‘অনেকেই কাজ বাদ দিয়ে ফেসবুক নিয়ে ব্যস্ত থাকে' | পাঠক ভাবনা | DW | 04.04.2018
  1. Inhalt
  2. Navigation
  3. Weitere Inhalte
  4. Metanavigation
  5. Suche
  6. Choose from 30 Languages

পাঠক ভাবনা

‘অনেকেই কাজ বাদ দিয়ে ফেসবুক নিয়ে ব্যস্ত থাকে'

তরুণ প্রজন্মকে পড়াশোনায় আরো বেশি মনোযোগী করতে বাংলাদেশ সরকার ফেসবুক ব্যবহার সীমিত করার পরিকল্পনা করছে৷ এই পরিকল্পনার পক্ষে-বিপক্ষে অসংখ্য পাঠক মতামত জানিয়েছেন ডয়চে ভেলের ফেসবুক পাতায়৷

পাঠক জসিম উদ্দিন মনে করেন, ফেসবুক ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করে কোনো লাভ হবে না৷ তিনি পালটা প্রশ্ন রেখেছেন, ‘‘সিগারেটের উপরে চড়া শুল্ক বসিয়ে সরকার কি পেরেছে তামাকের গ্রাস থেকে সাধারণ মানুষকে নিবৃত্ত করতে?'' পাঠক জসিমের বিশ্বাস, ‘‘এগুলো শুধু সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমেই সম্ভব, কোনো নিষেধাজ্ঞা বা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে নয়৷''

ডয়চে ভেলের আরেক পাঠক হানিফ লাবু লিখেছেন, ‘‘তরুণ প্রজন্মকে পড়াশোনায় আরো মনোযোগী করতে বাংলাদেশের জন্যে একটু আলাদা করে শিক্ষাব্যবস্থা তৈরি করতে হবে, মানে ‘মাস্টারপ্ল্যান'৷ অন্য দেশের শিক্ষাব্যবস্থা কপি করে কিছু হবে না৷ যেহেতু ভৌগোলিকভাবে আমরা একটু ভিন্ন৷''

আরব আলী মনে করেন, ‘‘ফেসবুক ব্যবহার সীমিত না করে ফেসবুকের মাধ্যমে যে সকল ভুল তথ্য ছড়ানো হয়, তা বন্ধ করা অথবা সীমিত করা বেশি প্রয়োজন৷''

অন্যদিকে পাঠক সজীব সাহা সাজু এ বিষয়ে  কিছু পরামর্শ দিয়েছেন৷ তাঁর পরামর্শগুলো এরকম: ‘‘ফেসবুক চালানোর জন্য একটা সময় নির্ধারণ করা উচিত৷ সারাদিনে একটা নির্দিষ্ট সময়, মানে অমুক ঘণ্টা পর্যন্ত চলার পর অটোমেটিক্যালি বন্ধ হয়ে যাবে৷ বিশেষ করে ছাত্র-ছাত্রীরা এবং ১৮ বছরের কম বয়সিরা ব্যবহার করতে পারবে না৷ অ্যাকাউন্ট ওপেন করতে ‘সিম' এর মতো আসল ডকুমেন্টস বাধ্যতামূলক করা হোক৷ এতে করে ভূয়া ব্যবহারকারী কমে যাবে এবং নোংরামীও বন্ধ হবে৷''

ডয়চে ভেলের আরেক পাঠক আল হাসান সরকার নিয়মিত ফেসবুক ব্যবহার করেন৷ তিনি স্পষ্টভাবেই লিখেছেন, ‘‘ফেসবুকে  না ঢুকলে খারাপ লাগে৷ তবে আমি পড়াশোনায় খারাপ না৷ এমনিতেই অল্প পড়ি, পরীক্ষার রেজাল্ট আমি যা আশা করি, তেমনি হচ্ছে৷ ফেসবুক ব্যবহারের প্রভাব না পড়লে হয়তো আরো ভালো হতো৷''  তিনি আরো লিখেছেন, ‘‘অনেকেই ফেসবুকটাকে খারাপভাবে ব্যবহার করছে, যা তরুণ সমাজের জন্য ক্ষতিকর৷''

ফেসবুক ব্যবহার না করলে বিভিন্ন তথ্য জানা থেকে বঞ্চিত হবেন বলে মনে করেন না ডয়চে ভেলের পাঠক এমএইচ হক৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘দেখুন, ২০০৪ সালের আগেও মানুষ তথ্য পেতো৷ আর তথ্য না পেলে মানুষের জীবন থেমে যেতো না৷ বাস্তবতা হচ্ছে,  সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো মানুষকে সামাজিক না করে অসামাজিক ও বিভিন্নভাবে ক্ষতি করছে৷ যেমন ধরুন, এগুলোর সহজলভ্যতার জন্য অনেকেই প্রয়োজনীয় অনেক কাজ বাদ দিয়ে এগুলোতে ব্যস্ত থাকে৷ মিথ্যা পরিচয় ও তথ্য দিয়ে অনেকেই মেয়েদের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলছে এবং তারপর বিভিন্নভাবে ধর্ষণ ও ক্ষতির স্বীকার হচ্ছে৷ পড়াশোনার বারোটা বাজছে,  অনেকের সংসার ভাঙছে৷ আরও অনেকভাবেই ক্ষতি হচ্ছে৷ উপকারের চেয়ে অপকারিতাই বেশি৷''

তবে পাঠক আশিকের ধারণা, নিয়ম মেনে এবং আইডি কার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে ফেসবুক চালালে সমস্যা হবে না৷

সরকারের ফেসবুক ব্যবহার সীমিত করার পরিকল্পনাকে যুক্তিযুক্ত বলে মনে করেন পাঠক মহসিন রাজু৷ যদিও তিনি নিজে নাকি সারাদিনই ফেসবুকে থাকেন৷

পাঠক হযরত আলী, শাহীন রশিদ, নাজমুল হকসহ অনেকেই সরকারের পরিকল্পনার সাথে একমত৷

সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার

সম্পাদনা: আশীষ চক্রবর্ত্তী

নির্বাচিত প্রতিবেদন