1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডে যুক্ত ছিল সোহেল!

৬ নভেম্বর ২০১৭

মুক্তমনা লেখক অভিজিৎ রায়ের হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে একজন ইসলামিক জঙ্গিকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে বাংলাদেশের কাউন্টার টেরোরিজম পুলিশ৷ মেজর জিয়ার নির্দেশে ওই হত্যাকাণ্ডে অংশ নিয়েছিল বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে সে৷

https://p.dw.com/p/2n6lV
Ermordete Journalisten Avijit Roy
ছবি: Getty Images/AFP/M. U. Zaman

আবু সিদ্দিক সোহেল নামে ৩৪ বছরের ঐ জঙ্গি নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের (সাবেক আনসারুল্লাহ বাংলা টিম) সদস্য বলে জানা গেছে৷ লেখক অভিজিৎ রায়ের হত্যার পেছনে আল-কায়েদা সমর্থিত এই জঙ্গি দলটির হাত রয়েছে বলে আগে থেকেই জানিয়েছিল পুলিশ৷ ওয়ান্টেড তালিকায় ছিল সোহেলের নাম৷ উপ-পুলিশ কমিশনার মাসুদুর রহমান বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ‘‘অভিজিৎ রায় হত্যাকাণ্ডে সোহেল জড়িত বলে সন্দেহ করছি আমরা৷''

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সোহেল অভিজিৎ হত্যার সাথে যুক্ত থাকার কথা স্বীকার করেছে৷ বরখাস্তকৃত সেনা কর্মকর্তা মেজর জিয়ার নির্দেশে সে হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয় বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম৷ 

অভিজিৎ রায় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক৷ ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে অমর একুশে গ্রন্থমেলা চলাকালে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ থেকে বের হওয়ার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির কাছে ফুটপাতে কুপিয়ে হত্যা করা হয় অভিজিৎ রায়কে৷ ওই সময় তাঁর সঙ্গে থাকা স্ত্রী বন্যা আহমেদও হামলার শিকার হয়ে একটি আঙুল হারান৷

ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে সোহেলকে চিহ্নিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মাসুদুর রহমান৷ রবিবার রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷

বাংলাদেশে গত কয়েক বছরে ইসলামি জঙ্গি গোষ্ঠীর হামলায় মুক্তচিন্তার ব্লগার, নাস্তিক, বিদেশি এবং সংখ্যালঘু নিহত হয়েছেন৷ এর মধ্যে অভিজিৎ হত্যাসহ বেশ কয়েকটি হামলার দায় স্বীকার করেছিল আল-কায়েদা ও ইসলামিক স্টেট৷ যদিও বাংলাদেশ সরকার বরাবরই বলে আসছে, কোনো আন্তর্জাতিক জঙ্গি গোষ্ঠী এ সমস্ত হামলার পেছনে জড়িত নয়৷ দেশের ভেতরের বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনই এ সব হামলা চালিয়েছে

অভিজিৎ হত্যার পর শাহবাগ থানায় তাঁর বাবার দায়ের করা মামলায় এর আগে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ৷ গত বছর ১৯ জুন হত‌্যাকাণ্ডের ‘প্রধান সন্দেহভাজন' মুকুল রানা ওরফে শরিফুল খিলগাঁওয়ে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন৷

এপিবি/ডিজি (রয়টার্স)