1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অবশেষে বৈঠকে বসছে দুই কোরিয়া

৫ জানুয়ারি ২০১৮

দক্ষিণ কোরিয়ার শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আগামী সপ্তাহে বৈঠকে বসতে রাজি হয়েছে উত্তর কোরিয়া৷ সেখানে মূলত দক্ষিণ কোরিয়ায় শীতকালীন অলিম্পিকে উত্তর কোরিয়ার প্রতিযোগীদের অংশগ্রহণের ব্যাপারে আলোচনা হবে৷

https://p.dw.com/p/2qO5M
Südkorea Panmunjom DMZ Grenze zu Nordkorea
ছবি: Getty Images/J. Heon-Kyun

গত দুই বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো আলোচনায় বসতে যাচ্ছে দুই প্রতিবেশী দেশ৷ যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়া তাদের সামরিক মহড়া পিছিয়ে দেয়ার পর এ ব্যাপারে একমত হয়েছে দুই কোরিয়া৷ দক্ষিণ কোরিয়া বলছে, আগামী সপ্তাহের মঙ্গলবার এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে পারে৷ ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে সর্বশেষ আনুষ্ঠানিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল দুই কোরিয়ার মধ্যে৷ দুই দেশের সীমান্তবর্তী গ্রাম পানমুনজমে অনুষ্ঠিত হবে এই বৈঠক৷

গতবার কায়েসং শিল্প এলাকায় দুই কোরিয়ার মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার পর থেকে দক্ষিণের সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় উত্তর কোরিয়া৷ দক্ষিণ কোরিয়ার মুখপাত্র সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, আগামী মাসে সেদেশে শীতকালীন অলিম্পিক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে৷ দুই কোরিয়ার কর্মকর্তারা বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা করবেন৷ তবে বৈঠকে দুই কোরিয়ার পক্ষ থেকে কারা প্রতিনিধিত্ব করবেন তা এখনো ঠিক হয়নি৷

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন নতুন বছর উপলক্ষ্যে দেয়া বক্তব্যে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে খোলাখুলি আলোচনা এবং দুই কোরিয়ার মধ্যে উত্তেজনা কমিয়ে আনার কথা বলেছিলেন৷ সেখানে শীতকালীন অলিম্পিকে অংশ নেয়া আগ্রহের কথা জানিয়েছিলেন তিনি৷

South Korea welcomes Kim Jong Un's willingness to talk

তবে পারমাণবিক কর্মসূচি থেকে বিরত থাকার কোনো ইংগিত দেননি তিনি৷ কিম জং উন বলেছিলেন, ‘‘উত্তর কোরিয়া তার ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির কর্মসূচি অব্যাহত রাখবে এবং কোনো ধরনের হুমকি দেখলে সেই অস্ত্র প্রয়োগ করতে পিছপা হবে না৷''

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জে-ইন বৃহস্পতিবার ঘোষণা দেন যে, শীতকালীন অলিম্পিক শেষে তারা বার্ষিক সামরিক মহড়ায় অংশ নেবেন৷

এদিকে, দুই কোরিয়ার মধ্যে এই আলোচনার উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন ট্রাম্প৷ শীতকালীন অলিম্পিকে অংশ নিতে ট্রাম্প প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কিছু্ কর্মকর্তা যাচ্ছেন, যাদের মধ্যে তার পরিবারের কয়েকজন সদস্যও রয়েছেন৷ চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দুই কোরিয়ার এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে একে ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করেছে৷

এপিবি/এসিবি (এপি, এএফপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য