1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘অবসরেও সক্রিয়’ বুশ এবার ফেসবুকে

৩ জুন ২০১০

মাত্র দু’দিন আগে বিশ্বজুড়ে পালিত হলো ‘ফেসবুক বর্জন দিবস’৷ ফেসবুকের নিরাপত্তা নীতির প্রতিবাদে বর্জন দিবসে সাড়া এসেছে ৩০ হাজার সদস্যের৷ তবে হতাশার কিছু নেই৷ দু’দিন পরেই এর সাথে নিজের নাম যোগ করলেন এক মহান মার্কিন নেতা৷

https://p.dw.com/p/NgDt
টেক্সাসে ‘উইন্ডপাওয়ার ২০১০’ এ জর্জ ডাব্লিউ বুশছবি: Randy Eli Grothe

অবশ্য ফেসবুকে এসে শুধুই যে ভালোবাসায় সিক্ত হচ্ছেন তিনি – এমনটি জোর দিয়ে বলার উপায় নেই৷ বুধবার ফেসবুকে নিজের নাম যোগ করার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই ভক্ত জুটেছে ২৮ হাজারেরও বেশি৷ ভক্ত ম্যাট থুলেন লিখেছেন, ‘‘প্রভু আপনাকে আশীর্বাদ করুন৷ এই মহান জাতিকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ৷ আপনার অভাব খুব বেশি অনুভূত হয়৷'' ভিক্টোরিয়া নিউটন লিখেছেন, ‘‘ফেসবুকে স্বাগত৷ আমাদের দেশের সেবা করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ৷ আমরা আপনাকে ভালোবাসি এবং মিস করি৷'' ‘‘

Facebok Logo
ফেসবুক লোগোছবি: picture-alliance/ dpa

অধিকাংশ ভক্তই থুলেন কিংবা নিউটনের মতো উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করলেও সমালোচনাও কম নেই৷ আপনি ছিলেন অবিশ্বাস্য রকমের একজন অযোগ্য প্রেসিডেন্ট', ব্রেন্ট বেন্ডারের এমন খারাপ মন্তব্যও পড়তে হলো সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডাব্লিউ বুশকে৷ আবার রিচ ব্রডস্কি'র মন্তব্য, ‘‘দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করার জন্য, জর্জ, আপনাকে ধন্যবাদ৷''

২০০৯ সালের জানুয়ারি মাসে হোয়াইট হাউস ছেড়ে যাওয়ার পর বুশের এটিই প্রথম ফেসবুকে হাজির হওয়ার ঘটনা৷ প্রথম পোস্ট, ‘সক্রিয় রয়েছেন প্রেসিডেন্ট বুশ৷' দ্বিতীয় পোস্টটি এরকম, ‘তিনি ঘুরে এসেছেন ২০ টি রাজ্য এবং ৮ টি দেশ৷ বক্তৃতা দিয়েছেন ৬৫ টিরও বেশি৷ খুলেছেন জর্জ ডাব্লিউ বুশ প্রেসিডেন্সিয়াল সেন্টার৷ বুশ ইন্সটিটিউটের মাধ্যমে যোগ দিয়েছেন ৪ টি নীতি নির্ধারণী সম্মেলনে৷ শেষ করেছেন প্রথম স্মৃতিচারণমূলক লেখা ‘ডিসিশন পয়েন্টস' এর প্রথম খসড়া৷ (সাবেক) প্রেসিডেন্ট (বিল) ক্লিন্টনের সাথে যৌথভাবে প্রতিষ্ঠা করেছেন ‘ক্লিন্টন বুশ হাইতি তহবিল'৷'

Twitter Logo
টুইটার লোগোছবি: twitter.com

তৃতীয় পোস্টেই স্থান পেয়েছেন স্ত্রী লরা বুশ৷ এই সাবেক ফার্স্ট লেডির লেখা আত্মজীবনী ‘স্পোকেন ফ্রম দ্য হার্ট' এর প্রশংসা করা হয়েছে এই পোস্টে৷ উল্লেখ করা হয়েছে যে, টানা তৃতীয় সপ্তাহেও নিউইয়র্ক টাইমস'এর বেস্টসেলারর তালিকায় শীর্ষে স্থান পেয়েছে এটি৷ এতোসব কথা বিশ্বাস না হলে এখনই ঘুরে আসতে পারেন facebook.com/georgewbush – এই ঠিকানা থেকে৷ আর লরা বুশের পেজ রয়েছে আরো আগে থেকেই৷ তাঁর ভক্ত সাড়ে ষোল হাজারের কিছু বেশি৷

জর্জ ডাব্লিউ বুশের মুখপাত্র ডেভিড শের্জার বার্তা সংস্থা এএফপি'কে বলেন, ‘‘সাবেক প্রেসিডেন্ট কী করছেন, তা জনগণকে জানানোর জন্য একটি আদর্শ মাধ্যম হচ্ছে ফেসবুকে তাঁর একটি ফ্যান পেজ৷'' অবশ্য ইতিমধ্যে টুইটারে যারা জর্জ ডাব্লিউ বুশকে খুঁজে পেয়েছেন, তাঁদের জন্য সত্য কথাটি হলো, সেটি তাঁর দপ্তর থেকে খোলা নয়৷ আর এখনও টুইট করার কোন ইচ্ছা বুশের নেই বলে জানিয়ে দিলেন শের্জার৷

প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন