অনলাইনে ধাক্কা দিল অ্যাপল আইপ্যাড, আসছে বাজারে
১৩ মার্চ ২০১০কম্পিউটিং তথা প্রযুক্তি পণ্যে অ্যাপলের এই নব সংযোজন বাজারে আসবে ৩ এপ্রিল৷ তার আগেই ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে শুক্রবার থেকেই ইন্টারনেটে অগ্রীম বুকিং নিতে শুরু করে অ্যাপল৷ জানায়, এই মুহূর্তে একজন দু'টির বেশি আইপ্যাড কিনতে পারবেন না৷ কারণ চাহিদা অনেক, সরবরাহ কম৷
এই প্রতিবেদনটি লিখতে গিয়ে নিজেই ধাক্কা খেয়েছিলাম খানিকটা৷ তাই আইপড আর আইপ্যাড এর ব্যবধান খুঁজতে ইন্টারনেট ঘাটতেও হয়েছে কিছুক্ষণ৷ আপাতত জানা জেনেছি, তা হচ্ছে আইপ্যাড এমন এক যন্ত্র যা একইসঙ্গে ভিডিও দেখা, গান শোনা, গেম খেলা, ইন্টারনেট ব্রাউজিং এবং ইলেকট্রনিক বই পড়ার সুযোগ দেবে৷ বস্তুত এসবই সম্ভব হালের স্মার্টফোনগুলোতে৷ আর তাই এই যন্ত্রে নতুন কি আছে তা খুঁজতে আগালাম খানিকটা৷ এবার প্রাপ্ত তথ্য হচ্ছে, আইপ্যাড এর আকার আইপডের চেয়ে খানিকটা বড় আবার ল্যাপটপের গড়পড়তা আকৃতির চেয়ে খানিকটা ছোট, অর্থাৎ এর রয়েছে ৯ দশমিক সাত ইঞ্চি কালার মনিটর এবং এটি শূন্য দশমিক পাঁচ ইঞ্চি পুরু৷ আর হ্যাঁ ওজন বেশ কম মাত্র দেড় পাউন্ড৷ এটির তথ্য ধারণ ক্ষমতা যথাক্রমে ১৬, ৩২ এবং ৬৪ গিগাবাইট৷
এবার খানিকটা আগ্রহ আমার নিজেরও জন্মেছে৷ তবে আরো যে বিষয়গুলো আইপ্যাডকে আইপড থেকে আলাদা করেছে তা হলো এর রয়েছে ওয়াইফাই এবং থ্রিজি সংযোগের সুবিধা৷ যা ব্যবহার করে ইন্টারনেট থেকে ইলেকট্রিক বুক এবং ভিডিও সহ ডাউনলোড করা যাবে নানা কিছু৷
এছাড়া আইপ্যাডে অ্যাপলের প্রায় দেড় লাখ সফটওয়্যার বা এপ্লিকেশন ব্যবহার করা যাবে৷ সুযোগ থাকবে সফটওয়্যার আপডেটের৷
স্বভাবতই প্রশ্ন জাগতে এতকিছু যে যন্ত্রে তার দাম কত হবে? আপাতত জানা যাচ্ছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৩ এপ্রিল নাগাদ দোকানেই পাওয়া যাবে আইপ্যাড৷ সাধারণটি অর্থাৎ শুধুমাত্র ওয়াইফাই আর ১৬ গিগাবাইট ধারণক্ষমতার আইপ্যাড এর দাম ৪৯৯ ডলার৷ অন্যদিকে, থ্রিজি সুবিধাসহ ৬৪ গিগাবাইট আইপ্যাড এর দাম ৮২৯ মার্কিন ডলার৷ ও হ্যাঁ, এই দাম কিন্তু শুধু মার্কিন মুল্লুকের জন্য৷ কারণ আন্তর্জাতিক বাজারের দাম এখনো ঠিক করেনি অ্যাপল৷ তবে এপ্রিলের শেষদিকেই জানা যাবে তা, একইসঙ্গে সে সময় আইপ্যাড বিক্রি হবে ইউরোপেও৷ আপাতত সে সময়েরই অপেক্ষা৷
প্রতিবেদক: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দোপাধ্যায়