1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অভিষেকের গুরুত্ব বাড়ালেন মমতা

২৪ জুলাই ২০২০

বিধানসভা নির্বাচনের আগে তাঁর দলের সংগঠনে ব্যাপক রদবদল করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আরও বেশি গুরুত্ব পেলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

https://p.dw.com/p/3frvP
ছবি: Getty Images/AFP/D. Dutta

আগামী বছর এপ্রিল-মে নাগাদ বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে দলের সংগঠনে যুব নেতাদের অনেক বেশি গুরুত্ব দিলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর যুব নেতাদের মধ্যে সব চেয়ে বেশি গুরুত্ব পেলেন ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আগের মতোই তিনি যুব তৃণমূলের দায়িত্বে। দলের কাজ সামলাবার জন্য মমতা এ বার সাত সদস্যের স্টিয়ারিং কমিটিগঠন করেছেন। সেখানেও রাখা হয়েছে অভিষেককে। স্টিয়ারিং কমিটির নীচে আছে ২১ সদস্যের সমন্বয় কমিটি। সেখানে স্টিয়ারিং কমিটির সাতজন ছাড়াও আরও ১৪ জন নেতা আছেন। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, দলের এই দায়িত্ববন্টন থেকে বোঝা গেল, মমতা আবার অভিষেককে এগিয়ে দিচ্ছেন। তৈরি করছেন ভবিষ্যতের নেতৃত্বের জন্য। 

দলে শুধু যে অভিষেকের নিজের গুরুত্ব বেড়েছে তাই নয়, তাঁর কিছু অনুগামীও ভালো দায়িত্ব পেয়েছেন। কোচবিহারের জেলা সভাপতি করা হয়েছে অভিষেক-ঘনিষ্ঠ পার্থ প্রতিম রায়কে। আরও কিছু অভিষেক-ঘনিষ্ঠ নেতাও দায়িত্ব পেয়েছেন। মমতা এ বার জেলায় সভাপতির পাশাপাশি নতুন একটা পদ তৈরি করেছেন, জেলার চেয়ারম্যান। তবে ক্ষমতা থাকছে সভাপতির কাছেই। চেয়ারম্যানের পদটা মূলত সম্মানের। কোনো কোনো জায়গায় অবশ্য একই নেতাকে সভাপতি ও চেয়ারম্যান করা হয়েছে। যেমন পূর্ব মেদিনীপুরে দুটি পদেই আছেন শিশির অধিকারী, উত্তর কলকাতায় সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। 

সাতজনের স্টিয়ারিং কমিটিতে অভিষেক ছাড়াও আছেন সুব্রত বক্সি, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, শুভেন্দু অধিকারী ও শান্তা ছেত্রী। এই নেতাদের গুরুত্ব অন্যদের চেয়ে বেশি। রাজ্য কমিটিতে আছেন অমিত মিত্র, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, সৌগত রায়, শিশির অধিকারী, দীনেশ ত্রিবেদী, তাপস রায়, জাভেদ খানরা। প্রবীণদের রেখেই মমতা যুব নেতাদের গুরুত্ব দিচ্ছেন।

এই পুরো রদবদলে মমতা সব চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন প্রশান্ত কিশোর বা পিকে-র মতকে। তাঁর টিম প্রতিটি জেলায় গিয়ে কয়েকদিন ধরে থেকে খতিয়ে দেখেছেন, কোন নেতাকে দায়িত্ব দিলে সব চেয়ে ভালো কাজ হবে। সেই মতো তাঁরা নেত্রীর কাছে সুপারিশ করেছেন। পিকে আরেকটা চেষ্টা করেছেন, বিভিন্ন জেলায় এক বা একাধিক বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর নেতারাও যাতে গুরুত্ব পান সেটা নিশ্চিত করা। তাই এ বার প্রায় প্রতিটি জেলাতে বিবদমান নেতারা গুরুত্ব ও পদ পেয়েছেন। পিকে-র সুপারিশ অনেক ক্ষেত্রেই নেত্রী মেনেছেন। অভিষেকের সঙ্গে পিকে-র সম্পর্কও খুব ভালো।

তবে তৃণমূলের অন্দরের কথা যাঁরা জানেন, তাঁদের বক্তব্য, সেখানে যতই কমিটি হোক না কেন, দলে এক থেকে দশ নম্বর নেতা হলেন মমতা। তাঁর কথাই সব ক্ষেত্রে শেষ কথা। তিনি যাঁকে দায়িত্ব দেবেন, তিনিই কাজ করবেন। ২০১৬ সালে মমতা বলেছিলেন, তিনিই রাজ্যের ২৯৪টি কেন্দ্রে লড়ছেন। তাই প্রার্থীকে দেখার দরকার নেই। লোকে যেন তাঁকে ভোট দেন। লোকে তাঁর অনুরোধ রেখেছিলেন.এবং ২১১টি কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থীরা জয়ী হয়েছিলেন।

বিধানসভা নির্বাচনে জেলার নেতাদের দায়িত্ব থাকে ঠিকই, কিন্তু লোকে মমতাকে দেখেই তৃণমূলে ভোট দেন। তবে পশ্চিমবঙ্গের ভোটে সংগঠন বড় ভূমিকা নেয়। দলের পক্ষে সমর্থন ভোটের বাক্সে নিয়ে যাওয়া জরুরি। সেখানে দলের নেতা ও কর্মীরা বড় দায়িত্ব পালন করেন। তাই যুব নেতাদের গুরুত্ব দিয়ে মমতা ঠিক কাজ করেছেন বলে বিশেষজ্ঞদের মত।

জিএইচ/এসজি(আবাপ)