড়াই৷ এছাড়া, তালেবান ও আল-কায়েদার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সেনাদের প্রয়োজনীয় সাজসরঞ্জাম ও তহবিল সরবরাহের আশ্বাস দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট৷ ভোর হবার আগেই আবার বিমানে চড়ে বসেন ওবামা৷ উড়াল দেন ওয়াশিংটনের উদ্দেশ্যে৷

প্রতিবেদক : সাগর সরওয়ার

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ