1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অর্থ নয়, যৌনকর্মের বিনিময়ে মাছ

১৩ মে ২০১৭

কেনিয়ার পশ্চিমাঞ্চলের সিয়াইয়া কাউন্টি সহ সাব-সাহারান আফ্রিকার দরিদ্র নারীদের অনেকে জেলেদের সঙ্গে যৌনকর্মে লিপ্ত হওয়ার বিনিময়ে মাছ পান৷ এরপর সেগুলো বিক্রি করে তাঁরা সংসার চালান৷

https://p.dw.com/p/2cqDG
Kenia USA Fotoreportage von Kogelo Dorf von Obamas Vorfahren
ছবি: Reuters/T. Mukoya

পাঁচ সন্তানের জননী ৩২ বছরের রাচেল আটিনো এমনই একজন নারী৷ বছর দশেক আগে স্বামী মারা যাওয়ার পর সংসার চালাতে তাঁকে ‘জাবোয়া'র পথ বেছে নিতে হয়েছিল৷ স্থানীয়ভাবে ব্যবহৃত জাবোয়া শব্দের মানে হচ্ছে ‘সেক্স-ফর-ফিশ', মাছের জন্য যৌনকর্ম৷

সিয়াইয়া রাজ্যের জেলেরা সারারাত ধরে ভিক্টোরিয়া হৃদে মাছ ধরার পর সকালে বিক্রি করেন৷ তবে নারী ক্রেতাদের মধ্যে অর্থের বিনিময়ে মাছ কিনছেন, এমনটা কমই দেখা যায়৷ বরং বেশিরভাগ নারীকে সেক্স বিনিময় করতে দেখা যায়৷ কারণ অর্থ দিয়ে মাছ কেনার মতো সামর্থ্য তাঁদের থাকে না৷ আটিনো বলেন, ‘‘অনেকক্ষেত্রে দেখা যায়, যে নারীরা যৌনকর্ম করতে প্রস্তুত তাদেরকে ভালো মানের মাছ দেন জেলেরা৷''

কেনিয়ার এক যৌনকর্মী
কেনিয়ার এক যৌনকর্মীছবি: Getty Images/AFP/S. Maina

আটিনো থাকেন আবিম্বো গ্রামে৷ সেখানকার অনেক নারীই জাবোয়ার মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করেন৷ আটিনো বলেন, ‘‘জাবোয়া সবসময়ই থাকবে৷ আগের চেয়ে বরং এর ব্যবহার বেড়েছে৷ কারণ দারিদ্র্যের কারণে মেয়েদের আর অন্য কোনো উপায় নেই৷''

অবশ্য আটিনোকে এখন আর জাবোয়ায় অংশ নিতে হচ্ছে না৷ কারণ একটি এনজিও ঐ এলাকার নারীদের সহায়তায় এগিয়ে এসেছে৷ তাঁরা নারীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে ঋণ দেন৷ ঐ অর্থ বিনিয়োগের মাধ্যমে লাভবান হলে নারীরা তা ফেরত দিয়ে আরও বড় অংকের ঋণ পান৷

‘চ্যালেঞ্জ আফ্রিকা' নামের ঐ এনজিওর কাছ থেকে ৫০ ডলার ঋণ পেয়েছেন আটিনো৷ সেই অর্থ দিয়ে মাছ কিনে এখন সেগুলো শুকাচ্ছেন৷ তারপর সেগুলো বিক্রি করবেন৷ এছাড়া গ্রামের নিকটবর্তী সোনার খনিতে শ্রমিকদের জন্য রান্নার কাজও করেন আটিনো৷

চ্যালেঞ্জ আফ্রিকার কান্ট্রি ডিরেক্টর এডউইন ওগিলো বলেন, তাঁরা অসহায় নারীদের দক্ষতা বাড়াতে প্রশিক্ষণ দেন৷ সেখানে যাঁরা ভালো করেন তাঁদের ঋণ দেয়া হয়৷ এই প্রকল্পের আরেকটি লক্ষ্য, ঐ এলাকায় এইচআইভির প্রসার কমানো৷ কারণ সিয়াইয়ার প্রতি চারজনের একজন এই ভাইরাসে আক্রান্ত, যেটা এইডসের জন্য দায়ী৷ সেক্স-ফর-ফিশের কারণে এইচআইভির প্রসার আরও বাড়ছে বলে মনে করেন ওগিলো৷

জেডএইচ/ডিজি (থমসন রয়টার্স ফাউন্ডেশন)

প্রতিবেদনটি আপনার কেমন লাগলো? জানান আমাদের, লিখুন নীচের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য