অ্যামেরিকান ফুটবলের পপ তারকারা
শুধু খেলোয়াড় ও খেলাই নয়, অ্যামেরিকান ফুটবল পপ তারকাদের জন্যও৷ ফুটবল লীগের ফাইনাল সুপারবোল তো রীতিমতো পপ তারকাদের ছাড়া কল্পনাই করা যায় না৷ এর হাফটাইম শো মাতিয়েছেন জ্যাকসন, ম্যাডোনা, কেটি পেরি– কে নয়!
সুপারবোল
সুপারবোল হলো, অ্যামেরিকার ন্যাশনাল ফুটবল লিগের ফাইনাল৷ এমনিতেই দেশটিতে এই লীগের দর্শক অনেক বেশি৷ তারওপর পপ তারকারা এখানে যুক্ত হওয়ায় টিভি, অনলাইন, সোশ্যাল মিডিয়াতে এই খেলা নিয়ে মাতামাতির যেন শেষ নেই৷
হাফটাইম শো
অ্যামেরিকান ফুটবল গেমসগুলোতে হাফটাইম শো একটি ঐতিহ্য৷ সেই ঐতিহ্য সুপারবোলে গিয়ে যেন পূর্ণতা পেয়েছে৷ নব্বইয়ের পর থেকে সেখানে পপ তারকারা মঞ্চ মাতাতে শুরু করেন৷
মাইকেল জ্যাকসন
হাফটাইম শো’য়ের তারকাদের তালিকায় এই নামটি দেখলেই বোঝা যায়, এই মঞ্চের উচ্চতা কতটুকু৷ মাইকেল জ্যাকসন এসেছিলেন সুপারবোলের ২৭তম আসরে, ১৯৯৩ সালে৷
কেটি পেরি
২০১৫ সালে কেটি পেরির হাফটাইম শো’টি ছিল যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে টেলিভিশনে সবচেয়ে বেশিবার দেখা শো৷ প্রায় বারো কোটি মানুষ টেলিভিশনে তাঁর শো দেখেন৷
লেডি গাগা
গত বছর হাফটাইম শো-তে এসেছিলেন মার্কিন পপ তারকা লেডি গাগা৷ তাঁর শো’টি টিভিতে দেখা হয়েছিল প্রায় পৌনে বারো কোটি বার৷ কেটি পেরির পরে তাঁর শো’টি টিভিতে সবচেয়ে বেশিবার দেখা হয়েছে, যদিও সুপারবোল কর্তৃপক্ষের দাবি, সোশ্যাল মিডিয়ার কথা মাথায় নিলে এই শো’টিই এ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি দেখা হাফটাইম শো৷
ম্যাডোনা
বয়স একটু বাড়লেও তাঁর সঙ্গীত ও পারফরম্যান্সের আবেদন যে হারিয়ে যায়নি তার প্রমাণ দিলেন ম্যাডোনা৷ ২০১২ সালে হাফটাইম শো’র মঞ্চ মাতিয়েছেন তিনি৷
প্রিন্স
২০১৬ সালে অসুস্থ হয়ে চিরবিদায় নেয়া অ্যামেরিকান পপ সঙ্গীত তারকা প্রিন্স এসেছিলেন ২০০৭ সালে৷
বিয়ন্সে
মার্কিন সঙ্গীতশিল্পী, গীতিকার, নৃত্যশিল্পী ও অভিনেত্রী বিয়ন্সে হাফটাইম শো’তে এসেছিলেন ২০০৬ সালে৷
কত কত মহাতারকা
ক্রিস্টিনা অ্যাগুইলারা, জাস্টিন বিবার, রোলিং স্টোনস, পল ম্যাককার্টনি, অ্যারোস্মিথ, ব্রিটনি স্পিয়ার্স, রেড হট চিলি পেপার্স, স্টিং, শানায়া টোয়েইনসহ অনেক নামি-দামি তারকাই মাতিয়েছেন এই মঞ্চ৷