1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অটিজম: বাংলাদেশ পরিস্থিতি

জাহিদুল হক৪ অক্টোবর ২০১৩

অটিজম কোনো মানসিক রোগ নয়, মস্তিষ্কের একটি বিকাশগত সমস্যা যেটা একটা শিশুর তিন বছরের মধ্যেই প্রকাশ পায়৷ মেয়েদের তুলনায় ছেলেদের অটিস্টিক হবার সম্ভাবনা বেশি বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা৷

https://p.dw.com/p/19twV
ছবি: Rownak Hafiz

অটিজম ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের প্রধান রওনক হাফিজের মতে, অটিজম আক্রান্ত শিশুরা অন্যদের সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে বয়সের তুলনায় পিছিয়ে থাকে৷ একই ধরনের আচার-আচরণ তারা বারবার করে৷

তাঁর মতে, অটিজমের অন্যতম বড় কারণ হচ্ছে বংশগত সমস্যা৷ এর বাইরে পরিবেশ দূষণ, রাসায়নিক মেশানো খাদ্যগ্রহণ – এসবও অটিজমের জন্য দায়ী৷

চিকিৎসা

অটিজম চিকিৎসায় ওষুধের কোনো ভূমিকা নেই৷ এর জন্য প্রয়োজন শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ৷ তবে প্রতিটি অটিস্টিক শিশুই আলাদা হওয়ায় তাদের প্রশিক্ষণের ব্যাপারটি একজনের চেয়ে আরেকজনেরটা আলাদা৷ রওনক হাফিজ বলেন, যত আগে অটিজমের বিষয়টা উপলব্ধি করে চিকিৎসা শুরু করা যায় ততই ভাল৷ তিনি বলেন, সঠিক পদ্ধতিতে এগোলে প্রতিটি অটিস্টিক শিশুই উন্নতি করে৷ এমনকি অনেকে সাধারণ স্কুলে যাওয়ার মতোও হয়ে ওঠে৷

সরকারি উদ্যোগ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা হোসেন বাংলাদেশ জাতীয় অটিজম উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান৷ তাঁর উদ্যোগে সরকারি পর্যায়ে অটিজম নিয়ে কিছু পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে৷ যেমন সামাজিক সচেতনতা গড়ে তুলতে মিরপুরে চালু হয়েছে ‘অটিজম রিসোর্স সেন্টার'৷ আর অটিস্টিক শিশুদের নিয়ে যারা কাজ করেন তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া, অটিস্টিক শিশুদের অবস্থা পরিমাপ সহ আরও অন্যান্য প্রয়োজনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে গঠন করা হয়েছে ‘সেন্টার ফর নিউরোডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড অটিজম ইন চিলড্রেন'৷ এছাড়া ঢাকা শিশু হাসপাতালে রয়েছে ‘শিশু বিকাশ কেন্দ্র'৷

বেসরকারি প্রচেষ্টা

অটিজম নিয়ে সরকার কাজ শুরু করেছে বেশি দিন হয়নি৷ তবে বেসরকারি পর্যায়ে অনেক আগে থেকেই অটিজম বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তোলার চেষ্টা চলছে৷ ইতিমধ্যে ঢাকায় অটিস্টিক শিশুদের শিক্ষা দেয়ার বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে৷ ঢাকার বাইরেও রয়েছে কিছু প্রতিষ্ঠান৷