1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জামিন পেলেন রসরাজ

১৬ জানুয়ারি ২০১৭

ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে ধর্ম অবমাননা করেছেন – এ অভিযোগ যে মিথ্যা তা তদন্ত শেষে পুলিশও বলছিল৷ তারপরও তিন মাস ধরে কারাবন্দি ছিলেন রসরাজ দাস৷ সোমবার অবশে জামিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরের এই হিন্দু জেলে৷

https://p.dw.com/p/2VrAO
রসরাজের মা-বাবা
রসরাজের মা-বাবা (ফাইল ফটো)ছবি: bdnews24.com

এক মাস আগেও ডয়চে ভেলের প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিল, ‘আইনের প্যাঁচে এখন পর্যুদস্ত নির্দোষ রসরাজ'৷ সেই প্রতিবেদনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান ডয়চে ভেলেকে বলেছিলেন, ‘‘ফরেনসিক রিপোর্টে দেখা গেছে রসরাজের মোবাইল ফোন থেকে ফেসবুকে ওই পোস্ট দেয়া হয়নি৷ কিন্তু তাঁর আইডি থেকে পোস্ট দেয়া হয়েছে৷ এখন আমাদের তদন্তের বিষয় হলো, তাহলে কে পোস্ট দিয়েছে? বিষয়টি আমরা এখনো নিশ্চিত হতে পারিনি৷'' এ কারণে পুলিশ এতদিনেও তদন্ত প্রতিবেদন দিতে পারেনি৷ আর তাই জামিনও পাননি রসরাজ৷ তবে সোমবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা ও দায়রা জজ তাঁর জামিন মঞ্জুর করেছে৷ রসরাজ দাসের আইনজীবী আশা করছেন সোমবার তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পেতে পারেন৷

গত ৩০শে অক্টোব রসরাজ মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন – এই অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে হিন্দু জনপদে দিনভর সহিংসতা চালানো হয়৷ এ সময় অন্তত ১০টি মন্দির ও হিন্দুদের বেশ কিছু বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট চালানো হয়৷ প্রতিবাদের নামে সহিংশতা শুরুর আগেই রসরাজকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ৷ রিমান্ডে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়৷ পরে পুলিশ জানায়, তদন্তে তারা নিশ্চিত হয়েছে যে, রসরাজের মোবাইল ফোন থেকে কোনো ফেসবুকে পোস্ট করা হয়নি৷ স্থানীয়রা শুরু থেকেই সংবাদমাধ্যমকে বলে আসছেন, রসরাজ লেখাপড়া জানেন না, তাই তার পক্ষে এমন পোস্ট দেয়া অকল্পনীয়৷

এসিবি/ডিজি (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)

এ বিষয়ে আপনার কিছু বলার থাকলে লিখুন নীচের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান