1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অ্যানথ্র্যাক্স

২১ সেপ্টেম্বর ২০১০

বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি জেলাতে অ্যানথ্রাক্স সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে৷ সবার মধ্যেই কমবেশি আতংক৷ আর এই আতংকের একটি অন্যতম কারণ হচ্ছে অ্যানথ্র্যাক্স সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা না থাকা৷

https://p.dw.com/p/PIQR
আক্রান্ত গরু থেকে হতে পারে অ্যানথ্রাক্সছবি: DW

অ্যানথ্র্যাক্স হচ্ছে ব্যাসিলাস অ্যানথ্র্যাসিস নামের একটি ব্যাকটিরিয়া জনিত সংক্রামক রোগ৷ রোগাক্রান্ত ব্যক্তির প্রয়োজন দ্রুত, জরুরী ভিত্তিতে চিকিৎসা৷ নইলে তার প্রাণহানির আশংকা থাকে৷

সাধারণত আক্রান্ত পশু, যেমন, গরু, ছাগল, ভেড়া, মহিষের লোম, চামড়া, বা মাংস এই রোগ ছড়ানোর উৎস হিসেবে কাজ করে৷ তবে একটি কথা মনে রাখা প্রয়োজন: কখনোই রোগাক্রান্ত ব্যক্তির মাধ্যমে এই রোগটি ছড়ায় না৷ শুধুমাত্র আক্রান্ত পশুর মাংস ও রক্তের মাধ্যমেই এই রোগটি ছড়ায়৷

সচরাচর অ্যানথ্র্যাক্স এর জীবাণু শরীরে ঢুকলে দুই থেকে পাঁচ দিনের মধ্যেই এর লক্ষণ প্রকাশ পায়৷ আক্রান্ত স্থানটি চুলকাতে পারে, লাল হয়ে যেতে পারে৷ প্রথমে মনে হতে পারে পোকার কামড়৷ ক্ষতটির কেন্দ্রটি শুকিয়ে কালচে হয় আর এর চারপাশটি উঁচু এবং লাল রঙের হয়ে থাকে৷

লক্ষণ টের পাওয়ার সাথে সাথে চিকিৎসা নিলে এই রোগ সহজে নিরাময়যোগ্য এবং স্বল্পব্যয় সাপেক্ষ৷ টিকা বা অ্যান্টিবায়োটিক চিকিৎসার মাধ্যমে পূর্ণ সুস্থতা লাভ করা সম্ভব৷ কিন্তু যদি এই অ্যানথ্র্যাক্স জীবাণু শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ার সুযোগ পায়, সেক্ষেত্রে এটি আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যুর কারণ হতে পারে৷

অ্যানথ্র্যাক্স সংক্রমণ ঠেকাতে রোগাক্রান্ত পশুকে শুরুতেই আলাদা জায়গায় রাখতে হবে, যাতে মানুষ-জন বা অন্যান্য পশু এর সংস্পর্শে আসতে না পারে৷ আক্রান্ত পশুর এরপর জরুরী ভিত্তিতে চিকিৎসা প্রয়োজন৷ আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আক্রান্ত পশু যেন কোনক্রমেই জবাই করে খাদ্য হিসেবে বিক্রি বা গ্রহণ না করা হয়৷ অ্যানথ্রাক্স সংক্রমণের এটিই প্রধান কারণ৷

প্রতিবেদনঃ হুমায়ূন রেজা

সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী