1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অতি ক্ষুদ্র জগতের দরজা

৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬

আপাতদৃষ্টিতে অনেক জটিল বৈজ্ঞানিক পরীক্ষার কোনো প্রাসঙ্গিকতা বোঝা না গেলেও মানুষের অনেক সমস্যার সমাধানে এমন উদ্যোগ কাজে লাগে৷ জার্মানির এক ল্যাবে চলছে এমনই কিছু পরীক্ষা৷

https://p.dw.com/p/1Jvj2
প্রতীকী ছবিছবি: AEI/MM/exozet

জার্মানির সবচেয়ে বড় মিনিস্কিউল পার্টিকেল ল্যাবের নাম ডিইএসওয়াই৷ সেখানে বেশ কয়েকটি বিশালাকার আলোর উৎস রয়েছে৷ নতুন ক্ষুদ্র ন্যানো জগত অভিযানের ক্ষেত্রে এগুলি সাহায্য করে৷ মাটির নীচে কয়েক কিলোমিটার দীর্ঘ অ্যাক্সিলারেটর সুড়ঙ্গের মধ্যে সুপরিকল্পিতভাবে কনসেনট্রেটেড এক্স-রে সৃষ্টি করা হয়৷

৪০টি দেশের ৩,০০০ বিজ্ঞানী ৩০০ মিটার দীর্ঘ ভবনে তথাকথিত ‘এক্সপেরিমেন্ট হাট' ব্যবহার করেন৷ গবেষণার জন্য খুব কম সময় পাওয়া যায় এবং চাহিদাও বিশাল৷ যে কেউ আবেদন করতে পারেন৷ তবে সেরা আবেদনপত্রগুলিই অনুমোদন পায়৷

বর্তমানে পেট্রা নামের আলোর উৎসে যে এক্সপেরিমেন্ট চলছে, তার আওতায় বিজ্ঞানীরা জানার চেষ্টা করছেন যে, কোষের প্রাচীরের মধ্যে দিয়ে যেতে যেতে এবং কোষে বাসা বাঁধলে ভাইরাস কতটা বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে৷ পদার্থবিজ্ঞানী অলিভার এইচ সেক বলেন, ‘‘ডিটেক্টর সবার আগে শুধু সর্বোচ্চ ইন্টেনসিটি, ম্যাক্সিমাম রিং অথবা বিভাজন দেখায়৷ আমি রংয়ের মাধ্যমে তা ফুটিয়ে তুলতে পারি৷ সাধারণ মানুষের চোখে সেটা শুধু রঙিন দেখাবে৷''

প্রশিক্ষণ ছাড়া অ্যাটমের জগতের ছবির মধ্যে কিছু চোখে পড়বে না৷ বিজ্ঞানীরা এর মাধ্যমে গোপন জীবজগতে উঁকি মারার সুযোগ পান, এখানে যা হলো ভাইরাস৷ বায়োলজিকাল পরীক্ষার জন্য পেট্রা অত্যন্ত উপযুক্ত৷ এক্ষেত্রে প্রোটিন সহজেই ক্রিস্টালাইজ ও ঠান্ডা করা যায়৷ বরফের তাপমাত্রায় তারা তাদের বৈশিষ্ট্য বজায় রাখে৷ ‘হার্ড' শর্ট ওয়েভ এক্স-রে দিয়ে প্রোটিন কম্পাউন্ডের অতি ক্ষুদ্র খুঁটিনাটি বিষয়গুলিরও ছবি তোলা সম্ভব৷ তারা এমন সব তথ্য দেয়, যার সাহায্যে বোঝা যায় যে, কোন পরমাণু কাঠামো বন্ধ করলে কোষের মধ্যে ব্যাকটিরিয়া ও ভাইরাস সংযোজন বন্ধ করা যাবে৷ সংক্রামক রোগের মোকাবিলার লক্ষ্যে ওষুধ তৈরি করতে হলে এটা জানা জরুরি৷ পদার্থবিজ্ঞানী আলকে মেয়েন্ট বলেন, ‘‘আমাদের যেহেতু অত্যন্ত শক্তিশালী এক্স-রে রশ্মি রয়েছে, তা দিয়ে শুধু স্থিরচিত্র, অর্থাৎ সাময়িক অবস্থা দেখতে পাই না৷ আমরা প্রতিক্রিয়াও ঘটাতে পারি৷ পরমাণুর স্তরে প্রোটিন মলিকিউল কীভাবে পরিবর্তিত হচ্ছে, সে বিষয়ে একটি ফিল্ম তৈরি করা যাবে৷''

এখানে অসংখ্য এক্সপেরিমেন্ট হয়৷ অনেক বছর পর্যন্ত প্রবল চাপের মধ্যে সরাসরি ক্রিস্টাল পরীক্ষার কোনো উপায় ছিল না৷ এই পরীক্ষার মাধ্যমে চরম পরিস্থিতিতে অণুর আচরণ সম্পর্কে অনেক কিছু জানা যায়৷ এই বিজ্ঞানীরা পার্টিকেল অ্যাক্সিলারেটর ফ্ল্যাশ ব্যবহার করছেন৷ সেটি ‘সফট' বা লং ওয়েভ এক্স-রে থেকে অত্যন্ত ঘন লেজার পাল্স বার করে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য