1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অপরূপ দেশ টাস্কানি

২৭ জানুয়ারি ২০১৭

টুস্চিয়া, মানে টোস্কানা, মানে টাস্কানি৷ নামটা এসেছে সেই প্রাচীন ইট্রাস্কানদের কাছে থেকে৷ টাস্কানির সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য যেমন, সেখানকার জীবনধারার সরলতা ও সৌন্দর্যও ঠিক তেমন৷

https://p.dw.com/p/2WSRP
টাস্কানি অঞ্চল
ছবি: DW

তার্কিনিয়ার সৈকত: দু'হাজার আটশ' বছর আগেই এখানে বসতি করেছিলেন ইট্রাস্কানরা, অর্থাৎ রোমানদেরও আগে৷ অঞ্চলটির নাম তাদেরই নামে: টাস্কানি৷

ছোট ছোট টিলার ওপর তাদের শহরগুলি তৈরি করতেন ইট্রাস্কানরা, যেমন তার্কিনিয়া৷ এখানে খননকার্য চালিয়ে ইট্রাস্কান সভ্যতার যে সব নিদর্শন পাওয়া গিয়েছে, স্থানটি আজ সেজন্য বিখ্যাত৷ মন্তেরোৎসি নেক্রোপোলিসে ছ'হাজারের বেশি সমাধিকক্ষ আছে৷ ২০০৪ সাল যাবৎ এই ‘মৃতের শহর' ইউনেস্কোর হেরিটেজ তালিকায়৷

দুই চিতাবাঘের ছবি দেওয়া একটি সমাধি খ্রিষ্টজন্মের পাঁচ শতাব্দী আগে তৈরি৷ ফ্রেস্কো বা দেয়ালচিত্রগুলি আশ্চর্যরকম অক্ষত৷ প্রত্নতত্ত্ববিদ ফ্রাঞ্চেস্কো আলিপের্তি জানালেন, ‘‘রোমানদের আগে ইটালিতে যে সব জাতির বাস ছিল, ইট্রাস্কানরা ছিলেন তাদের অন্যতম৷ ইটালীয় সভ্যতা ও সংস্কৃতির উপর তারা বিশেষ প্রভাব ফেলেছেন৷ বর্ণমালা থেকে শুরু করে নির্মাণপদ্ধতি অবধি রোমানরা অনেক কিছু পেয়েছেন ইট্রাস্কানদের কাছ থেকে৷ রোমানরা তার আরো বিকাশ ঘটিয়েছেন৷''

‘মৃতের শহর’ ইটালির টাস্কানির কথা

রোমক সাম্রাজ্য থেকে মাউন্টেনবাইকিং

পানি বয়ে নিয়ে যাওয়ার আকোয়াডাক্ট,  যেমন চিমিনি পর্বতমালার কাছের আকোয়াডাক্টটি৷ এছাড়া নিভে যাওয়া আগ্নেয়গিরি, কোনো কোনোটা হাজার মিটারের বেশি উঁচু, যারা ঘিরে রেখেছে ভিকোসির অভয়ারণ্যকে৷ পায়ে হাঁটার পথগুলো আবার মাউন্টেন বাইকারদের খুব প্রিয়৷ মাউন্টেনবাইক শিক্ষক জানলুকা সিস্তি জানালেন, ‘‘এখানে এত বেশি পথ, পাহাড়ি আর পায়ে-চলার রাস্তা আছে – কোনোরকম গাড়িঘোড়া ছাড়াই – যে এখানে সবসময় কোনো না কোনো নতুন রুট খুঁজে পাওয়া যায়৷''

জানলুকা সিস্তি এই চিমিনি এলাকায় সপ্তাহে অন্তত তিনবার করে ট্রেনিং করেন৷ এখানকার বন্য ‘পিস্টে' বা ঢালগুলো তাঁর খুবই প্রিয়৷

চিমিনি পর্বতমালার পাদদেশে মোট ৭০ হাজার বাসিন্দার ভিতের্বো শহর৷ এটাই এ এলাকার সবচেয়ে বড় শহর৷ ভিতের্বোর কেন্দ্রে শহরের মধ্যযুগীয় অংশটি প্রায় অক্ষত ও অপরিবর্তিত, ফিল্মের শুটিং-এর পক্ষে আদর্শ লোকেশন৷ অন্যদিকে রিকার্দো দা সানা-র মতো শিল্পীরাও এখানে ছবি আঁকতে ভালোবাসেন৷

চিত্রকর রিকার্দো দা সান্না বললেন, ‘‘ঐতিহাসিক পুরনো শহরটা এখনও প্রায় মধ্যযুগের মতো৷ শুধু দু-একটা মশাল জ্বালানো বাকি....নয়ত ঠিক মধ্যযুগের মতো মনে হয়, ঠিক সেইরকম প্রশান্তি৷''

রিকার্দো পুরনো শহরের জানলা-দরজাগুলো আঁকেন৷ সেই জানলা-দরজায় যেন গোটা এলাকার ইতিহাস ধরা রয়েছে৷

অলিভের বাগান

ভিতের্বোর চারপাশে অলিভ বাগান, সেও বহুকালের ঐতিহ্য৷ ছোট ছোট খামারে অতি সুস্বাদু একটি অলিভ অয়েল উৎপাদন করা হয়৷

‘ম্যাগনা ম্যাগনা' বারের মতো ভিতের্বোর বার আর রেস্টুরেন্টগুলোতেও সেই অলিভ অয়েল ব্যবহার করা হয়৷ প্রতিদিন এখানে স্থানীয় মুখরোচক খাবারগুলির একটি ‘বুফে'-র আয়োজন করা হয়৷

ম্যাগনা ম্যাগনা বারের মালিক মাউরো তোরোনি বলেন, ‘‘টাস্কানি হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর জায়গা৷ বিশেষ করে এখানকার প্রকৃতি, অকৃত্রিম পাহাড় – মধ্যযুগের নানা নিদর্শন – অসাধারণ প্রাকৃতিক দৃশ্য – পাহাড় আর সমুদ্র – লাতিয়ুম আর টাস্কানির সীমান্ত – সব মিলিয়ে এক আশ্চর্য দেশ৷''

উটা গাইসার-হুড/এসি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান