1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘অবরুদ্ধ নয় কাশ্মির'

৩ নভেম্বর ২০১৯

কাশ্মীরে সাম্প্রতিক ক্র্যাকডাউন, গণগ্রেপ্তারসহ ভারত সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে মানবাধিকার সংস্থাগুলো সমালোচনা করলেও ক্ষমতাসীন বিজেপি সহসভাপতি বৈজয়ন্ত জয় পান্ডা বলছেন, কাশ্মীরকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়নি৷

https://p.dw.com/p/3SOQM
DW Conflict Zone - Baijayant Jay Panda, Bharatiya Janata Party - Indien
ছবি: DW/T. Sakzewski

ডয়চে ভেলের কনফ্লিক্ট জোন অনুষ্ঠানে কাশ্মীরের সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরে সরকারের পদক্ষেপগুলো কীভাবে গণতন্ত্রের সাথে খাপ খায়, সেই প্রশ্ন করা হয়েছিল পান্ডাকে৷

জবাবে তিনি বলেন, ভারত সরকার জম্মু ও কাশ্মীরে যুদ্ধের মত পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে৷ পাকিস্তানের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘‘সেদেশের পশ্চিমাঞ্চলে একটি দেশের সমর্থন নিয়ে সন্ত্রাসীরা ৪২ হাজার মানুষকে মেরে ফেলে৷’’

গত আগস্টে কাশ্মীরকে আধা-স্বায়ত্তশাসিত অবস্থান থেকে সরিয়ে সরাসরি কেন্দ্রের শাসনে নিয়ে আসে নয়াদিল্লি৷ এরপর সেখানে স্থবির অবস্থার সৃষ্টি হয়৷ পরিস্থিতি সামাল দিতে কয়েক হাজার মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়৷

পান্ডা বলেন, ‘‘সরকারের এই পদক্ষেপকে ‘লকডাউন' হিসেবে বর্ণনা করা ভুল ছিল৷ কারণ জম্মু ও কাশ্মীরের ৯৯ শতাংশ এলাকায় কোনো প্রতিবন্ধকতা নেই৷’’

তার মতে, জম্মু ও কাশ্মীরের পশ্চিম সীমান্তে তাদের অঘোষিত যুদ্ধের মুখোমুখি হতে হয়েছিল এবং এ নিয়ে কারোর বিশেষ মনোযোগ ছিল না৷

সরকারি তথ্যে ঘেটে রয়টার্স বলছে, সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ওই অঞ্চলের চার হাজার মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল৷ এ বিষয়ে কনফ্লিক্ট জোনকে পান্ডা বলেন, ইতোমধ্যে অনেককে মুক্তি দেওয়া হয়েছে৷ তবে গত সেপ্টেম্বরে রয়টার্সের এক প্রতিবেদককে ভারতের এক কর্মকর্তা বলেছিলেন, প্রায় এক হাজার ২০০ জনকে তখনও আটক রাখা হয়েছিল৷

ঠিক কতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল সেই প্রশ্নে পান্ডা বলেন, তিনি ঠিক জানেন না যে এটি চার হাজার জন কি না৷ তবে গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ২০০ জনেরও বেশি রাজনীতিবিদ রয়েছেন৷

এ মাসের শুরুতে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বিনা কারণে বা বিনা বিচারে আটক সকল বন্দীদের মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিল৷ অন্য মানবাধিকার সংস্থাগুলোও এ নিয়ে বেশ সোচ্চার ছিল৷

 জননিরাপত্তা আইনের কথা উল্লেখ করে পান্ডা বলেন, "যখন কোথাও যুদ্ধের মত পরিস্থিতি থাকে তখন সেখানে এই আইনের আওতায় যে কাউকে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য আটক রাখা যায়৷'' এই আইনের আওতায় বিনা বিচারে দুই বছর কারাদণ্ড দেয়া যায়৷

অ্যালান ম্যাকেনজি/এসআই/কেএম

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান